ঢাকা, বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫
১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫
১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মহররম ১৪৪৭

নিউরালিংক নিয়ে নতুন বিতর্ক

শেয়ার
নিউরালিংক নিয়ে নতুন বিতর্ক

নিউরালিংক ব্যবহার করে করা কর্মটির দায়ভার কিংবা কৃতিত্ব আসলে কার? যন্ত্রের নাকি ব্যবহারকারীর? তবে যন্ত্র ও মানুষের সমন্বয়কেই ভবিষ্যৎ বলছেন নিউরালিংক প্রজেক্টের কর্ণধার ইলন মাস্ক। নতুন করে শুরু হওয়া এই বিতর্ক নিয়ে লিখেছেন মোহাম্মদ তাহমিদ

 

প্রতিটি কর্ম শুরু হয় চিন্তা থেকে। মনের মধ্যে থাকা কথাগুলো যখন হাতের পেশির মাধ্যমে কলমে পৌঁছে, তখনই সেটা কাগজে লেখা হিসেবে দেখা দেয়। আমরা এর উল্টোটাও বলতে পারি, প্রতিটা লেখাই লেখকের চিন্তা-চেতনাকে প্রকাশ করার ইচ্ছা থেকেই এসেছে।

ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) সেটাকে বদলে দিচ্ছে। নিউরালিংক এন১ ডিভাইসটি সরাসরি মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়। সেটি ব্যবহারকারীর ভাবনাকে সরাসরি কর্মে পরিণত করে। যেহেতু এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বাকি অংশ, যেমন—পেশি নাড়ানোর কেন্দ্র বা শরীরের বাকি অঙ্গ সেই কর্মের সঙ্গে জড়িত নয়, সে ক্ষেত্রে কি কর্মটি পুরোপুরি সেই মানুষটির? আমরা কি নিউরালিংকের মতো ডিভাইসগুলোকে ব্যবহারকারীর চেতনারই অংশ ধরে নেব নাকি যন্ত্র আর মনকে আলাদাই রাখা উচিত, সেটা নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

বিশ্বের প্রথম নিউরালিংক ব্যবহারকারী নোল্যান্ড আরবাগ। গাড়ি দুর্ঘটনায় পুরো শরীরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি আজ শুধু মাথা নাড়াতে পারেন, পুরো শরীর তাঁর প্যারালাইজড। নিউরালিংকের মাধ্যমে তিনি আজ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। কিছুদিন আগে দাবা খেলে ডিভাইসটির কার্যকারিতাও প্রদর্শন করেছেন।

নিউরালিংক তিনি কিভাবে ব্যবহার করছেন, সেটা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, শুধু কম্পিউটারে কার্সর নাড়ানোর কল্পনা করলেই সেটা বাস্তবায়ন করে ডিভাইসটি। অর্থাৎ দাবা বোর্ডের দিকে তাকিয়ে তিনি শুধু ভাবছেন দুই ঘর আগানোর কথা আর ওতেই বাকি কাজ নিউরালিংক করে দিচ্ছে।

নিউরোসায়েন্স বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরাসরি মস্তিষ্ক স্ক্যান করে পাওয়া তথ্য দেখে কোন চিন্তাটি শুধু কল্পনা আর কোনটি কর্মের জন্য অভিপ্রায়, সেটা এখনো বোঝা সম্ভব নয়। আবার দ্রুত বদলে যাওয়ার চিন্তাও নিউরালিংকের পক্ষে ধরতে পারা অসম্ভব, আরবাগ যদি বিশপকে তিন ঘর আগানোর চিন্তা করার পরপরই সেটা বদলে উল্টো দুই ঘর পেছানোর সিদ্ধান্ত নেন, সেটা নিউরালিংকের পক্ষে ধরা সম্ভব নয়। আবার একাধিক চাল চিন্তা করে অবশেষে একটি বেছে নেন প্রায় সব দাবাড়ু, অথচ নিউরালিংক কোনটি কাল্পনিক চাল আর কোনটি আসলে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে ভাবছেন আরবাগ, সেটা ধরতে অক্ষম।

যদি ভুল চিন্তাকে বাস্তবায়ন করে নিউরালিংক, সে ক্ষেত্রে চালটি চেলেছেন কে, আরবাগ নাকি নিউরালিংক?

