<p>ফরাসি স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন প্যারিসের আইফেল টাওয়ার। ইঞ্জিনিয়ার গুস্তাভ আইফেল টাওয়ারটি নির্মাণ করেন। তাঁর নাম অনুসারে এর নাম রাখা হয়। </p> <p> </p> <p>১৮৮৭ সালের আন্তর্জাতিক মেলার প্রবেশপথ হিসেবে আইফেল টাওয়ার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৮৮৭ সালে স্থাপনাটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজটি শেষ হয় ১৮৮৯ সালে।</p> <p> </p> <p>৩২৪ মিটার (১০৬৩ ফুট) উচ্চতাবিশিষ্ট টাওয়ারটি নির্মাণে ১৮০৩৮ টুকরা রড আয়রন ও ২৫ লাখ নাটবল্টু ব্যবহার করা হয়। কাজ করে ৩০০ জন শ্রমিক। নির্মাণ শেষে এর ওজন দাঁড়ায় প্রায় দশ হাজার টন।</p> <p>টাওয়ারটিতে মোট প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তিনটি। প্রথম ও দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মে রেস্টুরেন্ট। তৃতীয় প্ল্যাটফর্ম মাটি থেকে ৯০৬ ফুট ওপরে।</p> <p> </p> <p>টাওয়ারটি নির্মাণের প্রথম দিকে প্যারিসের অধিবাসীরা একে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা হিসেবে গ্রহণ করেনি। একপর্যায়ে রেডিও যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হলে টাওয়ারটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শহরের প্রতীক হিসেবেও জায়গা করে নেয়। ফলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্যারিস শহর কর্তৃপক্ষ এটি রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।</p> <p> </p> <p>১৯৩০ সালে নিউ ইয়র্কে ‘ক্রিসলার বিল্ডিং’ নির্মাণের আগ পর্যন্ত আইফেল টাওয়ারই ছিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থাপনা।</p> <p>             আব্দুর রাজ্জাক</p>