৯ জুলাই নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্যামসাংয়ের গ্রীষ্মকালীন আনপ্যাকড ২০২৫ ইভেন্ট। গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ এর পাশাপাশি আরো ছিল জেড ফ্লিপ ৭ এবং প্রথমবারের মতো এফই সিরিজের ফোল্ডিং ফোন গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ সেভেন এফই। নতুন স্মার্টওয়াচের মধ্যে রয়েছে গ্যালাক্সি ওয়াচ এইট, এইট ক্লাসিক এবং ওয়াচ আলট্রা ২০২৫।
গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭
নতুন ডিভাইসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭।
ফোল্ড সেভেন ফোনটি স্যামসাংয়ের সবচেয়ে পাতলা ও হালকা ফোল্ডিং ফোন। ভাঁজ করা অবস্থায় এর পুরুত্ব মাত্র ৮.৯ মিলিমিটার, যা আগের ফোল্ড সিক্সের ১২.২ এর তুলনায় অনেকটাই কম। খোলা অবস্থায় এর পুরুত্ব মাত্র ৪.২ মিলিমিটার। এমনকি ওজনেও মাত্র ২১৫ গ্রাম, যা ফোল্ডিং ফোন হিসেবে বেশ হালকা।
ফোনটির বাইরের ডিসপ্লে ৬.৫ ইঞ্চি। ভেতরে থাকছে ৮ ইঞ্চি ডিসপ্লে। ফোনটিতে রয়েছে ২০০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা, পাশাপাশি থাকছে ১০ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স ও ১২ মেগাপিক্সেলের আলট্রাওয়াইড লেন্স। দুটি ১০ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা আছে।
থাকছে ৪৪০০ এমএএইচ ব্যাটারি। প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে স্নাপড্রাগনের ৮ এলিট প্লাস। ডিভাইসের মূল্য ধরা হয়েছে ২০০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই লাখ টাকা পড়তে পারে।
গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭ এবং এফই
বেজেলহীন ৪.১ ইঞ্চি বাইরের ডিসপ্লেই গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭ এর সবচেয়ে বড় নতুন ফিচার। সঙ্গে ভেতরে থাকছে ৬.৯ ইঞ্চি ডিসপ্লে।
ব্যাটারি থাকছে ৪৩০০ এমএএইচ। চিপসেট হিসেবে থাকছে স্যামসাংয়ের নিজস্ব এক্সিনস ২৫০০ প্রসেসর।
এবার বাইরের ডিসপ্লে থেকেই জেমিনি চালানো যাবে। এ ছাড়াও ফোন না খুলেই মেসেজিং, এমনকি ভিডিও কলও করা যাবে। এই ডিভাইসটির দাম ধরা হয়েছে এক হাজার ১০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বাজেট মডেল হিসেবে স্যামসাং এনেছে ফ্লিপ সেভেন এফই। সমালোচকরা বলছে, এটি নতুন নামে মূলত ফ্লিপ সিক্স। ফ্লিপ ৭ এর ডিজাইন, ওজন ও ব্যাটারি এক রেখে প্রসেসর পরিবর্তন করে এক্সিনস ২৪০০ ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফোনটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকা।
স্যামসাং এই ইভেন্টে তাদের প্রতিটি ডিভাইসে সাত বছরের সফটওয়্যার আপডেট থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গ্যালাক্সি ওয়াচ সিরিজ ৮
স্মার্টওয়াচের ডিজাইনে এবার স্যামসাং বড় পরিবর্তন এনেছে। গ্যালাক্সি ওয়াচ এইট সিরিজে ‘স্কয়ার + সার্কেল’ অর্থাৎ ‘স্কোয়ারকেল’ ডিজাইনে এসেছে, যাকে কম্পানি বলছে ‘কুশন ডিজাইন’।
ওয়াচ এইট ৪০ ও ৪৪ মিলিমিটার, মোট দুটি ভার্সনে এসেছে, যার দাম যথাক্রমে ৩৫০ ও ৩৮০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ঘড়িগুলোর দাম ৫০ হাজার টাকার মধ্যেই থাকবে। ওয়াচ এইট ক্লাসিক মডেলটি এসেছে ৪৬ মিলিমিটারে এবং এতে আগের মতোই রয়েছে গোল বেজেল। এর দাম শুরু হচ্ছে ৫০০ ডলার থেকে। ঘড়িগুলোতে এবার যুক্ত হয়েছে গুগলের নতুন সফটওয়্যার ওয়্যার ওএস ৬। গ্যালাক্সি ওয়াচ আলট্রা নতুন কালার ও বাড়তি প্রোটেকশন নিয়ে এসেছে।
সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৬৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ। এর দাম ৬০০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৩ হাজার টাকা।