ধনী হওয়ার উপায় অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও বহু ধনী বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তাঁরা কয়েকটি উপায়ের কথা বলেন, যা কঠোরভাবে পালন করলে ধনী হওয়া সম্ভব অল্প বয়সেই। তবে এ ক্ষেত্রে বিষয়গুলো আংশিক মানলে হবে না, সফল হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অক্ষরে অক্ষরে বিষয়গুলো পালন করতে হবে। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই মিলিয়নেয়ার হওয়া গ্র্যান্ট কার্ডন এ লেখার ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন।
৩০ বছর বয়সেই ধনী হওয়ার ১০ উপায়

১. সর্বাত্মক চেষ্টা করুন
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আপনি সহজেই ধনী হতে পারবেন না। এ জন্য প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো টাকা উপার্জন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আর এতে যে পথগুলো সফল হবে সে পথে উপার্জন বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করতে হবে।
২. লোক দেখানো বন্ধ করুন
সামান্য কিছু টাকা হলেই তা দিয়ে বিভিন্ন বিলাসদ্রব্য কেনা অভ্যাস বন্ধ করুন।
৩. বিনিয়োগ ক্ষেত্র বের করুন
আপনার টাকা জমানোর মূল উদ্দেশ্য হবে তা দিয়ে যুৎসই বিনিয়োগ করা। আপনার যে টাকাটাই জমবে তাই বিনিয়োগ করার পথ খুঁজুন।
৪. লাভ ছাড়া ঋণ নয়
সরাসরি আর্থিক লাভ হয় না, এমন ঋণ বাদ দিন। ঋণ নিয়ে একটি গাড়ি কিনতে হলেও আপনার চিন্তা করতে হবে, এ থেকে কী লাভ হবে? যদি ব্যবসাক্ষেত্রে বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ আনতে পারে গাড়িটি, তা হলেই কেবল তা কেনা যেতে পারে।
৫. টাকাকে অগ্রাধিকার দিন
বহু মানুষই আর্থিক স্বাধীনতা আশা করে কিন্তু একে বাস্তবে অগ্রাধিকার দেয় না। যদি বাস্তবেই টাকাকে ভালোবাসেন তা হলে সে আপনার কাছে আসবেই। তবে সে জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
৬. বিশ্রাম বাদ দিন
মানুষের মতো টাকা ঘুমায় না। এর নেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন কিংবা অন্য কোনো বিশেষ দিবস। সারা বছর একটানা কাজ করে যায় টাকা। আর তাই টাকাকে ধরতে হলে আপনারও বিশ্রামের কথা ভুলে যেতে হবে। শুধু যে বিশ্রামটুকু না করলেই নয়, তাই করতে হবে।
৭. গরিব অবস্থাকে ভয় করুন
অনেক ধনী মানুষই অতীতে গরিব ছিলেন। বিল গেটস বলেন, 'গরিব অবস্থায় জন্মগ্রহণ করা আপনার ভুল নয়। কিন্তু গরিব অবস্থায় মৃত্যুবরণ করাটা আপনার ভুল।' গরিব হওয়াকে ভয় পাওয়া দারিদ্র্যের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে বহু ব্যক্তিকে উৎসাহিত করেছে।
৮. গুরু খুঁজে নিন
মধ্যবিত্ত সমাজে ধনী হওয়ার কলাকৌশল নিজে নিজে রপ্ত করা অনেক কঠিন। এ ক্ষেত্রে একজন ধনী ব্যক্তির আন্তরিক পরামর্শ প্রয়োজন। আর এ কাজে উপযুক্ত ব্যক্তি খুঁজে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৯. বিনিয়োগ, বিনিয়োগ, বিনিয়োগ
আপনার হাতে আয়ের সম্ভাব্য যত উৎস আছে, তা একত্রিত করে সতর্কভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। আর এ বিনিয়োগ থেকে পাওয়া অর্থ আবার বিনিয়োগ করতে হবে। এভাবে ক্রমাগত বিনিয়োগ করেই আপনার আর্থিক ভিত্তি সম্প্রসারিত হবে।
১০. বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
অনেকেই লক্ষ্য নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দেয় না। এ কারণে তারা লক্ষ্যমাত্রাই অল্প করে ধরে রাখে। ফলে মূল উপার্জন এর চেয়েও কমে যায়। তাই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দিন, এক কোটির জায়গায় টার্গেট করুন ১০ কোটি টাকার। এ ক্ষেত্রে পুরো টাকাটা না পেলেও এর কাছাকাছি অন্তত পৌঁছাতে পারবেন।
- বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব
জীবনযাপনের আরো লেখা পড়ুন অনলাইনে www.kalerkantho.com/lifestyle
সম্পর্কিত খবর

