<p>২০১৫ সালে শুটিং শুরু হলেও নানা জটিলতায় কয়েকবার শুটিংয়ের ডেট পরিবর্তন হয়েছে। মুক্তির এক সপ্তাহ আগেও হয়েছে গানের শুটিং। সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার পর হলো গানের শুটিং। বলতে গেলে নজিরবিহীন ঘটনা! আঁচল বলেন, ‘দুটি গানের শুটিং বাকি ছিল। আমি যখন শিডিউল দিয়েছিলাম তখন বাপ্পীর শিডিউল ছিল না। সমস্যাটা হয়েছে এখানেই।’</p> <p>বাপ্পী বলেন, ‘দেরি হোক আর যাই হোক, ছবিটা কিন্তু ভালো হয়েছে। এখানে প্রেম আছে, গান-গল্প সবই আছে। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী ছবি এটা।’</p> <p>যশোর ও রাজবাড়ীতে ‘সুলতানা বিবিয়ানা’র বেশির ভাগ অংশের শুটিং হয়। এসব অঞ্চলে আগে কখনো শুটিং হয়নি। গল্পের কারণেই এমন জায়গা খুঁজে নিতে হয়েছে পরিচালককে। প্রয়াত ফারুক হোসেনের চিত্রনাট্যে তৈরি এ ছবির প্লট একটি ফুলের গ্রাম। গ্রামের লোকজনের পেশাই ফুল চাষ। সেই গ্রামেরই এক ছেলে ও মেয়ের প্রেমের গল্প।</p> <p>আঁচল বলেন, ‘যশোরের গদখালীতে আমরা শুটিং করেছিলাম। এত ফুল চারদিকে! জীবনে একসঙ্গে এত ফুল দেখিনি। বিশাল এলাকাজুড়ে ফুল আর ফুল। মাঠের পর মাঠ বর্ণিল ফুলে ঘেরা। রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, জারবেরা, জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা—কী নেই। আমার তো ওখানেই থেকে যেতে ইচ্ছে করছিল। খারাপ জায়গাও দেখেছি। চাঁদপুরে এমন জায়গা দেখেছি যেখানে প্রতিদিন চর ভাঙে। ছবিতে আমার বাড়িটাও ছিল এ রকম একটা জায়গায়।’</p> <p>শুটিং হয়েছে শীতকালে। বাপ্পী বলেন একটা দৃশ্যের কথা, ‘দৃশ্যটা খুব ভোরের, যখন সূর্য ওঠে। চারপাশ কুয়াশাঘেরা। আমরা গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে হেঁটে আসব। এমন একটা মুহূর্ত চাচ্ছেন পরিচালক। আমি আর আঁচলসহ ইউনিটের সবাই সারা রাত জেগে ছিলাম। দৃশ্যটা পরে দেখেছি, এত ন্যাচারাল হয়েছে বলে বোঝানো যাবে না। ছবির এই বিষয়গুলো দর্শকদের মুগ্ধ করবে।’</p> <p>জনপ্রিয় বেশ কিছু নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করেছেন হিমেল আশরাফ। ‘সুলতানা বিবিয়ানা’ তাঁর প্রথম ছবি। পরিচালকের প্রশংসাও করলেন বাপ্পী-আঁচল।</p> <p>বাপ্পী-আঁচল জুটিকে আগেও দেখেছে দর্শক। ২০১৩ সালে শাহীন সুমনের ‘জটিল প্রেম’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন তাঁরা। পরে আরো চারটি ছবিতে দেখা গেছে তাঁদের—‘প্রেম প্রেম পাগলামি’, ‘কি প্রেম দেখাইলা’, ‘আজব প্রেম’ ও ‘গুন্ডা দ্য টেররিস্ট’। ‘সুলতানা বিবিয়ানা’ এই জুটির ৬ নম্বর ছবি। একে অন্যের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? ‘কেমন আবার, শুটিংয়ে সারাক্ষণ হাসি-ঠাট্টায় মেতে থাকি’, বললেন বাপ্পী।</p> <p>আঁচল বলেন, ‘বাপ্পীর সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমাদের জুটিটাকে দর্শক গ্রহণ করেছে। ফলে নির্মাতারাও আমাদের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আশা করছি সামনে আরো অনেক ছবি করব একসঙ্গে।’</p> <p>‘সুলতানা বিবিয়ানা’ প্রসঙ্গ ছাড়িয়ে আলোচনা এবার অন্যদিকে মোড় নিল। মাঝখানে তো সব ছেড়েই দিয়েছিলেন। কী হয়েছিল আসলে? “আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করি তাঁরা অনেক দিন ধরে কাজ করছিলেন না। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা কাজ করেছিলাম। এরপর আসলে মনের মতো অফার পাচ্ছিলাম না। তাই ভালো কিছুর অপেক্ষায় ছিলাম। সামনে আরো দুটি ছবি আছে—‘এক কোটি টাকা’ ও ‘দাগ’। এগুলো কিন্তু ভালো ছবি।”</p>