কম্পিউটার ব্যবহার আর দাবা খেলায় এমন তফাতগুলো তেমন জরুরি নয়। তবে ভবিষ্যতে আরো জটিল কাজে যদি বিসিআই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হয় তখন অন্তত আইনের চোখে চিন্তা, উদ্দেশ্য এবং এর মধ্যে বিসিআইয়ের অবস্থান পরিষ্কার করা জরুরি হয়ে পড়বে। ডিভাইসগুলোকে ব্যক্তির অংশ ধরে নেওয়া হবে, নাকি আলাদা সত্তা, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। যদি নিউরালিংক ব্যবহার করে আরবাগ গাড়ি চালানোর সময় শুধু এক মুহূর্তের ভুল চিন্তাকে উদ্দেশ্য ধরে নিয়ে গাড়িটি কাউকে চাপা দেয়, তাহলে তার দায় কি চালকের নাকি নিউরালিংকের? আরবাগ দাবি করতে পারেন, মানুষ কাজ করার সময় হাজারো চিন্তা করতেই পারে, সব কটি বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে করাও নয়। সে ক্ষেত্রে তিনি দোষটি চাপাতে পারেন বিসিআই ডিভাইসের ভুলের ওপর। আবার যদি আরবাগ বই লেখার উদ্দেশ্যে চিন্তা করেন, কিন্তু তাঁর চিন্তাকে ভাষায় পরিণত করে নিউরালিংক, সে ক্ষেত্রে বইটির স্বত্ব কি আরবাগের? তার চিন্তাকে কাজে পরিণত করেছে নিউরালিংক, কিন্তু যদি গাড়িচাপার ক্ষেত্রে আমরা বলি দায়ী নিউরালিংক তাহলে এ ক্ষেত্রেও বইয়ের দাবিদার ডিভাইসটি, শুধু মূল আইডিয়ামাত্র আরবাগের। যন্ত্র ও মানুষের সমন্বয়কেই ভবিষ্যৎ বলছেন নিউরালিংক প্রজেক্টের কর্ণধার ইলন মাস্ক। এখনই সময়, এ ধরনের যন্ত্র কি মানুষের সত্তার অংশ কি না, সেই বিতর্কের অবসান করার।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একনজরে

জরুরি যোগাযোগের অ্যাপ ‘বিটচ্যাট’

টেকবিশ্ব ডেস্ক
টেকবিশ্ব ডেস্ক
শেয়ার
জরুরি যোগাযোগের অ্যাপ ‘বিটচ্যাট’
টুইটারের সাবেক সিইও জ্যাক ডরসি ছবি : সংগৃহীত

ওয়াই-ফাই বা মোবাইল নেটওয়ার্কের বদলে ব্লুটুথের মাধ্যমে মেসেজ পাঠানোর প্ল্যাটফর্ম বিটচ্যাট। এটি তৈরি করেছেন এক্স তথা টুইটারের সাবেক প্রধান নির্বাহী এবং প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি।  বিটচ্যাটের মাধ্যমে একক ব্যক্তি বা গ্রুপে অনেকের সঙ্গে মেসেজ আদান-প্রদান করা যাবে। শুধু প্রয়োজন ব্লুটুথ মেশ ফিচারযুক্ত ডিভাইস।

  আপাতত শুধু আইফোন এবং ম্যাকে এটি ব্যবহার করা যাবে।

মেশ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম আধুনিক ব্লুটুথ প্রযুক্তি। প্রতিটি ডিভাইস কাজ করে প্রাপক এবং প্রেরক হিসেবে। বিটচ্যাটের তাই কোনো সার্ভার নেই, প্রত্যেক ব্যবহারকারীই সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট।

