<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.1pt">অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবর্তন পর্যালোচনা করলে বলতে হয়, ভারত এখন ধর্মীয় ও জাতিগত আদর্শের রাজনৈতিক ভিত্তি ও পটপরিবর্তনের জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছে। এই পরিবর্তন সংখ্যালঘুদের জন্য ইতিবাচক না নেতিবাচক, সেটা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বোঝা যাবে। তবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আঙ্গিকে চিন্তা করলে দেখা যায়, ভারত অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের প্রতি মনোনিবেশ করতে আগ্রহী, যেখানে আঞ্চলিক মিত্রতা ও পারস্পরিক নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে। ভারতের আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী যে-ই হোক না কেন, তারা সবাই এ বিষয়ে একমত যে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা এবং এর সদ্ব্যবহারের পুরোদস্তুর সক্ষমতাসম্পন্ন চীনকে এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">এ কথা অনস্বীকার্য যে মোদির নেতৃত্বে ভারত বিশ্বমঞ্চে যে আলোড়ন ও প্রভাবের আবহ সৃষ্টি করেছে, তা আগে কখনো হয়নি। এখন বৈশ্বিক কিংবা বলা উচিত, পাশ্চাত্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারতের মনোভাব ও প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভারত কিভাবে বিষয়টা দেখছে, সাড়া দিচ্ছে, সেটাও জরুরি। তবে ভারতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট। বৈশ্বিক পর্যায়ে নিজের দাপট বৃদ্ধি ও নিজেকে পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করা ভারত প্রথাগতভাবেই দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের আধিপত্য নিশ্চিত ও অব্যাহত রাখাকে প্রাধিকার দেয়। এর মধ্যে নিজ ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ভারতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ভারত তার আয়তন, অর্থনীতি, সমষ্টিগত সাংস্কৃতিক পরিচয় ও অন্যান্য ভূ-রাজনৈতিক ও পরোক্ষ প্রভাবের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">দাদা</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt"> পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যদিও প্রায়ই তার এই পরিচয় সত্তায় এখন আঘাত পড়ে। পাকিস্তানের কথা না হয় বললাম না; শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, এমনকি বাংলাদেশও মাঝেমধ্যেই ভারতের এই দাদাসুলভ আচরণের বিরোধিতা করছে। পরিস্থিতি যা-ই হোক, ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় তার প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">যেভাবেই সংজ্ঞায়িত করি না কেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেই ভারত এক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। পাকিস্তানের ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইমরানের স্লোগান ছিল, যে মোদির বন্ধু সে দেশদ্রোহী। রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কা ও নেপালেও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা পরস্পরকে প্রায়ই চীনপন্থী (অর্থাৎ ভারতবিরোধী) কিংবা ভারতপন্থী বলে অপবাদ বা আখ্যা দিয়ে থাকেন। গত বছর অক্টোবরে মালদ্বীপের নির্বাচনে এই ভারত ফ্যাক্টরের সর্বোচ্চ প্রতিফলন দেখা যায়, যেখানে </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">ভারত হটাও</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt"> স্লোগান নিয়ে বিরোধী দল বিজয়ী হয়। নতুন প্রেসিডেন্ট মুইজু প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে চীন যান। পরবর্তীকালে ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। সুতরাং ভারত ফ্যাক্টর যে শুধু প্রতিবেশীদের জন্যই নয়, ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতি ও আঞ্চলিক সম্পর্কের নীতি নির্ধারণেও এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক। আর আসন্ন নির্বাচনে এই ভারত ফ্যাক্টর দক্ষিণ এশিয়ায় কিভাবে বিবর্তিত হবে, সেটা পর্যালোচনায় ব্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষজ্ঞরা।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">পরবর্তী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য আঞ্চলিক পর্যায়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেটা মালদ্বীপের নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি থেকেই প্রতীয়মান। পরিস্থিতির এই অবনতি মাত্র পাঁচ বছর আগেও কেউ চিন্তাও করেনি।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">একদা ভারতের ওপর নির্ভরশীল অংশীদার থেকে শ্রীলঙ্কা এখন চীন বনাম ভারত আখড়ায় পরিণত। ফলে ভারত-লঙ্কা সম্পর্ক দোদুল্যমান, যদিও ভারতের চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদানে দেশটিতে জ্বালানি, ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা সহজ হয়েছে। কিন্তু এই সহায়তাই যে লঙ্কান জনগণের ভারতের প্রতি মন গলিয়ে দেবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলার কোনো সুযোগ নেই। শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনো এমন যে হঠাৎ করেই ভারতবিরোধী চিন্তাধারা নীতিনির্ধারকদের প্রাধিকারে পরিণত হতে পারে। ভুটান ও নেপালে আপাতত বড় ধরনের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কিংবা নীতিগত বিবর্তনের আশঙ্কা নেই। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেই ভারতের পররাষ্ট্রসচিব যথাক্রমে ভুটান ও নেপাল সফর করেন। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে নেপালের সঙ্গে এই মোদি সরকারের আমলেই ভারতের সম্পর্ক প্রায় ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক সংযোগ স্থাপনে ভারতের ওপর থিম্পুকে অনেকটাই নির্ভরশীল থাকতে হয়। তা ছাড়া এই দুই দেশেই চীনের যথেষ্ট প্রভাব ও অংশগ্রহণ রয়েছে, যা দিল্লির জন্য উদ্বেগজনক।