<p><strong>ভুল : চকোলেট খেলে ব্রণ বাড়ে</strong></p> <p>  <p>অনেকের ধারণা চকোলেট ও ক্যান্ডি, ভাজাপোড়া তৈলাক্ত খাদ্য, চিপস ইত্যাদি খেলে ব্রণ বেড়ে যায়। কিন্তু এ ধারণার সঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞানের দ্বিমত রয়েছে। আমেরিকার গবেষকরাও ব্রণ সৃষ্টিতে কিংবা ব্রণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে চকোলেটের কোনো ভূমিকা থাকার সম্ভাবনাকে একেবারেই নাকচ করে দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষেই যদি চকোলেটজাতীয় খাবারে ব্রণ বেড়ে যেত কিংবা ব্রণ হতো, তাহলে শিশু-কিশোরদের মধ্যেই ব্রণের প্রকোপ বেশি দেখা দেওয়ার কথা ছিল। কারণ শিশুরাই চকোলেটজাতীয় খাবার বেশি খেয়ে থাকে।</p> </p> <p>ব্রণ হয় মূলত সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ডের অতিক্রিয়ার কারণে। সাধারণত সেক্স হরমোনের (এন্ড্রোজেন) প্রভাবেই এটি হয়ে থাকে। বয়সন্ধিকাল থেকে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের শরীরেই এই সেক্স হরমোনটির (এন্ড্রোজেন) নিঃসরণ ঘটে। প্রাপ্তবয়সে এই হরমোনের প্রভাবে সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড প্রচুর পরিমাণে সিবাম তৈরি করে। এই গাঢ় ও আঠালো চরিত্রের সিবাম খুব সহজেই সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড ও হেয়ার ফলিকুলকে ভরাট করে বন্ধ করে দেয়। ফলে ক্রমেই এই গ্রন্থিটি ফুলে উঠতে থাকে। একসময় এটি ফেটে অবস্থাভেদে শাঁসের মতো সাদা পদার্থ কিংবা পুঁজ বের হতে দেখা যায়। সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড বা ঘর্মগ্রন্থির এই ফুলে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট অবস্থাকেই ব্রণ বলা হয়, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যা ‘একনি’ নামে পরিচিত।</p> <p> </p> <p><strong>ভুল : বেশি চিন্তা করলে চুল পড়ে</strong></p> <p>মানুষের প্রতিদিন গড়ে ১০০টির মতো চুল পড়তে পারে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর চেয়ে বেশি চুল পড়লে সেটি চিন্তার কারণ। অনেকে আবার মনে করেন অতিরিক্ত চিন্তা থেকেই সম্ভবত বেশি চুল পড়ে অথবা দুশ্চিন্তাই চুল পড়ার মূল কারণ। আসলে তা নয়। দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে হয়তো কিছু বেশি চুল পড়তে পারে, তবে এটা চুল পড়ার একমাত্র বা আসল কারণ নয়; বরং ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’র অভাব, ছত্রাক সংক্রমণ বা খুশকি, প্রোটিনের অভাব, থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কম বা বেশি, অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনের প্রভাব, কেমোথেরাপি বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বংশগতসহ নানা কারণেও মাথার চুল ঝরতে পারে। ক্লান্তি, অবসাদ, ভুল ডায়েটসহ নানা কারণেও কম বয়সেই চুল পড়ে।</p> <p>তাই চুল পড়া নিয়ে চিন্তা বা টেনশন নয়, বরং আগে চুল পড়ার সঠিক কারণ নির্ণয় করুন। বেশি সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত চুল পড়ার লক্ষণ দেখা দিলে আগে থেকেই সতর্ক হোন। ভিটামিনের ঘাটতি কমাতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার, বিশেষ করে ডিম, শাকসবজি ও মাছ খান।</p>