<p>মানুষকে অভিশাপ দেওয়া নিন্দনীয় কাজ। আমাদের নবী (সা.) কোনো কাফির-মুশরিককেও অভিশাপ দিতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-কে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মুশরিকদের ওপর বদদোয়া (অভিশাপ) করুন। তিনি বলেন, ‘আমি তো অভিসম্পাতকারীরূপে প্রেরিত হইনি; বরং প্রেরিত হয়েছি রহমতস্বরূপ।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৫০৭)</p> <p>যারা নবীজি (সা.)-কে ভালোবাসে, তাঁর সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গঠন করতে চায়, তাদেরও উচিত কাউকে অহেতুক অভিশাপ না দেওয়া। আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁর উম্মতকে অভিশাপ দিতে বারণ করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর পরস্পরকে আল্লাহ তাআলার অভিসম্পাত, তাঁর গজব ও জাহান্নামের বদদোয়া কোরো না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৬)</p> <p>বদদোয়া, অভিশাপ এগুলো বড় ভয়ংকর জিনিস। এগুলো যেমন অন্যের ক্ষতি করতে পারে, তেমনি নিরপরাধ মানুষকে অভিশাপ করার কারণে সেই অভিশাপ ঘুরে-ফিরে অভিশাপকারীর ওপর আঘাত হানতে পারে। তাই নবীজি (সা.) এ বিষয়ে তাঁর উম্মতদের সতর্ক করেছেন। আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো বান্দা কোনো বস্তুকে অভিশাপ দেয়, তখন ওই অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপের আকাশে ওঠার পথকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তা আবার দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য রওনা হয়, কিন্তু দুনিয়ায় আসার পথও বন্ধ করে দেওয়ায় সে ডানে-বাঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোনো পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ করা হয়েছে, তার কাছে ফিরে আসে। তখন সেই বস্তু যদি অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার ওপর ওই অভিশাপ পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর ওপরই তা পতিত হয়।’ (আবু দাউদ : ৪৯০৫)<br />  </p>