<p>যাকে গালি দেওয়া হয়, সে মানসিকভাবে অনেক কষ্ট পায়। পরকালে এর প্রতিকার হবে নিজের নেক আমল দান বা অন্যের গুনাহ বহনের মাধ্যমে। দুনিয়ায় অনেক আমল করার পরও গালিদাতা পরকালে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জানো, নিঃস্ব কে?’ তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে নিঃস্ব হচ্ছে ওই ব্যক্তি, যার দিরহামও (নগদ অর্থ) নেই, কোনো সম্পদও নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে ওই ব্যক্তি নিঃস্ব, যে কিয়ামত দিবসে সালাত, সিয়াম, জাকাতসহ বহু আমল নিয়ে উপস্থিত হবে এবং এর সঙ্গে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত (হত্যা) করেছে, কাউকে মারধর করেছে ইত্যাদি অপরাধও নিয়ে আসবে। সে তখন বসবে এবং তার নেক আমল থেকে এই ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে, ওই ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে। এভাবে সম্পূর্ণ বদলা (বিনিময়) নেওয়ার আগেই তার ভালো আমল নিঃশেষ হয়ে গেলে তাদের গুনাহ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে, তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৮১, তিরমিজি, হাদিস : ২৪১৮)</p> <p>ইসলামের দৃষ্টিতে গালাগাল কবিরা গুনাহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি এবং তার সঙ্গে লড়াই করা কুফরি।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৮)</p> <p>যে প্রথমে গালাগাল শুরু করবে, সব গুনাহ তার ওপর বর্তাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পরস্পর গালাগালকারীর মধ্যে যে প্রথমে শুরু করে উভয়ের দোষ তার ওপর বর্তাবে, যতক্ষণ না অন্যজন সীমা লঙ্ঘন করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৮৭, আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯৪)</p> <p>সুতরাং মুসলমানকে গালি দিয়ে নিজের ভালো আমল অন্যকে দিয়ে দেওয়ার কোনো মানে হয় না।</p>