জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নেওয়ার পরও গত বছর ১৭ হাজার ৭৭৭ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে না পারার দায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর। হাইকোর্টে দাখিল করা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শফিকুর রহমান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে না পারার দায় এজেন্সিগুলোর
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়ী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষকে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রতিবেদনের ‘দায়দায়িত্ব নির্ধারণ’ অংশে বলা হয়েছে, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ (সংশোধিত) এর ১৫(ক) ধারার আওতায় প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক বিএমইটি থেকে অভিবাসী কর্মীর বহির্গমন ছাড়পত্র সংগ্রহ করা, অভিবাসী কর্মীকে কর্মে নিয়োগের ব্যবস্থা করা এবং তার কর্মপরিবেশসহ অন্য সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করা সম্পূর্ণভাবে রিক্রুটিং এজেন্সির দায়িত্ব। বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করার পরও ১৭ হাজার ৭৭৭ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে না পারার দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ওপর বর্তায়।
এতে আরো বলা হয়, ‘কর্মী পাঠানোর ব্যর্থতার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শেষ মুহূর্তে বিমানের টিকিট না পাওয়াকে মূল কারণ বললেও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো অযাচিত বিলম্ব করেছে। বিলম্ব না করলে শেষ মুহূর্তে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। এ ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর দায়িত্বহীনতাই দায়ী এবং তাদের কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।’
কর্মী পাঠানোর ব্যর্থতা এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং মালয়েশিয়া যেতে না পারা ব্যক্তিদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়াসহ ছয়টি সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির আর সৃষ্টি না হয়, সে সুপারিশও করা হয়েছে। প্রতিবেদনের এই অংশে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুসারে রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচনের বিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে বৈধ সব রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পায়। মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে, যাতে বিদেশে পাঠানোর পর কর্মীদের পরবর্তী পরিস্থিতি তদারকি করা যায়। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে কর্মীদের নিয়োগ অনুমতি নেওয়ার পর বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র নেওয়া, কর্মী পাঠানোর সময়সীমা নির্দিষ্ট করা, অভিবাসী কর্মীদের কাছ থেকে অভিবাসন ব্যয় গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার সুপারিশও করা হয়েছে এতে।
আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ কালের কণ্ঠকে বেলন, ‘প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে কি না এবং তাদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর ব্যপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না—এসব বিষয় তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
গত ১৫ বছরে তিন দফায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে। প্রতিবারই শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে চক্রের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ ওঠে।
২০০৯ সালে প্রথম দফায় বন্ধ হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এরপর ২০১৬ সালের শেষে খোলা হয় বাজারটি। তখন বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে চক্র গড়ে তোলার অভিযোগ ওঠে। এরপর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আবার বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। ২০২২ সালে আবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলে। গত বছর মার্চে মালয়েশিয়া জানায়, তারা আপাতত আর কর্মী নেবে না। যাঁরা অনুমোদন পেয়েছেন, ভিসা পেয়েছেন, তাঁদের ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে। ১ জুন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আপাতত নতুন করে কোনো কর্মী যেতে পারবেন না দেশটিতে।
তার আগেই বিএমইটি থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো চার লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ কর্মীর ছাড়পত্র নেয়। এর মধ্যে চার লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ কর্মী পাঠানো হয়। বাকিরা যেতে পারেননি। চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও হাজার হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যেতে না পারা নিয়ে দেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যম খবর-প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব খবর-প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ও আইনজীবী বিপ্লব পোদ্দার। এ রিটে প্রাথমিক শুনানির পর আদালত গত বছর ৩০ জুন একটি মৌখিক আদেশ দেন। মালয়েশিয়া কাণ্ডে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সাত দিনের মধ্যে তা রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলা হয়। সে ধারাবাহিকতায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই প্রতিবেদন দেখে গত বছর ১৬ জুলাই রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। ১৭ হাজার ৭৭৭ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও খামখেয়ালিপনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং যেতে না পারা কর্মীদের টাকা সুদ ও যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। আর প্রতি তিন মাস পর পর এ ঘটনায় হালনাগাদ তথ্য প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদেশ দিলেন উচ্চ আদালত।
সম্পর্কিত খবর

