<p>গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের ৬৭তম জন্মদিন ছিল ২১ ফেব্রুয়ারি। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর। জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত একক সংগীতানুষ্ঠানে শিল্পী একের পর এক ২০টির বেশি জনপ্রিয় গান গেয়ে শোনান। এ ছাড়া ছিল বিশেষ আলোচনা। এতে অংশ নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘ফকির আলমগীর এমন মানুষ যিনি গানের মধ্য দিয়ে আকৃষ্ট করেন। ভরাট কণ্ঠের অধিকারী এই শিল্পী আমাদের অভিভূত করেন, তেমনি দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেন। যখনই গণসংগীতের কথা ওঠে, তখনই উঠে আসে ফকির আলমগীরের নাম।’</p> <p>প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হয় গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ৭০ জন শিল্পীর পরিবেশনায় জাতীয় সংগীত ও উদ্বোধনী সংগীত ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ পরিবেশনে মধ্য দিয়ে। এরপর ‘আলো আমার আলো, আলোয় ভুবন ভরা’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দন।</p> <p>সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান প্রমুখ। শংসাবচন পাঠ করেন আফরোজা কণা। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব শওকত নবী। অনুষ্ঠানে ফকির আলমগীরের জীবন ও কর্ম নিয়ে ১৫ মিনিটের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।</p> <p>ছায়ানটের বসন্ত উৎসব : নাচেগানে বসন্ত বরণ উৎসব করল ছায়ানট। গতকাল সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে ছায়ানট ভবনে ছিল এ আয়োজন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে’ রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে নাচলেন শিল্পীরা। এরপর শিল্পী মহাশ্বেতা চৌধুরী গেয়ে শোনান ‘আজ সবার রঙে রং মেশাতে হবে’। রবীন্দ্র-নজরুল আর অতুল প্রসাদের গানের পরিবেশনা ছিল পালাক্রমে।</p> <p>বর্ণমালা উৎসব : শিশু-কিশোর পত্রিকা দুরন্তের আয়োজনে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো বর্ণমালা উৎসব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এ উৎসবে সহযোগিতা করে বাঘমামা। প্রধান অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন। শতাধিক শিশু এ উৎসবে নিজের মনের মতো করে বর্ণমালা ও ভাষা আন্দোলনের ছবি আঁকে। পরে তাদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।</p>