<p>কিয়ামতের দিন হিসাবের পর জিন ও মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ মুমিন নারী-পুরুষদের জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যার নিচ দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়, যেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে এবং স্থায়ী জান্নাতে উত্তম বাসস্থানের, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি সর্বশ্রেষ্ঠ এবং তাই মহাসাফল্য।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭২)</p> <p>কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা অনুসারে মানুষ কিয়ামতের দিন হিসাবের পর জান্নাতে প্রবেশ করবে। তবে এখন কি কেউ জান্নাতে রয়েছেন কি না বা কিয়ামতের আগে কেউ কি জান্নাতে প্রবেশ করবে, তা নিয়ে সামান্য ব্যাখ্যা রয়েছে।</p> <p>জান্নাতে প্রবেশ দুইভাবে হতে পারে। এক. শুধু আত্মিকভাবে : হাদিসের বর্ণনা অনুসারে মৃত্যুর পর নবী ও শহীদদের রুহ জান্নাতে থাকে। দুই. শারীরিক ও আত্মিকভাবে : কিয়ামতের দিন মানুষ ও জিন জান্নাতে প্রবেশ করবে।</p> <p>আর কিয়ামতের দিন সবার আগে প্রিয় রাসুল মুহাম্মদ (সা.) জান্নাতে প্রবেশ করবেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন আমি জান্নাতের দরজায় পৌঁছে দরজা খোলার জন্য বলব। তখন দ্বাররক্ষী বলবে, আপনি কে? আমি বলব, মুহাম্মদ। তখন সে বলবে, আপনার সম্পর্কে আমাকে বলা হয়েছে যে আপনার আগে আমি যেন অন্য কারো জন্য এ দরজা না খুলি। (মুসলিম, হাদিস : ১৯৭)</p> <p>অন্য হাদিসে জান্নাত যে মানুষের কল্পনা ও দৃষ্টিশক্তির আওতার বাইরে রয়েছে তা বলা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি আমার সৎ বান্দাদের জন্য এমন কিছু প্রস্তুত করেছি, যা কোনো চোখ দেখেনি। যে সম্পর্কে কোনো কান শোনেনি এবং কোনো অন্তর তা কল্পনাও করেনি। তোমরা চাইলে পড়ো, ‘অতএব, কেউ জানে না তাদের জন্য চক্ষুশীতলকারী, যা লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কাজকর্মের প্রতিদান হিসেবে।’ (সুরা : সাজদা, আয়াত : ১৭), (বুখারি : ৪৭৭৯)</p>