<p> ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। ভারত ছাড়িয়ে বাংলাদেশেও সেই ভূমিকম্পের ফলে বড় ধরনের কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল। অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কিন্তু আতঙ্ক তো কোনো সমাধান দেবে না। এ জন্য প্রয়োজন সঠিকভাবে ঘরবাড়ি তৈরি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ফ্ল্যাট প্লেট (flat plate) সিস্টেমে ভবন নির্মাণের প্রবণতা বেড়ে গেছে। ফ্ল্যাট প্লেট হলো সেই সিস্টেম, যেখানে কোনো বিমের অস্তিত্ব থাকে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি সিস্টেম। একটি কাঠের চেয়ারের চার পায়ার সঙ্গে আনুভূমিকভাবে কাঠের আলাদা ফ্রেম লাগানো হয়। একটু চিন্তা করলেই আমরা বুঝতে পারব যে ওই ফ্রেমগুলো লাগানো না থাকলে চেয়ারটি কিছুদিন ব্যবহারের ফলেই দুর্বল হয়ে পড়ত এবং পায়াগুলো নড়বড়ে হয়ে যেত। বিমগুলোও ভবনের বেলায় ঠিক একই রকম ফ্রেমের মতো কাজ করে এবং এই বিমের কারণেই কলামগুলো শক্ত-সমর্থ থাকে। ফ্ল্যাট প্লেট ভূমিকম্প প্রতিরোধব্যবস্থায় দুর্বল ও বিপজ্জনক। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (BNBC) অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোয় ফ্ল্যাট প্লেট সিস্টেমে ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেই। শুধু ঘরের ভেতর বিম ঝুলে থাকবে- এই দোহাই দিয়ে অনেক ভবন মালিক বিম-কলাম সিস্টেমে বিল্ডিং বানাতে চান না। অথচ একজন ভালো স্থপতিকে দিয়ে ভবনের নকশা করালে সেখানে এমনভাবে সব কিছু করা সম্ভব যে বিম থাকা সত্ত্বেও তা বাসিন্দাদের খুব একটা দৃষ্টিগোচর হবে না এবং ভবনের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।</p> <p> একটি ভবন নির্মাণের সময় এ বিষয়টি অবশ্য মাথায় রাখা উচিত, যেন ভবনটি কোনো অবস্থায়ই ডিজাইনের বেশি উচ্চতাসম্পন্ন না হয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে ছয়তলার অনুমোদন ও ডিজাইন করিয়ে নিয়ে সেখানে ৯-১০ তলা নির্মাণ করা হচ্ছে। রানা প্লাজার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটেছিল। একজন মানুষ যদি ২০ কেজি ওজন মাথায় নেওয়ার সামর্থ্য রাখে এবং তার ওপর যদি ৪০ কেজি ওজন চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সে যে অতিরিক্ত ভারে নুয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই ভবনের ফাউন্ডেশন যদি ছয়তলার হয়ে থাকে, তাহলে তার ওপর সাততলা নির্মাণ করাও বিপজ্জনক। কিন্তু আমাদের দেশের ভবন মালিকরা এ বিষয়টি প্রায়ই লঙ্ঘন করে থাকেন।</p> <p> অনেক সময় ভবন মালিকরা প্রকৌশলীকে জিজ্ঞেস করেন যে তাঁর করা ডিজাইনে ভবনটি ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে কত রিখটার স্কেল পর্যন্ত সহনশীল হবে? একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, কত রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হচ্ছে এর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কোথায়। রিখটার স্কেলের ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়তো ঢাকা শহরের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে না, যদি তার উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে চার হাজার মাইল দূরে হয়। অথচ রিখটার স্কেলের ৫ মাত্রার ভূমিকম্পও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, যদি তার উৎপত্তিস্থল ঢাকা বা তার আশপাশে কোথাও হয়। মূলত কোনো জায়গার ভূমিকম্পের পূর্ব-ইতিহাস এবং ওই জায়গার ভূগর্ভস্থ চরিত্র (geological characteristics) বিশ্লেষণ করে ভূমিকম্পের তীব্রতা হিসাব করা হয় এবং ভূমিকম্প হলে মাটিতে সর্বোচ্চ কতটা কম্পন (vibration) সৃষ্টি হতে পারে, তা নির্ণয় করে ভবনটির ডিজাইন করা হয়ে থাকে।