<p>এপ্রিল মাসের শুরুতে বান্দরবানের রুমা, থানচি ও আলীকদমে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা সংক্ষেপে কেএনএফ নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন যা ঘটিয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং এমনটি ঘটানোর সুযোগটি তারা পেয়েছে, সেটিও অপ্রত্যাশিত—একই সঙ্গে অগ্রহণযোগ্য। এমন একটি র‌্যাগট্যাগ ও পার্বত্য অঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কহীন দল প্রথম দিন সন্ধ্যার পরপরই এবং পরের দিন দিব্যি দুপুরবেলায় কিভাবে এত বড় ডাকাতি করার সাহস পেল তা শুধু নয়, কর্ম সেরে নির্বিঘ্নে চলেও গেল, এটিও কি এক বড় প্রশ্ন নয়? ভিডিও ফুটেজ এবং পরবর্তী সময়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের বহরে কিছু একনলা বন্দুক ছাড়া আধুনিক কোনো অস্ত্র দেখা যায়নি। প্রথম দিন রাত ৯টায় রুমার সোনালী ব্যাংকে এবং পরের দিন স্বল্প কিছু দূরে থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের ওপর তারা আক্রমণ চালায়। দুটি আক্রমণের বেলায় যা যা ঘটেছে, তাতে স্পষ্টতই বোঝা যায়, তাদের লক্ষ্য ছিল টাকা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর তারা গুলি চালায়নি। রুমার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণের বিনিময়ে দুই দিন পর ছেড়ে দেয়। অপহরণেরও উদ্দেশ্য ছিল টাকা। রুমার সোনালী ব্যাংক থেকে কোনো টাকা তারা নিতে পারেনি বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। রুমার সোনালী ব্যাংকে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সরকারি নিরাপত্তা প্রহরীদের কাছ থেকে ১৪টি রাইফেল ও কিছু গুলি তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।</p> <p><img alt="রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ছাড় নয়" height="468" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/04.April/26-04-2024/1.jpg" style="float:left" width="500" />এবার ঘটনার পোস্টমর্টেম করতে হলে বিশেষ কয়েকটি দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, বোঝা যায় কেএনএফ দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েই আক্রমণ চালিয়েছে। বুঝতে পেরেছে তাত্ক্ষণিকভাবে তারা কোনো পাল্টা আক্রমণ ও প্রতিরোধের সম্মুখীন হবে না। বাস্তবে সেটিই ঘটেছে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এমন আক্রমণের কথা বোধ হয় ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারেননি। তাঁরা সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখেছেন। কোনো রিঅ্যাকশন দেখাননি, একটি গুলিও ছোড়েননি। অথচ তাঁদের অস্ত্র-গোলাবারুদগুলো কেএনএফের সদস্যরা নিয়ে গেল। শান্তিচুক্তির পরেও পার্বত্য চট্টগ্রামে জননিরাপত্তার জন্য একটা ঝুঁকি সব সময়ই ছিল। সময়ে সময়ে তার মাত্রাগত তারতম্য থাকলেও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত রক্তারক্তি ঘটনায় বোঝা যায় ঝুঁকিটা অবশ্যই ছিল, যা এখনো আছে। সে ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরীদের জন্য এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) এবং তার অনুশীলন সব সময় কতখানি কী হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানা না গেলেও সেদিন নিরাপত্তা প্রহরীরা অসহায়ের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব কিছু শুধু যে দেখেছেন, তা এখন সবাই জানতে পেরেছে। এসওপি ও তার অনুশীলন এবং সেদিন নিরাপত্তা প্রহরীদের পরিপূর্ণ নীরব থাকার বিষয়ে বান্দরবানের মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য পত্রপত্রিকায় দেখিনি।</p> <p>রুমার ব্যাংকে আক্রমণের পরের দিন দুপুরবেলায় কেএনএফ আবার আক্রমণ চালানোর সাহস পাওয়ায় মনে হয়, তারা খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিল। তাদের এই আত্মবিশ্বাসের সূত্র কী, তা কেউ জানতে পেরেছে কি না, জানি না। নিরাপত্তার মৌলিক নীতিতে বলা হয়, একটি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা ঘটার পর একই রকম অন্যান্য স্থানে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে হয়। থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল কি না, জানি না। তবে কেএনএফ ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নির্বিঘ্নে চলে গেছে। ভিডিও ফুটেজে কেএনএফের কাছে যে ধরনের অস্ত্র দেখা গেছে, তা দেখে মনে হয় ব্যাংকে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীরা চ্যালেঞ্জ করলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত।