<p>শ্রীমঙ্গলে নবনির্মিত নিলাম কেন্দ্রে আজ সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নিলাম কার্যক্রম। দেশে চায়ের দ্বিতীয় নিলাম কেন্দ্র হিসেবে শ্রীমঙ্গলে যাত্রা শুরু হয় গত ১৪ মে। এই কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। আগামী জুলাই মাসেও একটি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে শ্রীমঙ্গল নিলাম কেন্দ্রে।</p> <p>এবার শ্রীমঙ্গলে নিলামে তোলা হচ্ছে ১১ লাখ ২৮ হাজার কেজি চা পাতা। নিলাম পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ট্রেডার, ব্রোকার, সেলার, বায়ার প্রতিনিধিরা শ্রীমঙ্গলে পৌঁছেছেন।</p> <p>এ প্রসঙ্গে টি প্লান্টার অ্যান্ড ট্রেডার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জহর তরফদার কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণেরও বেশি চা পাতা নিলামে তোলা হচ্ছে। ক্রমেই জমজমাট হয়ে উঠছে এই নিলাম কেন্দ্র। ভবিষ্যতে আরো বেশি চা পাতা নিলামে বিক্রির আশা করছি।</p> <p>চা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, মূলত চায়ের নিলাম নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ টি বোর্ড। সরকারি এই সংস্থার নির্দেশে টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (টিটিএবি) চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চায়ের নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। চায়ের নিলাম কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে গড়ে উঠছে বিশাল পরিসরের অসংখ্য বন্ডেড ওয়্যারহাউস।</p> <p>কর্মকর্তারা আরো জানান, আগামী জুলাই মাসেও একটি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে এই কেন্দ্রে। টানা তিন মাসে তিনটি নিলাম হওয়ার পর চা বোর্ড শ্রীমঙ্গলের নিলামগুলো মূল্যায়ন করবে। তারপর বোর্ড পরবর্তী নিলামের শিডিউল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেবে।</p> <p>সংশ্লিষ্টরা জানান, শ্রীমঙ্গলে এখনো বড় ধরনের বন্ডেড ওয়্যারহাউস গড়ে ওঠেনি। শুধু ইস্পাহানি গ্রুপের একটি বন্ডেড ওয়্যারহাউস রয়েছে শ্রীমঙ্গলে। আরো তিনটি বন্ডেড ওয়্যারহাউস চালুর প্রক্রিয়া চলছে। গত ১৪ মে শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত নিলামে পাঁচ লাখ কেজি চা পাতা তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশ চা পাতা বিক্রি হয়েছে নিলামে।</p> <p>এদিকে চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে প্রতি মঙ্গলবারে একটি করে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। গত ১২ জুন চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে চা পাতা বিক্রি হয়েছে ১৭ লাখ ১৯ হাজার কেজি চা পাতা। ৭০ বছর ধরে চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে চা পাতা বিক্রি হয়ে আসছে। এর আগে অর্থাৎ ব্রিটিশ আমলে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতো চায়ের নিলাম। বর্তমানে চট্টগ্রামে টিটিএবি অনুমোদিত ১৫টি বন্ডেড ওয়্যারহাউস রয়েছে।</p> <p> </p>