<p><strong>কর্মমুখী শিক্ষা</strong></p> <p>শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর জীবনভিত্তিক শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। তাই যে শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষ কোনো একটি বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করে এবং শিক্ষা শেষে জীবিকা অর্জনের যোগ্যতা অর্জন করে, তাকে কর্মমুখী, কারিগরি বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা বলা হয়। পরিপূর্ণ ও সামগ্রিক জীবনবোধের আলোকে এ শিক্ষা দুই ভাগে বিভক্ত। একটি হলো উচ্চতর কর্মমুখী শিক্ষা। এটিতে যারা বিজ্ঞান বিষয়ে পারদর্শী, তারা বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ ইত্যাদি স্বাধীন পেশা গ্রহণ করতে পারে। তাদের চাকরির আশায় বসে থাকতে হয় না। আরেকটি হলো সাধারণ কর্মমুখী শিক্ষা। এর জন্য প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষাই যথেষ্ট। সাধারণ কর্মমুখী শিক্ষার মধ্যে পড়ে কামার, কুমার, তাঁতি, দর্জি, কল-কারখানার কারিগর, মোটরগাড়ি মেরামত, ঘড়ি, রেডিও, টিভি-ফ্রিজ মেরামত, ছাপাখানা ও বাঁধাইয়ের কাজ, চামড়ার কাজ, গ্রাফিকস আর্টস, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, মত্স্য চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, নার্সারি, ধাত্রীবিদ্যা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অশিক্ষা ও অপরিকল্পিত পুঁথিগত শিক্ষাব্যবস্থার কারণে প্রায় দেড় কোটি লোক কর্মহীন। এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে জীবনসম্পৃক্ত এবং উপার্জনক্ষম কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন জরুরি। এ শিক্ষা আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যক্তিকে স্বাবলম্বী করে তোলে, ব্যক্তি ও দেশকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দেশে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ব্যাপকভাবে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটানো দরকার।</p> <p><strong>মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</strong></p> <p>মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে যে শোষণ ও অত্যাচারের শুরু হয়েছিল, তার অবসান ঘটে এই যুদ্ধের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তাই বাঙালি জাতির কাছে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এ ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তা জানানোর জন্য সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ঢাকার সেগুনবাগিচায় একটি দোতলা ভবনে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত তথ্য, প্রমাণ, বস্তুগত নিদর্শন, রেকর্ডপত্র ও স্মারকচিহ্নগুলো সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের সুব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে। নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ঐতিহাসিক ঘটনাধারা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার প্রয়াসে দেশের কয়েকজন বরেণ্য ব্যক্তি নিজস্ব উদ্যোগে এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন। বর্তমানে এটি পরিচালিত হয় একটি ট্রাস্টি বোর্ডের সুদক্ষ তত্ত্বাবধানে। এই জাদুঘরের ছয়টি গ্যালারির প্রথমটি দুটি পর্বে বিন্যস্ত। প্রথম পর্বে প্রদর্শিত হয়েছে বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। দ্বিতীয় পর্বে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগ্রামের চিত্র। দ্বিতীয় গ্যালারিতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ’৭০ সালের জলোচ্ছ্বাস ও নির্বাচনসংক্রান্ত দলিল, ছবি ও স্মারক। তৃতীয়টিতে ১৯৭১ সালের গণহত্যা, স্বাধীনতার ঘোষণা, প্রাথমিক প্রতিরোধ ও শরণার্থীদের জীবনচিত্র। সর্বশেষ গ্যালারিতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়সম্পৃক্ত বিভিন্ন স্মারক, বিবরণ ও ছবি। প্রতিটি গ্যালারিতে আছেন একজন চৌকস গাইড, যিনি দর্শনার্থীদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে জানতে পারে, ভুলে না যায় সে লক্ষ্যেই এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়ে আসছে।