</p> <p>দুই বছর আগে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের কথা আমরা জানতে পারি। তখন জানা যায়, কেএনএফ অর্থের বিনিময়ে ইসলামী মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার সদস্যদের গহিন পাহাড়ে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এতে আরেকটি বিষয় বোঝা যায়, এদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা বলতে কিছু নেই। ২০২২ সালের পর সাম্প্রতিক ঘটনার আগেও তারা বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে এবং তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষও আহত, নিহত হয়েছে। পাহাড়ের আরেক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। এদের সঙ্গেও কেএনএফের সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। এতে বোঝা যায়, ইউপিডিএফসহ অন্যান্য অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠন; যেমন—জনসংহতি সমিতির দলছুট অংশ জেএসএস (এম এন লারমা) এবং ইউপিডিএফের অন্য গ্রুপ ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), এদের সঙ্গে কেএনএফের সুসম্পর্ক নয়, বরং বৈরিতার সম্পর্ক বিদ্যমান। এতে আরেকটি বিষয় বোঝা যায়, পাহাড়ের উপজাতিদের ভেতর সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সংখ্যায় বেশি চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কাছে এদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।</p> <p>পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখন বাঙালি। বিভিন্ন উপজাতি মিলে বাকি অর্ধেক। এই অর্ধেকের প্রায় ৯৭ শতাংশ চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও মুরং। আর কেএনএফ যাদের প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি করে, যদিও সে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই, সেই বম, প্যাংখো, লুসাই ইত্যাদি মিলে পাহাড়ি জনসংখ্যার ১ শতাংশও হবে না। সুতরাং মোট পাহাড়ি জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম, আর ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে তাদের সংখ্যা শতকরা পয়েন্ট শূন্য শূন্য এক ভাগও হবে না। এদের থেকে বাংলাদেশের সমতলে যে বিভিন্ন উপজাতি রয়েছে, তাদের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। এত স্বল্পসংখ্যক মানুষের জন্য রাষ্ট্রের মধ্যে বিভাজন ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক মর্যাদার দাবি একদম যে হাস্যকর এবং অবাস্তব, সেটি ওই দাবিওয়ালারাও ভালো করে জানে। কিন্তু রাজনৈতিক ছদ্মবেশ থাকলে অনেক অপকর্ম করেও পার পাওয়া যায়। রাজনৈতিক ছদ্মবেশের আরেকটি সুবিধা আছে। পশ্চিমা বিশ্বেও কিছু এনজিও, যাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়, তাদের কাছ থেকে কিছু সহযোগিতা ও সমর্থন পাওয়া সহজ হয়।</p> <p>পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের চীন জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী এবং ভারতের মিজোরাম ও মণিপুরে কুকি-চিন সশস্ত্র গোষ্ঠী বহুদিন ধরে সক্রিয়। মিয়ানমার ও ভারতের ওই সব সশস্ত্র গোষ্ঠীর জন্য সুবিধা হয় সীমান্তের এপারে বাংলাদেশের ভেতর যদি সমগোত্রীয় কোনো সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী থাকে। এতে ওই দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে টিকতে না পারলে সীমান্ত পেরিয়ে পাহাড়ে দুর্গম এলাকায় বাংলাদেশি সন্ত্রাসীদের কাছে তারা নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে। দ্বিতীয়ত, কেএনএফ বাংলাদেশ থেকে যদি অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহ করে দিতে পারে, তাহলে সেটি আরেকটি বাড়তি সুবিধা। সুতরাং মিয়ানমার ও ভারতের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে কেএনএফের সম্পর্ক ও সংযোগের বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখা এবং দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কমন শত্রু সন্ত্রাস-বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে সমন্বয়মূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা যেতে পারে।