আলোচনায় একরামুল নিজাম হাজারী দ্বন্দ্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্পর্কিত খবর

সারজিস আলম
জুলাই আহতদের দেখতে উপদেষ্টাদের চেয়েও বেশি গেছেন সেনাপ্রধান
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই আহতদের দেখতে উপদেষ্টারা যতবার হাসপাতালে গেছেন, তার চেয়েও বেশি গেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম গতকাল রবিবার তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক বার্তায় এ কথা জানান।
‘কয়েকটি আনপপুলার (অজনপ্রিয়) তথ্য দেই’ শিরোনামে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আজ অবধি সেনাপ্রধান প্রতি শনিবার সিএমএইচে গিয়ে জুলাইয়ে আহতদের দেখতে গেছেন। ব্যতিক্রম কয়েকটি সপ্তাহ ছাড়া এই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে, যা উপদেষ্টাদের সম্মিলিত ভিজিট সংখ্যার চেয়েও বেশি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘ঢাকা সিএমএইচেই সবচেয়ে গুরুতর আহতদের মানসম্মত চিকিৎসা ও ব্যয়বহুল সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তির চিকিৎসা ব্যয়ে সর্বোচ্চ বরাদ্দ হয়েছে।’ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানই আহত ও শহীদ পরিবারদের আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন বলেও দাবি করেন সারজিস।

কেন্দ্রীয় বাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম ঘিরে সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারা দেশের সব কমিটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগে সংগঠন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে যারা কোনো প্রকার অপকর্ম করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আহবান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো যখন গঠন করা হয়েছিল সেই কমিটি গঠনের দায়িত্বে যারা ছিল, তারা বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক দল ও মতের ভেতরে চলে গেছে। অনেক সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের যোদ্ধা যারা, তারাও বিপথগামী হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি বলেন, ‘যাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঢাল হয়ে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের ধারক ও বাহক হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন, তাঁদের আমরা একটা কথা বলতে চাই—এখান থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা বা কোনো ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহারের সুবিধা পাবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে গত শনিবারের ঘটনার দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্বীকার করছে কি না, জানতে চাইলে রিফাত রশীদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো কী করে? যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তারা সে জিনিসটা নিয়ে ঘোরায়। তারা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অনেকে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে খেলার চেষ্টা করে।

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি
বার্নে দীর্ঘ অপেক্ষা বাসায় ফিরল দুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দগ্ধ ৩৪ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তাদের বাসায় নিয়ে যেতে সাত দিন ধরে আইসিইউয়ের সামনে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনরা। তবে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় নতুন করে কারো মৃত্যুর খবর জানায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বারবার হিসাবে গরমিল দেখা দিয়েছে।
এখনো হাসপাতালে ৪৮ জন : এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৮ জন। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৩৬ জন, সিএমএইচে ১১ জন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন।
এর আগে সিআইডি জানায়, ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা সিএমএইচে রাখা অশনাক্ত মৃতদেহ ও দেহাংশ থেকে মোট ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। সেসব নমুনা বিশ্লেষণ করে মোট পাঁচজনের ডিএনএ প্রফাইল পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের জন্য কাউন্সেলিং কার্যক্রম শুরু : মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের জন্য কাউন্সেলিং কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনার পরপরই গত ২৩ জুলাই থেকে কাউন্সেলিং কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক এই কাউন্সেলিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
গতকাল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাউন্সেলিং কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শাহ পরানেওয়াজ ইশা বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। মানসিকভাবে তারা এখনো ট্রমার মধ্যে আছে। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের ভয় কাটিয়ে তুলে আবারও স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।’
স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে তারা। ২ আগস্ট পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জুলাই ঘোষণা ৫ আগস্টের মধ্যেই!
অনেক রাজনৈতিক দল কিছুই জানে না
বিশেষ প্রতিনিধি

