<p>ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করে ১০ হাজার কোটি রুপি দ্রুত ছাড় করার দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদি এ দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। নরেন্দ্র মোদি নিজেই তাঁর টুইটারে ওই বৈঠকের ছবি প্রকাশ করেছেন।</p> <p>ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, আধাঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মোদি-মমতা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঋণ নিয়ে আলোচনা করেন। মমতা তাঁর রাজ্যে ‘স্বচ্ছ ভারত’সহ কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা ছাড় করার দাবি জানান।</p> <p>বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মমতা তিস্তা ইস্যুতে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁর ভাষ্য মতে, তিস্তা ইস্যুতে মোদির সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।</p> <p>ভারতের ইন্ডিয়া টুডে টিভি চ্যানেলের অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের ঋণ মওকুফের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন।</p> <p>জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। গত শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে আট বছর পর মোদির সঙ্গে এক টেবিলে বসেছিলেন মমতা। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণেই তিস্তা চুক্তি করতে পারছে না ভারত। তবে শনিবার শীর্ষ বৈঠকের পর মমতাকে সামনে রেখেই নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তাঁর সরকার ও শেখ হাসিনার সরকারই তিস্তা চুক্তি করবে।</p> <p>এরপর শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার সময় মমতা তিস্তা ইস্যুতে বিকল্প প্রস্তাব দেন। তবে ঢাকা ও নয়াদিল্লি কেউই তিস্তা চুক্তিকে পাশ কাটিয়ে বিকল্প প্রস্তাব মানবে না বলে জানা গেছে।</p> <p>ভারতীয় সূত্রগুলো জানায়, শেখ হাসিনার সফরের সময় বৈঠকে অংশ নিতে মমতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ সফর মোদি ও মমতাকে এক টেবিলে বসাতে সহায়ক হয়েছে। মমতার প্রয়োজন পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বড় অর্থনৈতিক প্যাকেজ, যা না পেয়ে ২০১১ সালে তত্কালীন মনমোহন সিংয়ের সরকারের সময় শেষ মুহূর্তে তিনি তিস্তা চুক্তিতে বাগড়া দিয়েছিলেন।</p>