</p> <p> <a name="RIMG0"></a></p> <p> রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে যতটা নিয়মনীতি মেনে চলে, স্ট্রাকচারাল ডিজাইন নিয়ে অতটা মাথা ঘামায় না। বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে শুধু প্ল্যান পাস হয়ে গেলেই ভবনটি নির্মাণের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল। কিন্তু ভবনটি কোনো দক্ষ প্রকৌশলীকে দিয়ে ডিজাইন করানো হচ্ছে কি না এবং নির্মাণকালে ভবনের সার্বিক নিরাপত্তার (safety) বিষয়টি যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না- এ বিষয়গুলো উপেক্ষিতই রয়ে যাচ্ছে। এ কারণে অনেক ভবন ডিজাইন ছাড়া তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রাজউকসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে যেসব কর্তৃপক্ষ এ কাজের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত, তাদের আরো সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। অন্য জেলা শহরগুলোতেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করে কেন্দ্রীয়ভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।</p> <p> ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে কোনো ভবনের নকশা ও ডিজাইন করার জন্য অবশ্যই রাজউকের অনুমোদিত স্থপতি ও প্রকৌশলী হতে হবে। প্রায়ই দেখা যায়, শুধু ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ বা আইইবির সদস্য হয়েছেন এমন ইঞ্জিনিয়ার ডিজাইন করে থাকেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। কেননা স্নাতক পাসের পর দুই বছর অতিক্রম করলেই আইইবির সদস্য পদ পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি যদি এ সময়ে প্রত্যক্ষভাবে ডিজাইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকেন, তাহলে তিনি কিভাবে একটি ভবনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করবেন? আরেকটি বিষয় হলো, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও পেশাগত বিষয় এক নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সবাই ডিজাইন সম্পর্কে পড়াশোনা করে এলেও পেশাগত ক্ষেত্রে আরো অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়, যেটা এর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকলে অর্জন করা যায় না। উদাহরণস্বরূপ, অনেক ইঞ্জিনিয়ার আছেন যাঁরা সফটওয়্যারের সাহায্যে একটি ১০ তলা ভবন ডিজাইন করে ফেলতে পারেন অথচ বাস্তব ক্ষেত্রে একটি ১০ মিলিমিটার রড ও একটি ১২ মিলিমিটার রডকে আলাদা করতে পারেন না। কাজেই শুধু আইইবির সদস্য হলেই যে তিনি ডিজাইন করতে পারবেন, এটা ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করে তারপর ডিজাইন করা উচিত। রাজউকের একটি শাখা আছে, যেটি এ ধরনের পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এর নাম বাংলাদেশ প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার্স রেজিস্ট্রেশন বোর্ড (বিপিইআরবি)। এখানে পরীক্ষা দিয়ে একজন প্রকৌশলী তাঁর যোগ্যতার মাপকাঠি বিচার করে ডিজাইন করতে পারেন; যদিও এই বিপিইআরবিতেও অনেক ফাঁকফোকর আছে। যেমন, এখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য চার রকম পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। ক) স্ট্রাকচার, খ) সয়েল, গ) কনস্ট্রাকশন এবং ঘ) প্লাম্বিং। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্লাম্বিংয়ের জন্য পরীক্ষা দিয়ে রাজউক থেকে একটি নম্বর পেয়ে তিনি স্ট্রাকচারাল ডিজাইনেও সই করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে রাজউককে আরো বেশি চোখ-কান খোলা রাখা উচিত। এসব ক্ষেত্রে রাজউক প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বরে শ্রেণি বিভাগ থাকা উচিত, যেটা দেখলে বোঝা যায় যে ওই প্রকৌশলী কোন ধরনের ডিজাইন করার যোগ্যতা রাখেন। কাজেই প্রকৌশলীদের প্রতি একটি অনুরোধ, তাঁরা যেন ঢালাওভাবে সব ধরনের ডিজাইনে সই না করেন। যদি করতেই হয়, তবে রাজউক থেকে যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়ে অনুমোদন নিন।</p> <p> রানা প্লাজা ধসের প্রধান তিনটি কারণ হলো- ক) অত্যন্ত নিম্নমানের কংক্রিটের ব্যবহার, খ) ছয়তলার অনুমোদন নিয়ে ৯ তলা নির্মাণ এবং গ) বাণিজ্যিক হিসেবে নির্মিত ভবনে গার্মেন্ট ভাড়া দেওয়া। রানা প্লাজার ক্ষেত্রে বিষয়টি আমাদের চোখে ধরা পড়েছে বলে আমরা এখন এসব বিষয় নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছি। অথচ আতঙ্কের বিষয় হলো- সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার অভ্যন্তরেও এমন শত সহস্র ভবন আছে, সেখানে অত্যন্ত নিম্নমানের কংক্রিট ব্যবহৃত হয়েছে, অনুমোদনের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত বেশ কয়েক তলা বানানো হয়েছে এবং আবাসিক বা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা ভবনে কলকারখানা ও ভারী যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। কাজেই