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণা’ প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দলের কাছে ঘোষণাপত্রের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এই ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
সরকারের একটি সূত্র বলেছে, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যেই এই ঘোষণা হতে পারে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক দলিল, যা ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দেবে, সেই ঘটনার পটভূমি ও পরিণতি তুলে ধরবে এবং ভবিষ্যতে এসব বিষয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার ভিত্তি গড়বে। সরকারের নেতৃত্বে এটি তৈরি হচ্ছে, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই এর চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যদি সবাই বা বেশির ভাগ পক্ষ একমত হতে পারে, তাহলে ২০২৫ সালের ৫ আগস্টের আগেই এটি ঘোষণা করা হতে পারে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি ছিল অভ্যুত্থানকারীদের। সে লক্ষ্যে গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণা দেওয়ার কথা থাকলেও সরকারের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত করতে হয়। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ঘোষণা না আসায় গত ২৯ জুন এক সভায় এনসিপি ঘোষণা দেয়, আগামী ৩ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে।
ওই সভায় দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো ঘোষণা প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে। তাই ছাত্র-জনতার ঐক্যে এনসিপি নিজ উদ্যোগেই এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে। তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘জুলাই মার্চে’ অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতেই এ ঘোষণা তৈরি হয়েছে এবং এতে জনগণ ও শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকবে।
জানা যায়, এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। এরই মধ্যে জুলাই ঘোষণার একটি খসড়াও তৈরি করে তা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তাদের মতামত সরকারের কাছে পাঠাবে। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘আমরা একটি প্রস্তাব পেয়েছি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে পাঠাব। সব দলের মতামত নিয়েই এটি চূড়ান্ত করা উচিত।’
তবে অনেক দল এ বিষয়ে এখনো অন্ধকারে আছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বাম দলের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমাদের তেমন কিছু জানা নেই। আমাদের কাছে কিছু পাঠানো হয়নি।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের আলোচনা অনেক দিন ধরেই চলছে। তবে এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সিপিবির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। ঘোষণাপত্র করতে হলে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই করতে হবে।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, খসড়া প্রণয়ন করতেও হলে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার। এখনো বাসদকে কিছু জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘অন্য কোনো দলের কাছে পাঠানো হলেও জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া আমাদের কাছে পাঠানো হয়নি। এটি প্রণয়ন করা সময়সাপেক্ষ বিষয়। খসড়া পেলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে মতামত দেওয়া হবে।’
বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘গণ-আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতির জন্য জুলাই ঘোষণাপত্র প্রয়োজন। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা এখনো অন্ধকারে।’ গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এটি প্রণয়ন করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জানা যায়, জুলাই ঘোষণার খসড়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলকে একনায়কতান্ত্রিক ও গণবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, সংবিধান একপক্ষীয়ভাবে সংশোধনে সব কিছুই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ও শাসনব্যবস্থার বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে গণ-অভ্যুত্থান ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রস্তুত করে। খসড়ায় উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে লালন করার দলিল ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম। আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাটের অপরাধগুলোর উপযুক্ত বিচার করা হবে, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করলাম।’
এতে আরো বলা হয়, ‘আমরা এই ঘোষণা প্রদান করলাম যে, ১৯৭২ এবং ১-১১ কালের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমাদের একটি নতুন জনতন্ত্র (রিপাবলিক) প্রয়োজন, যা রাষ্ট্রে সকল ধরনের নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যের অবসান ঘটাবে এবং এ দেশের তরুণসমাজের প্রত্যাশাকে ধারণ করতে পারবে। আমরা এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করলাম যে এই ঘোষণাপত্রকে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।’ এ ছাড়া ঘোণাপত্রের খসড়ায় প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ (দ্বাদশ সংসদ) ভেঙে দেওয়ার এবং ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথাও উল্লেখ করা হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা তৈরি হয়। হঠাৎ ঘোষণাপত্রের বিষয়টি কেন সামনে আনা হলো, এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং তখন এই উদ্যোগের সঙ্গে সরকার সম্পৃক্ত নয় বলে জানায়। অবশ্য পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়।
জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে গত ১৬ জানুয়ারি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।