<p>ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ থেকে রাষ্ট্র—একজন ব্যক্তি সর্বত্র দায়িত্ববান। একজন ব্যক্তিকে তার নিজের প্রতি দায়িত্ব ও করণীয় আছে। আছে পরিবারের প্রতি দায়, অতঃপর সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিও আছে দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই সবার আগে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা জরুরি।</p> <p>সত্য-মিথ্যা, পাপ-পুণ্য পরখ করে প্রথমে নিজেকে শাসন করা এবং সঠিক পথে পরিচালিত করা একজন ব্যক্তির প্রথম দায়িত্ব। ঈমানদান ব্যক্তির শিরক-বিদআত ও পাপাচার থেকে মুক্ত হয়ে সাধ্যমতো দ্বিন প্রতিষ্ঠা করা প্রথম ঈমানি দায়িত্ব। পরিবারকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করা পরিবারপ্রধান হিসেবে ব্যক্তির দ্বিতীয় দায়িত্ব। কেননা প্রত্যেক পরিবারপ্রধান তাঁর পরিবারের দায়িত্বশীল। অন্যরা তাঁর নির্দেশ মেনে চলবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)</p> <p>অতঃপর সমাজে দ্বিনের প্রচার করা ব্যক্তির তৃতীয় দায়িত্ব। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘যাতে তুমি মক্কাবাসী ও পার্শ্ববর্তীদের ভয় প্রদর্শন করো...।’<br /> (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৯২)</p> <p>এ ক্ষেত্রে নিজ থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ি করা ব্যক্তির দায়িত্ব নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমরা আমাদের এসব (শাসন) কাজে এমন লোককে নিয়োগ করি না—যারা তা চেয়ে নেয় বা তার লোভ করে। (বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)</p> <p>তবে হ্যাঁ, কারো ওপর যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো দায়িত্ব চলে আসে, তাহলে নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করবে। আর শাসকের ছোটখাটো ত্রুটির ব্যাপারে ফিতনায় না জড়িয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবে এবং নিজের সাধ্যসীমায় থেকে সংশোধনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সংশোধন না হলে দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।</p> <p>দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামার দৃষ্টিতে শাসকশ্রেণির প্রকাশ্য কুফরিমূলক কাজ নজরে পড়লে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তার প্রতিবাদ করবে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এতে যেন ইসলামের সীমা লঙ্ঘন না ঘটে, মানবতা আক্রান্ত না হয় এবং এর পেছনে কারো নেতৃত্বের লোভ যেন প্রকাশ না পায়।</p>