অদূর ভবিষ্যতে যদি আরো কিছু ভবনের রানা প্লাজার মতো পরিণতি হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আশঙ্কাজনক হলেও সত্য, কিছু কিছু ক্ষেত্রে রানা প্লাজা থেকেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে প্রাণহানির সংখ্যা রানা প্লাজাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। রানা প্লাজা সাভার মেইন রোডের ওপর হওয়ায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছতে পেরেছে। কিন্তু এমন কিছু ভবন এই ঢাকা ও এর আশপাশে আছে, দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকর্মীদের সেখানে পৌঁছতেই অনেক বেগ পেতে হবে। সুতরাং ভবন মালিকদের এখনই সতর্ক হতে হবে, যেন তাঁরা তাঁদের ভবনটি অন্য কোনোভাবে ব্যবহার না করেন এবং যদি ইতিমধ্যে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবনটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়ে থাকে, তবে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করুন। সেই সঙ্গে কলকারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ, কোনো ভবন ভাড়া নেওয়ার আগে জেনে নিন যে ভবনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহারের উপযুক্ত কি না।</p> <p> আমাদের দেশে ইস্পাতের তৈরি ভবনের প্রচলন এখনো খুব বেশি শুরু হয়নি; যদিও দেশে ইস্পাতের তৈরি ফ্যাক্টরি ভবনের সংখ্যা প্রচুর, তবু এর বাইরে সাধারণ ভবনের বেলায় এটি খুব বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ইস্পাতের ব্যবহারকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তোলা প্রয়োজন। কেননা এ ধরনের ভবনে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন, ইস্পাতের ভার বহনক্ষমতা অনেক বেশি, যার ফলে ধসে পড়ার ঝুঁকি কম, ভূমিকম্প প্রতিরোধব্যবস্থায় এটি অনেক উপযোগী, অল্প সময়ে ভবনটি নির্মাণ করা যায়। ফলে খরচ অনেক কমে যায় এবং ইস্পাতের স্ক্র্যাপ ভ্যালু অনেক বেশি অর্থাৎ ভবনটিকে চাইলে ভেঙে ফেলা যায় আর ওই ইস্পাতগুলোকে অন্য জায়গায় আবার ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে যেসব ভবনে শিল্প-কারখানার ভারী যন্ত্রপাতি ও জেনারেটর বসবে সেসব ভবন ইস্পাত দ্বারা নির্মাণ করা উচিত। আমাদের দেশে বর্তমানে বেশ কিছু ভালো প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ইস্পাতের কাঠামো নির্মাণ করে থাকে। কাজেই শুধু ফ্যাক্টরি ভবনের ক্ষেত্রেই এর ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ না রেখে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও এর ব্যবহারকে বিস্তৃত করা যেতে পারে।</p> <p> শরীর ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে সব সময় যে মস্তিষ্ক দায়ী, তা নয়। অনেক সময় কানের সমস্যার জন্যও শরীর ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। কারণ মানুষের কান শরীরের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অনেকাংশে দায়ী। সে ক্ষেত্রে কানেরও চিকিৎসার প্রয়োজন। এ কথা বলার উদ্দেশ্য এই যে বাংলাদেশে ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্ঘটনাগুলোর জন্য কোনো একটি বিষয় এককভাবে দায়ী নয়। এর সঙ্গে আরো অনেক বিষয় জড়িয়ে থাকে, যেগুলো আপাতদৃষ্টিতে প্রকট বলে মনে হয় না। কাজেই ভবন মালিকদের সদিচ্ছা থেকে শুরু করে কর্তৃপক্ষের নজরদারি, প্রকৌশলগত ও কারিগরি খুঁটিনাটি, নির্মাণ উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণকাজের সার্বিক তত্ত্বাবধান ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এখনো যদি আমরা সতর্ক না হই, তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। শুধু দুঃখ প্রকাশ করেই আমরা এর দায় এড়াতে পারি না। তাজরীন ফ্যাশনস ও স্পেকট্রাম ভবনের দুর্ঘটনা থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারিনি। সাভারে রানা প্লাজাও একটি নির্মম শিক্ষা দিয়ে গেল। ভূমিকম্প ছাড়াই যেখানে এমন ভবনধসের ঘটনা ঘটে সেখানে নেপালের মতো বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কী অবস্থা হবে তা সহেজই অনুমেয়। এর পরও কি আমরা চোখ বন্ধ করে রাখব?</p> <p> লেখক : সাবেক অধ্যাপক, পুরকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)</p> <p> ও সভাপতি, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)</p>