<p>পরিবহন পদ্ধতিতে ‘চলন্ত রাস্তা’র ধারণা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে ‘চলন্ত রাস্তা’ নামের অভিনব এক পথের ধারণা দিয়েছেন চলচ্চিত্রকার আবু সাইয়ীদ। তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতি নাগরিক জীবনকে করবে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। পরিবেশকেও রাখবে শতভাগ দূষণমুক্ত। যানজটমুক্ত হবে ঢাকা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>নতুন পদ্ধতির এই পথের ধারণা দিতে গিয়ে আবু সাইয়ীদ বেশ কয়েকটি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে ধীরগতিসম্পন্ন চলন্ত রাস্তা ও দ্রুতগতিসম্পন্ন চলন্ত রাস্তা।</p> <p>ধীরগতিসম্পন্ন চলন্ত রাস্তা : এই রাস্তায় একই দিকে বিভিন্ন গতির একের অধিক রাস্তা বিরতিহীনভাবে চলমান থাকবে। প্রথম রাস্তার গতি থাকবে তিন কিমি/ঘণ্টা। দ্বিতীয় রাস্তার গতি থাকবে ছয় কিমি/ঘণ্টা। তৃতীয় রাস্তার গতি থাকবে ৯ কিমি/ঘণ্টা। চতুর্থ রাস্তার গতি থাকবে ১২ কিমি/ঘণ্টা।</p> <p>দ্রুতগতিসম্পন্ন চলন্ত রাস্তা : একই দিকে একটি রাস্তা, যা নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থামবে। ঢাকা শহরে দুই থেকে পাঁচ মিনিট পর পর ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের জন্য থামবে এবং এই রাস্তার গতি থাকবে ২০ থেকে ৪০ কিমি/ঘণ্টা। হাইওয়েতে গতি ৭০/৮০ কিমি/ঘণ্টা অথবা এর অধিক হতে পারে।</p> <p>রাস্তার মাঝামাঝি বরাবর উভয় দিকে চলমান দুই বা দুইয়ের অধিক চলমান রাস্তা স্থাপিত হবে। বিভিন্ন ক্রসিংয়ে ভিন্ন দিক থেকে আসা চলন্ত রাস্তা একে অন্যকে উড়ন্ত পদ্ধতিতে ক্রস করতে পারবে।</p>