<p><strong>১। তোমার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি জরিপ করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।</strong></p> <p>অথবা, <strong>তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।</strong></p> <p>    </p> <p>বরাবর</p> <p>প্রধান শিক্ষক</p> <p>বড়াইল হাই স্কুল, রাজশাহী।</p> <p> </p> <p>বিষয় : <strong>লাইব্রেরি জরিপবিষয়ক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে।</strong></p> <p> </p> <p>জনাব</p> <p>বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার প্রেরিত পত্র নং-২০১৬/৩/২৭-ক-১-এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছি। আপনার সদয় অবগতির জন্য প্রতিবেদনটি পেশ করছি।</p> <p> </p> <p><strong>বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সংস্কার জরুরি</strong></p> <p>বড়াইল হাই স্কুল গ্রন্থাগারটি ১৯৯০ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় বইপত্র ক্রয় না করায় এর আশানুরূপ উন্নতি সাধিত হয়নি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং বইয়ের প্রয়োজনীয়তা বাড়লেও বইয়ের সংখ্যা বাড়েনি; বরং কমেছে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের আর্থিক দীনতার কারণে গ্রন্থাগারের জন্য ব্যয় বরাদ্দ কখনো যথেষ্ট ছিল না।</p> <p>১। কিছু অসৎ কর্মচারীর কারসাজিতে গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো গ্রন্থাগার থেকে চুরি হয়েছে।</p> <p>২। গ্রন্থাগার গঠনকালে কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক না থাকায় সুষ্ঠুভাবে তা গড়ে ওঠেনি।</p> <p>৩। বইয়ের তালিকা তৈরিতে কোনো বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অনুসৃত হয়নি। দশমিক পদ্ধতি সম্পর্কে গ্রন্থাগারিক অনভিজ্ঞ বলে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়নি।</p> <p>৪। পুস্তকের রক্ষণাবেক্ষণে তেমন কোনো সচেতনতা নেই। বিদ্যালয় লাইব্রেরিতে ক্যাটালগ নেই, বই ইস্যু এবং ফেরত নেওয়ার ব্যাপারেও অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান।</p> <p>এসব অবস্থা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে গ্রন্থাগারটি কলেজের জন্য তেমন কোনো উপকারে আসেনি। এ অবস্থায় নিম্নোক্ত সুপারিশ পেশ করছি, যার বাস্তবায়নে গ্রন্থাগারটি যথার্থ উপকারে আসতে পারে—</p> <p>ক) অনতিবিলম্বে গ্রন্থাগারের সব পুস্তকের হিসাব গ্রহণ করে দশমিক পদ্ধতিতে তালিকা তৈরি করা দরকার।</p> <p>খ) ছাত্রদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আরো বইপত্র সংগ্রহ করা জরুরি। বিষয় নির্বাচনে বিশেষ তত্পর হতে হবে।</p> <p>গ) বইপত্র বাড়িতে ইস্যু করা ও পাঠাগারে পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে ছাত্রছাত্রীদের দুই ধরনের গ্রন্থাগার কার্ড ইস্যু করতে হবে।</p> <p>ঘ) বই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে।</p> <p>ঙ) গ্রন্থাগারের জন্য স্বতন্ত্র তহবিল গড়ে তুলতে হবে এবং তাতে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক চাঁদা দিতে হবে।</p> <p>এ প্রতিবেদন তৈরিতে যেসব শিক্ষক ও ছাত্র সহায়তা করেছেন, তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2016/print-2016/July/26-07-2016/kalerkantho_study_4.jpg" style="height:135px; margin-left:12px; margin-right:12px; width:300px" /></p> <p><strong>২।  তোমার বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখো।</strong></p> <p>    </p> <p>বরাবর</p> <p>প্রধান শিক্ষক</p> <p>নঈম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল।</p> <p> </p> <p>বিষয় : <strong>বিদ্যালয় ছাত্র সংসদ আয়োজিত বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কিত প্রতিবেদন।</strong></p> <p> </p> <p>জনাব</p> <p>সম্প্রতি সমাপ্ত বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরিতে আদিষ্ট হয়ে নিম্নলিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করছি (আদেশ নং বি. ক/১০২ (৪) ২০১৬)।</p> <p> </p> <p><strong>সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্‌যাপন</strong></p> <p>১। গত ১৫ থেকে ২২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপিত হয়।</p> <p>২। বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সারা বছর নিয়মিত লেখাপড়ার পর নতুন বছরের এ সময়ে প্রতিযোগিতার এ আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।</p> <p>৩। যেসব বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে তা হলো—কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, নির্ধারিত বক্তৃতা, উপস্থিত বক্তৃতা, গল্প বলা, রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতি, আধুনিক গান, পল্লীগীতি ইত্যাদি।</p> <p>৪। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষানীতিই নকলপ্রবণতার জন্য দায়ী’। এ প্রতিযোগিতায় নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় সভাপতির আসন অলংকৃত করেন প্রখ্যাত লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ প্রতিযোগিতায় নবম শ্রেণির প্যানেল বিজয়ী হয়। তারা বিষয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।</p> <p>৫। বিদ্যালয়ের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিতর্ক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর মোট সংখ্যা ছিল ১১০ জন। সব ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক এ প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহিত করেন।</p> <p>৬। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা ছিল। পুরস্কার হিসেবে বাছাইকৃত ও প্রয়োজনীয় বই প্রদান করা হয়েছে। শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে দশম শ্রেণির সুলতানা রাজিয়া পুরস্কৃত হয়েছে।</p> <p>৭। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক ড. আশরাফ সিদ্দিকী।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2016/print-2016/July/26-07-2016/kalerkantho_study_5.jpg" style="height:141px; margin-left:12px; margin-right:12px; width:300px" /></p>