</p> <p><strong>আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস</strong></p> <p>একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ইউনেসকোর দেওয়া এ বিরল সম্মান বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন, আমাদের মহান ভাষাশহীদদের আত্মদানের সুমহান স্বীকৃতি। ১৯৫৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আমরা তাঁদের ত্যাগের স্মৃতিকে ‘জাতীয় শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছি। কিন্তু ২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে দিনটি সারা পৃথিবীতে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সংঘটিত ঘটনা প্রতিটি বাঙালির হৃদয়কে রক্তাক্ত করে। পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য নীলনকশা রচনা করে। তত্কালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দিলে পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ভাষার দাবিতে সোচ্চার মিছিলটি প্রাদেশিক ভবনের দিকে এগিয়ে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের বেপরোয়া গুলিবর্ষণের ফলে রাজপথে লুটিয়ে পড়ে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউর প্রমুখ দামাল ছেলেরা। তাঁদের সেই মহান আত্মত্যাগের ফলেই বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাঙালির আরেকটি বিজয়ের দিন। ওই দিন প্যারিস বৈঠকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক শাখা ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। জাতিসংঘের ১৮৮টি দেশসহ অনাগত দেশ প্রতিবছর এ দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ ঘোষণায় বাংলা ভাষার মর্যাদা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি পৃথিবীর সব ভাষারই গুরুত্ব বেড়ে গেছে। মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় পৃথিবীর সব জাতি, সব গোষ্ঠী সচেতন হলো। সেই সঙ্গে বেড়ে গেল বাংলা ভাষা ও বাঙালির দায়িত্ব। কেননা, একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, একুশে ফেব্রুয়ারি এখন বিশ্বজনীন।</p> <p><strong>স্বদেশপ্রেম</strong></p> <p>দেশপ্রেম মানবজীবনের অপরিহার্য উপাদান। স্বদেশের উপকার ও কল্যাণের জন্য দায়িত্ববোধ, দেশের সামান্যতম অকল্যাণ দেখেও হৃদয় ব্যথিত হওয়া, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালোবাসার প্রকাশ—এসব মানবীয় গুণাবলির নামই হচ্ছে স্বদেশপ্রেম। এই প্রেম সবার অন্তরেই থাকে। সুখের দিনে এটি সুপ্ত অবস্থায় থাকে। দুঃখের দিনে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে স্বদেশপ্রেম উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। দেশ যখন শত্রুর আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়, তখন সমগ্র জাতি স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বদেশ ও স্বজাতির মান-মর্যাদা রক্ষাকল্পে রণক্ষেত্রে প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার জন্য দলে দলে ছুটে যায়। তখন মনে হয়, ‘নিঃশেষে প্রাণ, যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ প্রকৃতপক্ষে স্বদেশপ্রেমের উদ্ভব আত্মসম্মান বোধ থেকে। যে জাতির আত্মসম্মান বোধ যত প্রখর, সে জাতির স্বদেশপ্রেম তত প্রবল। এই প্রেম এক প্রকার পরিশুদ্ধ ভাবাবেগ। আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস ও স্বদেশপ্রেমের গর্বে গর্বিত। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং সর্বশেষ ১৯৯০ সালের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান আমাদের স্বদেশপ্রেমের প্রমাণ দেয়। অনেকে মনে করেন, দেশকে ভালোবাসার অর্থই অন্য দেশকে দাবিয়ে রাখা, অন্য দেশের প্রতি স্বেচ্ছাচারী হওয়া। প্রকৃতপক্ষে, দেশপ্রেমের সঙ্গে বিশ্বপ্রেমের কোনো বিরোধ নেই। ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’—নীতিই প্রকৃত দেশপ্রেমকে উদ্বুদ্ধ করে। এই দেশপ্রেমের ধরন কখনো বিশ্বপ্রেমের পরিপন্থী নয়, বরং স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক বিশ্ব গড়তে রসদ জোগায়। প্রকৃতপক্ষে দেশপ্রেমের কোনো বিকল্প নেই বলে শিশুমনে দেশপ্রেমের ভাব জাগাতে হবে, ছাত্রদের মধ্যে বোধ গড়ে তুলতে হবে এর অভ্যাস। কারণ, ছাত্রজীবনই হলো দায়িত্ববোধ বিকাশের কাল, সামাজিক কর্তব্যবোধে দীক্ষিত হওয়ার সময়। