<p>ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) আসনে মনোনয়ন যুদ্ধে বর্তমান সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে ঐক্য গড়েছেন চার নেতা। তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আরিফুর রহমান দোলন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার ও বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুসা মিয়া।</p> <p>গত শনিবার বোয়ালমারী উপজেলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিতসভায় বিভিন্ন অভিযোগ এনে তৃণমূল নেতারা দাবি করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী পদে পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নৌকার ভরাডুবি হবে। এ সভায় শুধু তৃণমূল পর্যায়ের ওই চার নেতার অনুসারী ও সমর্থকরা বক্তব্য দেন।</p> <p>বর্ধিতসভায় অংশ নিয়ে তৃণমূল নেতারা বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের রেখে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করে রেখেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অহেতুক মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করছেন।</p> <p>তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা আরো বলেন, সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান গত ১০ বছরে এলাকার উন্নয়নের দিকে নজর দেননি; বরং বরাদ্দ লুট, পুলিশসহ বিভিন্ন নিয়োগ বাণিজ্যে ব্যস্ত ছিলেন। জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করে তিনি কয়েক শ বিঘা জমিসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাদের অসম্মান করেছেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত হবে না। নৌকার ভরাডুবি ঠেকাতে হলে এ আসনে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। আব্দুর রহমান ছাড়া অন্য কাউকে মনোনয়ন দিতে হবে।</p> <p>বর্ধিতসভায় বক্তৃতা দেন বোয়ালমারীর পৌর মেয়র মোজাফফর হোসেন মিয়া বাবলু, আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সদস্য মোহাম্মদ আসাদুল করিম, আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাসান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেখা পারভীন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুভাষ সাহা, জেলা পরিষদের সদস্য আবু জাফর সিদ্দিকী, শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইস্রাফিল মোল্লা, সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সমপাদক আকরামুজ্জামান মৃধা রুকু, মলয় কুমার বোস, রাহাদুল আকতার তপন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু, রুপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজার রহমান, দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম মোল্লা, ময়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।</p> <p>সংসদ সদস্য আব্দুর রহমানের অনুসারী বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিরদাহ পিকুল বলেন, ‘ওই সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ৬৯ সদস্যের মধ্যে ৪০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। সভাপতি মুসা মিয়া আমার সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে একাই সভা ডেকেছেন। সভায় সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে আব্দুর রহমানকে বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হবে।’  তিনি আরো বলেন, প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের ক্ষেত্রে আব্দুর রহমানের বিকল্প কেউ নেই।</p> <p>চার নেতার জোট সম্পর্কে বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, ‘তাঁরা এলাকার মানুষের কাছে সুবিধাবাদী বলে পরিচিত। বিভিন্ন সময় অন্য দল করে এখন আওয়ামী লীগে পুনর্বাসিত হয়েছেন।’</p> <h4>► <a class="title" href="http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2018/10/23/694752" title="">মনোনয়ন পেতে চার লেখক সাংবাদিকের গণসংযোগ</a></h4> <h4>► <a class="title" href="http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2018/10/23/694753" title="">আমার ভোট আমি দেব, উন্নয়নের পক্ষে দেব</a></h4> <h4>► <a class="title" href="http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2018/10/23/694754" title="">বাতিলদের ক্ষমতার স্বপ্ন সুদূরপরাহত</a></h4> <h4>► <a class="title" href="http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2018/10/23/694755" title="">আ. লীগের মনোনয়ন চাইছেন নওয়াব আলী</a></h4> <h4>► <a class="title" href="http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2018/10/23/694756" title="">লিফলেট বিতরণ মোফাজ্জেলের</a></h4>