ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ব্যক্তিত্ব

মোহাম্মদ মোদাব্বের
মোহাম্মদ মোদাব্বের
শেয়ার
ব্যক্তিত্ব

সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ মোদাব্বের ১৯০৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার হাড়োয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২২ সালে স্যার আর এন মুখার্জি বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। মেধাবী মোদাব্বের ছেলেবেলায়ই লেখালেখি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে লেখালেখি থেকেই সাংবাদিকতা করতে আগ্রহী হন।

১৯২৮ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত তিনি সাপ্তাহিক ও দৈনিক 'দ্য মুসলিম' পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। সেখান থেকে ১৯৩৩ সালে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পত্রিকা 'দৈনিক ফরওয়ার্ড'-এ যোগ দেন। পরে 'মাসিক মোহাম্মাদী' পত্রিকায় চলে আসেন ১৯৩৫ সালে এবং ১৯৩৬ সালে 'দৈনিক আজাদ' পত্রিকার বার্তা সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৪৮ সালে 'দৈনিক ইত্তেহাদ'-এ যোগ দেন।
কিছুদিন পরে নিজে ঢাকায় পাকিস্তান নামে একটি অর্ধসাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদনার কাজ শুরু করেন। এটি ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তাঁর সম্পাদনায়ই প্রকাশিত হতো। নিজের পত্রিকার পাশাপাশি সেই সময় 'দৈনিক মিল্লাত' প্রকাশিত হলে তার প্রধান সম্পাদক নিযুক্ত হন। পাকিস্তান রেডক্রস থেকে প্রকাশিত পত্রিকা তাঁরই সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো ১৯৫৮ সাল থেকে।
এ ছাড়া তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক মুকুলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি মোহাম্মদ মোদাব্বের শিশুসাহিত্য, ভ্রমণ কাহিনী, স্মৃতিকথা ও জীবনী লিখেছেন। হীরের ফুল (১৯৩০), তাকডুমাডুম (১৯৩০), কিসসা শোন (১৯৩০), ডানপিটের দল (১৯৬২) ইত্যাদি তাঁর শিশুসাহিত্য। 'সাংবাদিকের রোজনামচা' (১৯৭৭) তাঁর স্মৃতিকথা ও 'আনলো যারা জীয়ন কাঠি' (১৯৪৬) তাঁর জীবনীগ্রন্থ। তিনি শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি ও ১৯৭৯ সালে একুশে পদক পান।

১৯৮৪ সালের ২১ এপ্রিল সাংবাদিক মোদাব্বের মারা যান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