<p>যখন মানুষের মধ্যে পাপাচার ও ঔদ্ধত্য বেড়ে যায়, তখন মহান আল্লাহ তাদের সতর্ক করার জন্য বিভিন্ন দুর্যোগ দিয়ে থাকেন। তার মধ্য থেকে একটি দুর্যোগ হলো ভূমিকম্প। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এ উম্মত ভূমিকম্প, বিকৃতি এবং পাথরবর্ষণের মুখোমুখি হবে। একজন সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, কখন সেটা হবে হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বলেন, যখন গায়িকা এবং বাদ্যযন্ত্রের প্রকাশ ঘটবে এবং মদপানে সয়লাব হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২২১২)</p> <p>অতীতে মহান আল্লাহ বহু জাতিকে এর মাধ্যমে আজাব দিয়েও ধ্বংস করেছিলেন। যেমন- শোয়াইব (আ.)-এর জাতিকে মহান আল্লাহ ভূমিকম্প দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন। যার ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর ভূমিকম্প তাদের পাকড়াও করল। তারপর তারা তাদের গৃহে উপুড় হয়ে মরে রইল। যেন শোয়াইবকে অস্বীকারকারীরা সেখানে কোনো দিন বসবাস করেনি। যারা শোয়াইবকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯১-৯২)।</p> <p>আবার কিয়ামতের দিনও প্রচণ্ড ভূমিকম্পের মাধ্যমে পৃথিবী ধ্বংস হবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘পৃথিবী যখন প্রবল কম্পনে প্রকম্পিত হবে, আর জমিন তার বোঝা বের করে দেবে।’ (সুরা : জিলজাল, আয়াত : ১-২)</p> <p>এমনকি ভূমিকম্প বেড়ে যাওয়াও কিয়ামতের লক্ষণ। নবীজি (সা.) কিয়ামতের যে কয়টি লক্ষণ বাতলে গেছেন, তার মধ্যে একটি হলো, কিয়ামতের আগে ভূমিকম্প বেড়ে যাবে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত হবে না, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে, খুনখারাবি বৃদ্ধি পাবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ এত বৃদ্ধি পাবে যে তা উপচে পড়বে।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৩৬)</p> <p>তাই আমাদের উচিত, ভূমিকম্প দেখা দিলে আল্লাহকে ভয় করা, আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া, গুনাহ থেকে তাওবা করা এবং আগামীতে গুনাহ থেকে বিরত থাকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা।</p> <p>মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন।</p>