<p style="text-align: center;"><strong>নবম অধ্যায় : বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>সৃজনশীল প্রশ্ন</strong></p> <p><strong>প্রশ্ন : নিচের চিত্রগুলো লক্ষ করো :</strong></p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/September/22-09-2017/Kalerkantho_17-09-22-35.jpg" style="height:128px; width:400px" /></p> <p>ক) ভোল্টমিটার কাকে বলে? ১</p> <p>খ) ওহমের সূত্রটি লেখো ও বিবৃত করো।     ২</p> <p>গ) চিত্র-৩ এ Z-এর মানের পরিবর্তনে কী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে? ব্যাখ্যা করো।    ৩</p> <p>ঘ) চিত্র-১ ও চিত্র-২ এর মধ্যে গৃহে বিদ্যুতায়নের জন্য কোন বর্তনীটি সুবিধাজনক—বিশ্লেষণ করো।        ৪</p> <p><strong>উত্তর : </strong></p> <p>ক) যে যন্ত্রের সাহায্যে বর্তনীর যেকোনো দুই বিন্দুর মধ্যকার বিভব পার্থক্য সরাসরি ভোল্ট এককে পরিমাপ করা যায়, তাকে ভোল্টমিটার বলে।</p> <p>খ) <strong>ওহমের সূত্র :</strong> তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো নির্দিষ্ট পরিবাহকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহের মান পরিবাহকের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের মানের সমানুপাতিক।</p> <p><strong>ব্যাখ্যা :</strong> কোনো পরিবাহকের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V, এর রোধ R এবং তড়িৎ প্রবাহ I হলে,</p> <p>তড়িত্প্রবাহ I = V/R</p> <p>সুতরাং কোনো নির্দিষ্ট পরিবাহকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিদ্যুত্প্রবাহ পরিবাহকের নিজস্ব রোধের ব্যস্তানুপাতিক।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/September/22-09-2017/Kalerkantho_17-09-22-36.jpg" style="height:204px; width:288px" /></p> <p>গ) উদ্দীপকের চিত্র-৩ এ Z হলো ফিউজের তার। ফিউজের তারের মানের পরিবর্তনে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।</p> <p>১. প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মানের ফিউজ ব্যবহার করলে—</p> <p>* বর্তনীর মধ্য দিয়ে অধিক পরিমাণে  বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে।</p> <p>* অধিক পরিমাণে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক উপকরণ নষ্ট হয়ে যাবে।</p> <p>* বর্তনীতে আগুন লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।</p> <p>* মানুষের শক খাওয়ার আশঙ্কা থাকে।</p> <p>২. প্রয়োজনের তুলনায় কম মানের ফিউজ ব্যবহার করলে—</p> <p>* ফিউজটি বারবার পুড়ে গিয়ে অসুবিধার সৃষ্টি করবে।</p> <p>ঘ) চিত্র-১ এর বর্তনীয় শ্রেণিসংযোগ এবং চিত্র-২ এর বর্তনী সমান্তরাল সংযোগ দেখানো হয়েছে।</p> <p><strong>শ্রেণিসংযোগ বর্তনী :</strong> কোনো বর্তনীতে যদি রোধ, তড়িত্যন্ত্র বা উপকরণগুলো এমনভাবে সংযুক্ত হয়, যেন প্রথমটির এক প্রান্তের সঙ্গে দ্বিতীয়টির অন্য প্রান্ত, দ্বিতীয়টির অপর প্রান্তের সঙ্গে তৃতীয়টির এক প্রান্ত এবং এরূপে সব কয়টি পর্যায়ক্রমে সাজানো থাকে, তবে সেই সংযোগকে অনুক্রম বা শ্রেণিসংযোগ বলে।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/September/22-09-2017/Kalerkantho_17-09-22-37.jpg" style="height:175px; width:225px" /></p> <p>সিরিজ সংযোগ একই তড়িৎ প্রবাহ দুটি বাল্বের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। একটি বাল্ব যত উজ্জ্বলভাবে জ্বলত, দুটি বাল্ব সিরিজ সংযোজনের ফলে তার চেয়ে কম উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে। আবার কোনো একটি বাল্ব যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে সব বর্তনীর মধ্য দিয়েই তড়িৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অপর বাল্বটিও জ্বলবে না।</p> <p><strong>সমান্তরাল সংযোগ বর্তনী :</strong> কোনো বর্তনীতে দুই বা ততোধিক রোধ, তড়িৎ উপকরণ বা যন্ত্র যদি এমনভাবে সংযুক্ত থাকে যে সব কয়টির এক প্রান্ত একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অপর একটি সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত হয়, তবে সেই সংযোগকে সমান্তরাল সংযোগ বলে। সমান্তরাল সংযোগে প্রতিটির মধ্য দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তড়িৎ প্রবাহ চলে; কিন্তু প্রতিটির দুই সাধারণ বিন্দুর বিভব পার্থক্য একই থাকে।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/September/22-09-2017/Kalerkantho_17-09-22-38.jpg" /></p> <p>সমান্তরাল সংযোগের প্রতিটি বাল্বের মধ্য দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পথে তড়িৎ প্রবাহিত হয়। তাই একটি বাল্ব নষ্ট হলেও অন্যটি জ্বলবে। প্রতিটি বাল্বই পৃথক পৃথকভাবে জ্বালানো বা নেভানো যাবে। প্রতিটি বাল্বের প্রান্তদ্বয়ের বিভব পার্থক্য একই থাকবে। অর্থাৎ প্রতিটি বাল্বই তড়িৎ কোষের পূর্ণ বিদ্যুত্চালক শক্তি পাবে। ফলে দুটি বাল্বই উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে। বাল্ব দুটিকে এক এক করে তড়িৎ কোষের সঙ্গে সংযুক্ত করলে যত উজ্জ্বলভাবে জ্বলত, সমান্তরালভাবে সংযুক্ত করলেও একই উজ্জ্বলতা থাকবে। গৃহে বিদ্যুতায়নের জন্য সমান্তরাল বর্তনীই সুবিধাজনক।</p>