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করেন গণ-অভ্যুত্থানের ৬০ ছাত্রনেতা। গতকাল রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এই প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে ৬০ ছাত্রনেতা বলেন, ‘পুরনো আমলাতন্ত্র ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের চাপেই ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ঘোষণাপত্র পাঠ কর্মসূচি বানচাল হয়ে যায়। পরে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে পুরনো ব্যবস্থার এই অংশীদাররা জুলাই ঘোষণাপত্রের নামে এমন একটি ডকুমেন্ট তৈরির পরিকল্পনা করে, যেখানে জন-আকাঙ্ক্ষার বদলে লেখা হয়েছে ভাসাভাসা কিছু স্বীকৃতি ও প্রতিশ্রুতি।

নিলামে আরো ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের দরপতন রোধ করে, প্রবাস আয় ও রপ্তানি খাতকে চাঙ্গা রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলো থেকে আরো ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রবিবার এসব ডলার কেনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দর দিয়ে ৮৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কিনেছে মোট ৬২২ মিলিয়ন ডলার।

১১০০ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার গ্রেপ্তার ৯ কর্মচারী রিমান্ডে
- আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিলে পুরস্কার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার কয়েকটি দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় গ্রেপ্তার ৯ দোকান কর্মচারীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল ওয়াহাবের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন—শুকুর আলী, রোকন মিয়া, হৃদয় মিয়া, রাকিব, স্বপন, নুর হোসেন লিমন, সাজ্জাদ আহম্মেদ, আলী আকবর ও সাজিদ হাসান।
এর আগে গতকাল শনিবার নিউমার্কেট এলাকার কয়েকটি দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
গতকাল তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক পাভেল আহমেদ তাঁদের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ’নিউমার্কেট এলাকায় খোলামেলা জায়গায় এসব অস্ত্র বিক্রি করে।
আসামিদের পক্ষে আবুল কালাম আজাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ’নিউমার্কেট এলাকায় যে কয়টি দোকান আছে আমার এলাকায় বটতলায় এর চেয়ে বেশি বিক্রি হয়। বিক্রি বন্ধ করে দেন। যুগ যুগ ধরে ওই এলাকায় এসব বিক্রি হয়ে আসছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিলে মিলবে পুরস্কার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হারানোর অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হারানো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। দ্রুত এসংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হবে, যা পরে মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হবে।’ তিনি এ সময় জানান, আনুমানিক ৭০০ অস্ত্র উদ্ধার এখনো বাকি রয়েছে।
নিউমার্কেট থেকে ১১০০ দেশি অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ‘এসব অস্ত্র যাঁরা তৈরি করেন, তাঁদের আরো সতর্ক হতে হবে। তাঁরা জানেন, কারা এসব ব্যবহার করছে। যারা এগুলো করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বেশির ভাগকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আশা করি আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’ উপদেষ্টা এ সময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ একজন বাড়তি আনসার সদস্য (গানম্যান) নিয়োজিত থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু কোথাও বা উপচে পড়া ভিড়
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীসহ সারা দেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলে নিত্যপণ্য বিক্রি গতকাল রবিবার শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই লাইনে দাঁড়ানো ক্রেতাদের অভিযোগ, মানুষের তুলনায় পণ্য কম, আর কিছু ক্ষেত্রে কেউ কেউ দুইবার পণ্য নিয়েছেন।
টিসিবির প্রতিটি প্যাকেজে রয়েছে দুই লিটার ভোজ্যতেল (প্রতি লিটার ১১৫ টাকা), এক কেজি চিনি (৮০ টাকা) ও দুই কেজি মসুর ডাল (প্রতি কেজি ৭০ টাকা)। প্যাকেজের দাম ৪৫০ টাকা।
বাজারে যেখানে লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯, সেখানে ট্রাকে মিলছে ১১৫ টাকায়। দুই লিটারে সাশ্রয় ১৪৮ টাকা।
বিক্রি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় এবং গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় সব পণ্য শেষ হয়ে যায়। কোথাও কোথাও ভিড় ও অপেক্ষার কারণে অনেকে মাঝপথেই ফিরে যান।
বাসাবো বালুর মাঠে আসা ক্রেতা নেসার আহমেদ দোকান বন্ধ রেখে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।
গত মে ও জুন মাসে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে একইভাবে পণ্য বিক্রি করেছিল টিসিবি। তখন তেলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১৩৫, চিনি কেজিপ্রতি ৮৫ ও ডাল কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। এবার তেল লিটারে ২০, চিনি কেজিতে ৫ ও ডাল কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে।