বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের অধীনে থাকা সড়কপথে ব্যক্তিগত যান ও গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দিয়ে টোল নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। নিজেদের বাস চলছে না, তাই অন্য পরিবহনের বৈধ চলাচলের সুযোগ করে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিষয়টি পর্যালোচনায় এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। যদিও এই টোল আদায় বিআরটি কম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।
বিআরটি প্রকল্প
টোল নিয়ে গণপরিবহন চলতে দেওয়ার চিন্তা
- ► ৪ হাজার কোটির সড়কে চলে ১০ বাস
- ► আইনে সড়ক ভাড়া দিয়ে টোল আদায়ের সুযোগ নেই
- ► নেই নিজস্ব বাস, ‘বিজনেস মডেল’ বাস্তবায়িত হয়নি
সজিব ঘোষ

প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে বিআরটি প্রকল্প। বিআরটি হচ্ছে মূলত বাসের বিশেষায়িত পথ। বিআরটি কম্পানির বিজনেস মডেল অনুযায়ী এই পথে শুধু কম্পানির নির্দিষ্ট বাস চলার কথা ছিল, কিন্তু প্রকল্পটি ব্যর্থতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এরই মধ্যে প্রকল্পের সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে খরচও বাড়তে পারে।
বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি করিডরকে কেন্দ্র করে গুলিস্তান থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটিসির ১০টি বাস চলাচল করে।
বিআরটি কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টোল আদায় করা আদৌ বাস্তবসম্মত হবে কি না, সেটিও পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমি সেই কমিটিতে নেই, তাই মতামত দেব না। কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এক লেনের সড়কে টোলের জন্য কি বুথ বসানো সম্ভব! এতে কি যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে?’
উল্টো পথে বিআরটির আশা
যানজট কমানোর আশা দেখিয়ে শুরু হয়েছিল বিআরটি প্রকল্প। চার বছরের কাজ এক যুগেও শেষ না হওয়ায় প্রকল্পটি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারবার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি বহুল আলোচিত-সমালোচিত বিআরটি। সম্প্রতি অসমাপ্ত প্রকল্পটিতে বিআরটিসির ১০টি বাস চলাচল করলেও এই পথে মূল বাস এখনো চালু করা যায়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, দিনে ১০ থেকে ১২টি বাস চলে, দুই প্রান্ত মিলিয়ে ১৬ থেকে ২০টি ট্রিপ হয়। পরিচালন ব্যয় মিটিয়ে কিছুটা লাভও হচ্ছে। যাত্রী বাড়লে বাস বাড়ানো যাবে। আর ভিন্ন অবকাঠামোর কারণে জটিলতা হচ্ছে না, সেটা মানিয়ে নেওয়া গেছে।
গত ১ জানুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বিআরটি করিডরে টোল আদায় করা যায় কি না, সেটা নিয়ে একটা সভা হয়। সেই সভায় প্রকল্প, সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সভা থেকে বিআরটি করিডরে টোল আদায়ের বিষয়ে একটি কমিটি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কমিটি দেখবে এখানে টোল আদায় করা যায় কি না। গেলেও কী উপায় করা হবে, সেটা তারা দেখবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিআরটি করিডরে টোল আদায়ের কোনো অবকাঠামো নেই। এখন টোল নিতে গেলে টোলের অবকাঠামো লাগবে। বিআরটি করিডরে টোল বসানোর জন্য জায়গা আছে কি না, এটার পরিচালন কিভাবে হবে? এটা তো প্রকল্পের মধ্যে ধরা নেই। সরকার যদি টোলের বিনিময়ে সড়ক ভাড়া দেয়, অন্যান্য পরিবহন চলার সুযোগ করে দেয়, তাহলে এটি বিআরটি বিজনেস মডেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।
বিআরটি করিডরে টোল কেন
বিআরটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে অধীন সড়কে নিরবচ্ছিন্নভাবে বাস চালানো। কিন্তু এসব বাস না আসায় আপাতত বিআরটিসির বাস চলাচল করছে। এই পথে অন্যান্য অনেক গাড়িও চলছে, ফলে এখন যানজট তৈরি হচ্ছে। সেটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য টোল বসানোর চিন্তা করা হচ্ছে, যাতে সব গাড়ি এই করিডরে ঢুকতে না পারে। এই ধারণা থেকে টোল আদায় আলোচনায় এসেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিআরটি টোল আদায়ের কোনো প্রকল্প নয়। এই পথে অন্যান্য পরিবহন চালানো হলে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে, কিন্তু প্রকল্পের মূল লক্ষ্য অর্জন হবে না। বিআরটি করিডরে নিজস্ব বাস চলবে, এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করা উচিত। টোল বসিয়ে রাজস্ব আদায় করলে প্রকল্পের মূলনীতি থেকে সরে আসা হবে।
টাকার সংকট, কাজ করছে না ঠিকাদার
প্রকল্পে এখনো অনেক সমস্যা রয়েছে। ঠিকাদারের অর্থায়নে সমস্যা রয়েছে, কাজের টাকা পাচ্ছে না। ফলে কাজ খুব একটা হচ্ছে না। এরই মধ্যে প্রায় ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটি কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কাজ খুব একটা হচ্ছে না। স্টেশনগুলোর অসমাপ্ত কাজ বাকি। ঠিকাদারের অনেক বিল দেওয়া বাকি। রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতি যেগুলো হয়েছে, সেগুলো মেরামত করার বিষয় আছে। প্রকল্পের ছোটখাটো কাজ এখনো আছে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সঙ্গে কিছু কিছু জায়গায় ব্যয় বাড়তে পারে।
বারবার বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ
২০১২ সালের ২০ নভেম্বর একনেকসভায় অনুমোদন পায় ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট)’। তখন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল দুই হাজার ৪০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের শেষ দিকে কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে ২০২১ সালেও এই কাজ সমাপ্ত হয়নি। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। সে সময় বলা হয়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে।
সর্বশেষ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছিলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে কাজ শেষ হবে, কিন্তু তা হয়নি। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু এই সময়েও কাজ শেষ করা যায়নি। ফলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০.৫ কিলোমিটার বিআরটি লেন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) অর্থায়ন করছে।
সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা


কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
- চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।
স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।
উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি ‘রাডার থেকে হারিয়ে যায়’, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।
১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।
সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স