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">পাকিস্তান আর ভারত নিয়ে একই ফোরামে কথা বলাও যেন এখন স্নায়ু টান টান উত্তেজনার উদ্রেক করার মতো। ভারতের সঙ্গে চারটি যুদ্ধে লিপ্ত পাকিস্তান ভারতের পরম শত্রু ও চরম চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি পাকিস্তানের নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় রাজনীতি সমন্বয়হীনতায় ভুগছে। জোটবদ্ধ সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বিনিময় করে সরকার গঠন হলে, সেটা পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতিকে কোথায় নিয়ে যাবে, তা এখনো ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">ভারতের গত কয়েক বছরের এবং সম্প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলা যায় যে দিল্লির এবং ভারতের সরকারি দলের মূল প্রাধিকার হলো নিকট প্রতিবেশীরা ভারতের আঞ্চলিক, দ্বিপক্ষীয় ও নিরাপত্তা স্বার্থের প্রতি সহনশীল ও গ্রহণযোগ্য নীতি মেনে চলুক। সেটা হলেই ভারতের চলবে। ভারত তখন আর প্রতিবেশীর অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি; যেমন</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">—</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার ইত্যাদি নিয়ে তেমন মাথা ঘামাবে না।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">ভারতের নির্বাচনে ফল যা-ই হোক না কেন, কোনো সরকারই দক্ষিণ এশিয়ায় পশ্চিমা কোনো রাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের পক্ষপাতী হবে না। দক্ষিণ এশিয়ায় পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষা করতে হলে তাদের ভারতের মধ্য দিয়েই কাজ করতে হবে, এটা ভারতের নীতিনির্ধারকদের মত। বিজেপি-কংগ্রেস-মোদি-রাহুল-নির্বিশেষে সবাই এই এক জায়গায় কোনো ছাড় দিতে নারাজ। একইভাবে চীন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং একই সঙ্গে বিশাল বাণিজ্যিক অংশীদার ও প্রতিযোগী। সুতরাং এখানে ভারতের কূটনৈতিক ও আঞ্চলিক নীতিনির্ধারণী কৌশলগত অনেক মারপ্যাঁচ নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে; সে বিষয়েও তারা সবাই একমত। একই সঙ্গে তারা এ বিষয়েও একমত যে চীন দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রতিবেশীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নিজ বলয়ে টেনে ভারতকে সব দিক দিয়ে স্তিমিত করতে আগ্রহী। সুতরাং আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে চীন তার সবচেয়ে বড় হুমকি। তাই ভারত এখন চীনের সঙ্গে বেইজিংয়ের আদলেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">পাকিস্তান ছাড়া আর সবাইকেই ভারত এখন উন্নয়ন ও নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করে, যেমনটা চীন করে। ১৯৪৭ সাল থেকে এযাবৎ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের ভারত প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩৩ বিলিয়নই বরাদ্দ হয়েছে গত এক দশকে। তা-ও কেবল ২০১৪ থেকে চীনের মোট ৮৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছে সেটা নস্যি। ভারতের নতুন সরকারকে আসন্ন বছরগুলোতে প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে আশানুরূপ ফল পেতে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">এসবই ভারত সরকারকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকিয়ে রাখছে, হয়তো রাখবেও। বিজয়ের মালা পরতে ভারতের এখনো অনেক বাকি। আর এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই ভারতের নতুন সরকারকে নির্বাচন-পরবর্তী সময় আঞ্চলিক পর্যায়ে নিজের প্রভাব টিকিয়ে রাখতে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভারত যে কোনো ছাড় দেবে না, সেটা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি, যেখানে বাংলাদেশ অগ্রজ এবং গত এক দশকে অগ্রণী ও অনন্য ভূমিকা রেখেছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">সেই কৌশলের পুনরাবৃত্তি হিসেবে ভারত তার সব প্রতিবেশীকেই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। চীনের মতো বিশাল অঙ্কের না হলেও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিবেশীদের নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে ভারতের নতুন সরকারকে। সহজ কথায়, মোদির পুনরুত্থান হোক কিংবা মোদি সরকারের অবসান</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">—</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.2pt">দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীনই থাকবে। ভারতকে চীনের সঙ্গেই লড়াই করে, পশ্চিমাদের দূরে সরিয়ে রেখেই নিজ আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক অভিযান চালিয়ে যেতে হবে। তবে এটুকু বলতেই হয় যে মোদি সরকার আড়ম্বর করে এই কৌশলনীতি অবলম্বন করা সত্ত্বেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে ভারতবিদ্বেষী মনোভাব রয়েছে, এর জন্য ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক স্খলন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের উচ্চাভিলাষী ও বড় ভাই সুলভ আচরণ অনেকটাই দায়ী। বিজেপি সরকারের প্রত্যাবর্তন এই আচরণকে আরো নেতিবাচক পথেই এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা। আর মোদি সরকারের ফিরে আসাটা ভারতের গণতন্ত্রের জন্য যেমন আশঙ্কাজনক, তেমনি তার প্রভাব নিকট আত্মীয়দের শাসনব্যবস্থায়ও পড়বে; যেটা রাষ্ট্রগুলোর সাধারণ জনগণ নিতে পারবে না, পারছেও না অনেক ক্ষেত্রে। তাই দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ মানুষের মনোভাব কিছুটা পর্যালোচনা করলে বলতে হয়, মোদি সরকার না এলেই হয়তো তারা স্বস্তি পাবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt">লেখক : রাজনৈতিক</span></span></span></span></b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.3pt"> ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"> </p>