</p> <p>সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক মর্যাদা নিয়ে আলোচনায় বসতে পারাটা কেএনএফের জন্য বড় ঘটনা ছিল। এর ফলে সীমান্তের ওপারের সন্ত্রাসীদের কাছে তাদের মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে কিছু যুবক শ্রেণির ছেলেমেয়েকে দলে ভেড়ানোর পথ সুগম হয়। নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক পন্থায় নিজেদের দাবি আদায়ের কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে যারা শুরুতেই অস্ত্রের ভাষায় কথা বলেছে, তাদের সঙ্গে সরকারি প্রতিনিধিদলের আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে, তা বাইরে থেকে বোঝা যায়নি। শোনা যায়, তারা নাকি সীমান্ত রাস্তা নির্মাণের বিরোধিতা করেছে। এ কথা সত্য হলে তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে কারো বাকি থাকার কথা নয়। ২ এপ্রিল আলোচিত ঘটনা ঘটার চার-পাঁচ দিন পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। কেএনএফের প্রধান সমন্বয়কসহ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন সন্দেহভাজন ঈদের আগেই গ্রেপ্তার হয়। ঈদের পরে আরো কিছু সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং কিছু একনলা বন্দুক উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। ২০ এপ্রিল পত্রিকার খবরে দেখলাম, বান্দরবানের একটি সেনা ক্যাম্পে কেএনএফের এলোপাতাড়ি গুলিতে তিনজন আহত হয়েছেন।</p> <p>কেএনএফের প্রধান নাথান বম এখন কোথায় তার কিছু জানা যায়নি। শোনা যায়, তিনি নাকি একসময়ে এনজিও করতেন এবং সেই সুবাদে ইউরোপের অনেক দেশের সঙ্গে তাঁর ভালো যোগাযোগ আছে। অনির্ভর সূত্রে শুনেছি, তিনি নাকি এখন নেদারল্যান্ডস অথবা সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছেন। এসব তথ্য সঠিক হলে আরো অনেক কিছু বোঝার আছে। ঈদের পরে আবার যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদ ও টাকা উদ্ধারের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। যদি সীমান্তের ওপারে না গিয়ে থাকে, তাহলে হয়তো সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে। যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযান হয়তো একসময়ে এসে সমাপ্ত হবে, কিন্তু তারপর কী—সেটিই এখন নতুনভাবে ঠিক করা উচিত।</p> <p>পাহাড়-পর্বত দুর্গম গহিন অরণ্যে ঢাকা এলাকা হওয়ায় সমতল ভূমিতে নিরাপত্তা বিধান যেভাবে করা যায়, সেটি এখানে সম্ভব নয়। সুতরাং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ভূমিবিন্যাসের সীমাবদ্ধতাকে স্মরণে রেখে সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। শান্তিচুক্তির পর গত ২৭ বছরে পুরো পার্বত্য অঞ্চলের চেহারা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। সব জাতি-উপজাতির মানুষের গায়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সমতল ভূমির সব সুযোগ-সুবিধা এখন পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যমান। তাই পার্বত্য অঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী আর অশান্তি চায় না। কিন্তু কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অস্ত্রের জোরে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। এদের সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসলে এরা আরো আশকারা পায়। এরা স্রেফ সন্ত্রাসী।</p> <p>শান্তিচুক্তির শর্ত অনুযায়ী, প্রত্যন্ত এলাকার সেনা ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার হওয়ায় কেএনএফের মতো সন্ত্রাসীরা সহজে তৎপরতা চালাতে পারছে। শান্তিচুক্তির ‘ঘ ১৭(ক)’ ধারা অনুসারে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতির ক্ষেত্রে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং এই জাতীয় অন্যান্য কাজে দেশের সব এলাকার মতো প্রয়োজনীয় যথাযথ আইন ও বিধি অনুসরণ করে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে। সুতরাং যে এলাকায় কেএনএফের বিচরণক্ষেত্র, সেসব এলাকায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক শক্তিশালী সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা জরুরি। আর এসব এলাকায় শুধু নিরাপত্তা বিধানকল্পে নিরাপত্তাজনিত সব কর্মকাণ্ডের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হলে যে ধরনের সমন্বয়ের অভাব দেখা গেছে, তা হয়তো থাকবে না। দ্বিতীয়ত, মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরামের সঙ্গে সীমান্ত ঘেঁষে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে দ্রুত সীমান্ত সড়ক নির্মাণ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক শক্তিশালী ফাঁড়ি স্থাপন করা প্রয়োজন, যাতে আন্ত সীমান্ত চলাচল শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়। তৃতীয়ত, একই রকম সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা মিয়ানমার ও ভারতকেও মোকাবেলা করতে হচ্ছে বিধায় ত্রিদেশীয় বহুমুখী নিরাপত্তা সমন্বয়ের ব্যবস্থা প্রবর্তনের বিষয়টিও ভাবা যায়।</p> <p>গতানুগতিক নয়, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন করে ভাবতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।</p> <p>লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক</p> <p>Sikder52@gmail.com</p> <p> </p> <p> </p>