বান্দরবানে সারজিস অবাঞ্ছিত ও এনসিপির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান ও রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য বান্দরবানের প্রতি ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলার ছাত্রসমাজ। একই সঙ্গে বান্দরবানে এনসিপির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা এসেছে ছাত্রনেতাদের পক্ষ থেকে।
গতকাল রবিবার দুপুরে বান্দরবান প্রেস ক্লাবে ছাত্রসমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্রনেতারা বলেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার এক সমাবেশে বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলির জায়গা’ বলে মন্তব্য করেন সারজিস আলম।
ছাত্রনেতারা জানান, ওই মন্তব্যের পর তাঁরা এনসিপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সারজিস আলমকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁরা আশ্বাসও পান, ১৯ জুলাই বান্দরবানের পদযাত্রা কর্মসূচিতে সারজিস আলম ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু ওই কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন না এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় কোনো নেতা বিষয়টি নিয়ে মুখও খোলেননি।
বান্দরবান ছাত্রসমাজের নেতা আসিফ ইসলাম বলেন, ‘সারজিস আলম ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে তাঁর উপস্থিতি এবং এনসিপির সব কার্যক্রম অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পার্বত্যাঞ্চলকে শাস্তির জায়গা বলা মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি আসিফ ইকবাল, সহসভাপতি মাহির ইফতেখার, আমিনুল ইসলাম, খালিদ বিন নজরুল, হাবিব আল মাহমুদ প্রমুখ।
রাঙামাটিতে এনসিপির পদযাত্রায় পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ
এদিকে গতকাল শনিবার রাঙামাটি শহরে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় শহরের একমাত্র গণপরিবহন অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু সাইয়েদ আহমেদ বলেন, ‘গাড়ি বন্ধ থাকায় সকালে প্রশ্নপত্র আনতেও সমস্যায় পড়ি। ৮৩৪ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ছিল, অনেকে কেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি করে।’
এনসিপির পদযাত্রা দুপুরে শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে বনরূপা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা যদি ভুল করি, সেটা সংশোধন করব। তবে কথার প্রতিবাদে সহিংসতা কিংবা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না।’
তবে সমাবেশের কারণে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগের ঘটনায় ছাত্রদল ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে। ছাত্রদলের জেলা সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বির বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে পরীক্ষার দিন রাস্তায় সমাবেশ করে।’
ফেসবুক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ সারজিসের
সমালোচনার মুখে গতকাল দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন সারজিস আলম। তিনি লেখেন, ‘সংগ্রাম, সৌন্দর্য ও সৌহার্দ্যের রাঙামাটি থেকে...
আমরা লড়াই করব সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে; জুলাই পদযাত্রা থেকে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
বান্দরবান নিয়ে কিছুদিন আগে একটি বক্তব্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়ন হয়েছে, সেটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
এ বছর তিনটি যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র এ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে তিনটি সামরিক মহড়া চালাবে এবং নতুন দক্ষতা সংযোজনের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারি বজায় রাখবে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গতকাল রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
যৌথ সামরিক মহড়া ও নতুন দক্ষতা সংযোজন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, এগুলো আমাদের অভিন্ন নিরাপত্তা লক্ষ্যকে আরো দৃঢ় করবে। এই প্রচেষ্টাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলকে আরো শক্তিশালী ও নিরাপদ করে তোলে।
টাইগার লাইটনিং মহড়া : টানা চতুর্থ বছরের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্যাসিফিক টাইগার লাইটনিং মহড়া পরিচালনা করবে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের সৈনিকরা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, শান্তিরক্ষা, জঙ্গলে অভিযান, আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি অর্জন করবে।
টাইগার শার্ক ২০২৫ মহড়া : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, টাইগার শার্ক (ফ্লাশ বেঙ্গল সিরিজের অংশ) একটি যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া যেখানে আমাদের দুই দেশের বিশেষ বাহিনী যুদ্ধকৌশল অনুশীলন করে। ২০০৯ সাল থেকে চলমান এই মহড়ায় প্যাট্রল বোট পরিচালনা এবং স্বল্পপাল্লার অস্ত্রের লক্ষ্যভেদে দক্ষতা অর্জনের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা বাংলাদেশ স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ এবং প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডকে সংকট মোকাবেলায় আরো দক্ষ করে তুলবে।
প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল মহড়া : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল। এই মহড়ায় আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, আমাদের সি-১৩০ বহরকে তুলে ধরা হবে। এটি দুর্যোগকালে আকাশপথে সরঞ্জাম সরবরাহ ও চলাচল সংক্রান্ত অভিযানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরকিউ-২১ কর্মসূচি চালু : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গে একত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি মানববিহীন আকাশযান ব্যবস্থা (ইউএএস) সক্ষমতা গড়ে তুলছে। বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রেজিমেন্ট নতুন আরকিউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক সিস্টেম পরিচালনা করবে। এই সম্মিলিত উদ্যোগ বাংলাদেশকে সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় সক্ষম করে তুলবে।

ডাকসু নির্বাচন ২০২৫
তফসিল ২৯ জুলাই ভোট সেপ্টেম্বরে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৯ জুলাই। এরপর নির্বাচন সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অংশীজনদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এসব তথ্য জানান ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর, প্রোক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, অনুষদের ডিন, শিক্ষকদের প্রতিনিধি, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
স্বাগত বক্তব্য দেন ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী অংশীজনদের আগের পরামর্শের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভায় জানানো হয়, নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ছয়টি নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় আরো জানানো হয়, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত ৬ জুন থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আরো ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

আবারও মালিকদের ধর্মঘটের হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি পাঁচটি দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর সংশোধন, বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়ানোসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে সমিতি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই দাবিগুলো না মানা হলে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছে তারা। গতকাল দুপুরে সমিতির কার্যালয়ে মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. কফিল উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনটি একটি প্রতিশোধপরায়ণ, নিপীড়নমূলক এবং ক্ষতিকর।