একটি এলাকায় যত বেশি ব্যবহারকারী থাকবে, নেটওয়ার্কের পরিব্যপ্তিও হবে তত বেশি। ইন্টারনেটের বদলে এই নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে বিটচ্যাট তৈরির কারণ হিসেবে জ্যাক ডরসি ডিসেন্ট্রালাইজেশন এবং স্বাধীনতার কথা বললেও ধরে নেওয়া যায় এর আসল ব্যবহারের ক্ষেত্র হয়ে উঠবে দুটি। দুর্যোগের ফলে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেলে অথবা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হলে। অ্যাপটির অস্বাভাবিক পরিমাণ নিরাপত্তা ফিচার দ্বিতীয় ব্যবহারের কথাই মনে করিয়ে দেয়।

 

 

মন্তব্য
একনজরে

মনিটাইজেশন নীতিমালা বদলেছে ইউটিউব

টেকবিশ্ব ডেস্ক
টেকবিশ্ব ডেস্ক
শেয়ার
মনিটাইজেশন নীতিমালা বদলেছে ইউটিউব

ইউটিউবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি মানহীন ভিডিও বা এআই স্লপ-এর বন্যা বইছে। গুগলের নিজস্ব সেবা ভিও ৩ এবং ওপেনএআইয়ের তৈরি সোরা এ কাজে জনপ্রিয়। চলমান ট্রেন্ডগুলোকে কি-ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করে এ ভিডিওগুলো তৈরির লক্ষ্য শুধু ভিউ কামানো, যাতে চ্যানেল দ্রুত মনিটাইজেশন পায়। এভাবে মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করছে অনেকে।

অথচ এসব ভিডিওর ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে মানসম্মত ভিডিও এবং দর্শকও ইউটিউবের রিকমেন্ডেশন অ্যালগরিদমের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। পাশাপাশি ইউটিউবেরও অর্থ অপচয় হচ্ছে।

সমস্যাটি নিরসনে ২ জুলাই ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তাদের ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের (ওয়াইপিপি) শর্তাবলিতে বদল এনেছে। আগামী ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে চ্যানেলে এআই স্লপ থাকলে সেটি ইউটিউব পার্টনার হতে পারবে না, অর্থাৎ চ্যানেলগুলো মনিটাইজেশনের অযোগ্য হয়ে যাবে।

এআইভিত্তিক কনটেন্টের নতুন চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে না, পুরনোগুলোও সেটি হারাবে। এর পাশাপাশি একই ধরনের ভিডিও একাধিকবার আপলোড করলে, অন্যান্য চ্যানেলের ভিডিও জোড়াতালি দিয়ে আপলোড করলে অথবা এআই ভয়েস ব্যবহার করলে সেসব কনটেন্টকে রিপিটেটিভ ধরা হবে এবং চ্যানেলে মনিটাইশেন থাকবে না।

 

মন্তব্য

স্যামসাং আনপ্যাকড নতুন যা এলো

    প্রতিবছরের মধ্যভাগে স্যামসাং বাজারে আনে ফোল্ড ও ফ্লিপ সিরিজের নতুন ফোন। এবারও এসেছে। এ বছর ডিজাইনের দিকে মনোযোগী হয়েছে স্যামসাং, ফোল্ড এবং ফ্লিপ মডেলগুলোর ডিজাইনে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। ঘড়ির ডিজাইনও বদলে গেছে অনেকটা। নতুন ডিভাইসগুলোর বিস্তারিত জানাচ্ছেন আশিক উল বারাত
শেয়ার
স্যামসাং আনপ্যাকড নতুন যা এলো
স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭ এবং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭। ছবি : সংগৃহীত