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রসমাজকে ছিনিয়ে আনতে হবে সোনালি দিন।</p> <p><strong>বাংলাদেশের নকশিকাঁথা</strong></p> <p>যেকোনো জাতি অতীতকালের তৈরি অনেক সৃষ্টি নিয়ে গর্ব করে থাকে। কারণ, অতীতের এ ধরনের কীর্তির মধ্যে প্রতিফলিত হয় জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। শিল্পকলার ক্ষেত্রে এমন একটি ঐতিহ্য হচ্ছে নকশিকাঁথা। বাংলাদেশের নকশিকাঁথা এমনই সুন্দর যে শুধু দেশেই নয়, বিদেশিরাও এই নকশিকাঁথার রূপ দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারেনি। নকশিকাঁথা বর্তমানে একটি লুপ্তপ্রায় লোকশিল্প। একসময় বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে এ কাঁথা তৈরির রেওয়াজ ছিল। একেকটি সাধারণ আকারের নকশিকাঁথা সেলাই করতেও কমপক্ষে ছয় মাস লাগত। বর্ষাকালে যখন চারদিকে পানি থৈ থৈ করে, ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া যায় না, এমন মৌসুমই ছিল নকশিকাঁথা তৈরির উপযুক্ত সময়। মেয়েরা সংসারের কাজ সাঙ্গ করে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে পানের বাটা পাশে নিয়ে পা মেলে বসতেন এ বিচিত্র নকশা তোলা কাঁথা সেলাই করতে। আপন পরিবেশ থেকেই মেয়েরা তাঁদের মনের মতো কাঁথা সেলাইয়ের অনুপ্রেরণা পেতেন। কাঁথা সেলাইয়ের কাপড় বেশির ভাগ মেয়েদের পরনের শাড়ি কাপড়। আর সুতো সেই কাপড়ের পাড় থেকেই সংগ্রহ করা হতো। শুধু কতগুলো সূক্ষ্ম সেলাই আর রং-বেরঙের নকশার জন্যই নকশিকাঁথা বলা হয় না, বরং কাঁথার প্রতিটি সুচের ফোঁড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে একেকটি পরিবারের কাহিনী, তাদের পরিবেশে তাদের জীবনগাথা।</p> <p><strong>বৃক্ষরোপণ অভিযান বা বনায়ন কর্মসূচি</strong></p> <p>কোনো দেশের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন এক-চতুর্থাংশ বনভূমি। কিন্তু বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ শতাংশ। দেশের ভৌগোলিক আয়তনের তুলনায় এ বনভূমির পরিমাণ নিতান্তই অপ্রতুল। এ ছাড়া বংলাদেশের বনগুলো দ্রুত উজাড় হচ্ছে। ফলে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে, দেখা দিয়েছে অনাবৃষ্টি। গোটা দেশ মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার উপক্রমের মধ্য দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ সর্বনাশ থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হলে দ্রুত বনায়ন কর্মসূচি বা বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করতে হবে। কারণ, দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৃক্ষের প্রয়োজন। সবুজ গাছ-গাছালি বাতাসের জলীয়বাষ্প ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং আবহাওয়াকে শীতল রাখে। এর ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বৃক্ষ জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি, অধিক উত্পাদনে সহায়তা, ভূমির ক্ষয় রোধ, নদীর ভাঙন ও জলস্ফীতির হাত থেকে রক্ষা করে মাটির স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। সর্বোপরি আমাদের জীবনধারণের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে প্রাণিকুলের ত্যাগ করা বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে বৃক্ষ প্রাণিজগেক জোগায় খাদ্য।</p> <p>বৃক্ষ মানুষের পরম উপকারী বন্ধু। এর নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মানুষ আপ্লুত হয়। জীবন রক্ষাকারী বৃক্ষের এই প্রয়োজনীয়তার কথা ভুলে গিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বনভূমিকে উজাড় করে দেশকে যে মরুকরণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা কঠোরভাবে দমন করে সবুজে সবুজে দেশকে ছেয়ে দিতে হবে। এ কাজে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। গাছ লাগানোর জন্য জনমনে সচেতনতার সঞ্চার করতে হবে। বাংলাদেশের বন বিভাগের গুরুদায়িত্ব হবে বৃক্ষের চারা উত্পাদন করে তা বিনা মূল্যে জনগণের মধ্যে সরবরাহ করা। এ অভিযান যদি সার্থক হয়, তাহলে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা পাবে বিপন্নতার হাত থেকে।</p>