<p>জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় দেন।</p> <p>একই সঙ্গে মামুনুর রশীদের অবৈধভাবে অর্জিত ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৬ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন। তিনি গ্রেপ্তার বা আদালতে আত্মসমর্পণের পর সাজার রায় কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।</p> <p>দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের দুটি ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ২৬(২) ধারায় (জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন) দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।</p> <p>ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৩ মার্চ নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে ৪১ লাখ ৫৭ হাজার ৬১৩ টাকার সম্পত্তির হিসাব দেখান মামুনুর রশীদ। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মামুনুর রশীদ সম্পদের যে হিসাব দিয়েছেন, এর মধ্যে ৩৮ লাখের বেশি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত। তা ছাড়া তিনি সম্পদের তথ্যও গোপন করেন। এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক হেলাল উদ্দিন শরীফ বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন।</p>