৯ জুলাই নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্যামসাংয়ের গ্রীষ্মকালীন আনপ্যাকড ২০২৫ ইভেন্ট। গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ এর পাশাপাশি আরো ছিল জেড ফ্লিপ ৭ এবং প্রথমবারের মতো এফই সিরিজের ফোল্ডিং ফোন গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ সেভেন এফই। নতুন স্মার্টওয়াচের মধ্যে রয়েছে গ্যালাক্সি ওয়াচ এইট, এইট ক্লাসিক এবং ওয়াচ আলট্রা ২০২৫।

 

গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭

নতুন ডিভাইসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭।

ফোল্ড সেভেন ফোনটি স্যামসাংয়ের সবচেয়ে পাতলা ও হালকা ফোল্ডিং ফোন। ভাঁজ করা অবস্থায় এর পুরুত্ব মাত্র ৮.৯ মিলিমিটার, যা আগের ফোল্ড সিক্সের ১২.২ এর তুলনায় অনেকটাই কম। খোলা অবস্থায় এর পুরুত্ব মাত্র ৪.২ মিলিমিটার। এমনকি ওজনেও মাত্র ২১৫ গ্রাম, যা ফোল্ডিং ফোন হিসেবে বেশ হালকা।

ফোনটির বাইরের ডিসপ্লে ৬.৫ ইঞ্চি। ভেতরে থাকছে ৮ ইঞ্চি ডিসপ্লে। ফোনটিতে রয়েছে ২০০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা, পাশাপাশি থাকছে ১০ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স ও ১২ মেগাপিক্সেলের আলট্রাওয়াইড লেন্স। দুটি ১০ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা আছে।

থাকছে ৪৪০০ এমএএইচ ব্যাটারি। প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে স্নাপড্রাগনের ৮ এলিট প্লাস। ডিভাইসের মূল্য ধরা হয়েছে ২০০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই লাখ টাকা পড়তে পারে।

 

গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭ এবং এফই

স্যামসাং আনপ্যাকড নতুন যা এলোবেজেলহীন ৪.১ ইঞ্চি বাইরের ডিসপ্লেই গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭ এর সবচেয়ে বড় নতুন ফিচার। সঙ্গে ভেতরে থাকছে ৬.৯ ইঞ্চি ডিসপ্লে।

ব্যাটারি থাকছে ৪৩০০ এমএএইচ। চিপসেট হিসেবে থাকছে স্যামসাংয়ের নিজস্ব এক্সিনস ২৫০০ প্রসেসর।

এবার বাইরের ডিসপ্লে থেকেই জেমিনি চালানো যাবে। এ ছাড়াও ফোন না খুলেই মেসেজিং, এমনকি ভিডিও কলও করা যাবে। এই ডিভাইসটির দাম ধরা হয়েছে এক হাজার ১০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকা।

বাজেট মডেল হিসেবে স্যামসাং এনেছে ফ্লিপ সেভেন এফই। সমালোচকরা বলছে, এটি নতুন নামে মূলত ফ্লিপ সিক্স। ফ্লিপ ৭ এর ডিজাইন, ওজন ও ব্যাটারি এক রেখে প্রসেসর পরিবর্তন করে এক্সিনস ২৪০০ ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফোনটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকা।

স্যামসাং এই ইভেন্টে তাদের প্রতিটি ডিভাইসে সাত বছরের সফটওয়্যার আপডেট থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

 

গ্যালাক্সি ওয়াচ সিরিজ ৮

স্মার্টওয়াচের ডিজাইনে এবার স্যামসাং বড় পরিবর্তন এনেছে। গ্যালাক্সি ওয়াচ এইট সিরিজে স্কয়ার + সার্কেল অর্থাৎ স্কোয়ারকেল ডিজাইনে এসেছে, যাকে কম্পানি বলছে কুশন ডিজাইন

ওয়াচ এইট ৪০ ও ৪৪ মিলিমিটার, মোট দুটি ভার্সনে এসেছে, যার দাম যথাক্রমে ৩৫০ ও ৩৮০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ঘড়িগুলোর দাম ৫০ হাজার টাকার মধ্যেই থাকবে। ওয়াচ এইট ক্লাসিক মডেলটি এসেছে ৪৬ মিলিমিটারে এবং এতে আগের মতোই রয়েছে গোল বেজেল। এর দাম শুরু হচ্ছে ৫০০ ডলার থেকে। ঘড়িগুলোতে এবার যুক্ত হয়েছে গুগলের নতুন সফটওয়্যার ওয়্যার ওএস ৬। গ্যালাক্সি ওয়াচ আলট্রা নতুন কালার ও বাড়তি প্রোটেকশন নিয়ে এসেছে।
সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৬৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ। এর দাম ৬০০ ডলার।  বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৩ হাজার টাকা।

মন্তব্য
সমাপ্তির পথে

যুক্তরাষ্ট্র বনাম টিকটক যুদ্ধ

টি এইচ মাহির
টি এইচ মাহির
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্র বনাম টিকটক যুদ্ধ

টিকটক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে রেষারেষি অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে হলে টিকটকের মালিকানা বাইটডান্স রাখতে পারবে না। এই শর্ত রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদা অ্যাপ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকটক কর্তৃপক্ষ।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পর পর তিনবার টিকটক নিষিদ্ধের সময়সীমা বাড়িয়ে নোটিশ জারি করেছেন।

তৃতীয় নোটিশের সময়সীমাও প্রায় শেষ। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম চালাতে হলে বাইটডান্সের অবশ্যই অ্যাপটির মালিকানা আমেরিকান কম্পানির হাতে হস্তান্তর করতে হবে, এ সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রশাসন অটল। এ শর্ত মতে টিকটিক বিক্রি নিয়ে নতুন চুক্তি হতে যাচ্ছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, একদল বিনিয়োগকারী টিকটক কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চুক্তির জন্য ঐকমত্যে পৌঁছেছে বেশির ভাগ পক্ষ, জানিয়েছে মার্কিন সরকার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সম্ভাব্য টিকটক চুক্তি নিয়ে চীন সরকারের সঙ্গে কথা-চালাচালি শুরু করবেন।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় টিকটকের নতুন সংস্করণ আসবে। এটি হবে সম্পূর্ণ পৃথক একটি অ্যাপ, মূল টিকটকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

টিকটক নিষিদ্ধের সময়সীমা অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে নিতে হবে, যাতে নতুন করে ডাউনলোড করা না যায়। এরপর আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই টিকটকের কর্মীরা অ্যাপটির নতুন সংস্করণ তৈরিতে ব্যস্ত। এম টু কোডনেমে নতুন একটি অ্যাপ আসবে আমেরিকানদের জন্য। বর্তমান সংস্করণের কোডনেম হলো এম

 মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, টিকটক বিক্রি নিয়ে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত, বাকি শুধু বেশ কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো। আর এই ক্রেতাদের তালিকায় যে কম্পানির নাম শোনা যাচ্ছে, সেটি হলো ওরাকল। বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি টিকটক কেনার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। এ বছরের শুরু থেকে কাজ চলছে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাবসায়িক কার্যক্রমকে একটি নতুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার জন্য। শর্ত অনুযায়ী মার্কিন টিকটকের বেশির ভাগ মালিকানা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকবে এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত হবে। চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর চীন এটি অনুমোদন করবে না বলে ইঙ্গিত দেওয়ার পর তা স্থগিত করা হয়েছিল। 

টিকটক কেনার দৌড়ে ওরাকল কিভাবে এগিয়ে আছে সেটা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি এ প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ৭৫ শতাংশ ছাড়ে ক্লাউডসেবা দিতে রাজি হয়েছে। পর পর তিনবার টিকটক ব্যান ঠেকিয়ে রাখতে ট্রাম্পের বিশেষ নোটিশ, এখন সরকারি চুক্তির মাধ্যমে টিকটকের মালিকানা ওরাকলের হাতে তুলে দেওয়া দুটোই বেশ প্রশ্নবিদ্ধ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