<p>জনসেবা খাতের সুবিধা পেতে গত এক বছরে এশিয়ার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষকে ঘুষ দিতে হয়েছে—এমন তথ্য জানিয়েছে জার্মানির বার্লিনভিত্তিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। গতকাল মঙ্গলবার এসংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশের পাশাপাশি সংস্থাটি এশীয় সরকারগুলোকে ঘুষ লেনদেনের এ সমস্যা সমূলে উৎপাটনে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানায়।</p> <p>এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১৬টি দেশের ওপর জরিপ শেষে অপরাধ পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি গতকাল জানায়, এ অঞ্চলের ৯০ কোটি মানুষকে গত এক বছরে অন্তত একবার ‘চা খরচের নামে’ ঘুষ দিতে হয়েছে। ঘুষ লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ভারত ও ভিয়েতনাম। সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পেতে তাদের এ অর্থ দিতে হয়েছে। জরিপ বলছে, সবচেয়ে কম ঘুষ লেনদেন হয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও অস্ট্রেলিয়ায়।</p> <p>ঘুষখোরদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পুলিশ। ঘুষ-দুর্নীতির সবচেয়ে বড় শিকার হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠী। প্রতিবেদনে আরো দেখা গেছে, ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডে দরিদ্ররা ঘুষ-দুর্নীতির কারণে বেশি ভোগান্তি পোহালেও ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ার পরিস্থিতি উল্টো। প্রতিবেদনের চিত্র সাপেক্ষে টিআইয়ের প্রধান হোসে উগাজ বলেন, ‘দুর্নীতি রোধের অঙ্গীকার রক্ষায় সরকারগুলোকে অবশ্যই আরো বেশি কাজ করতে হবে।’ ঘুষের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ঘুষ লেনদেন কোনো ছোটখাটো সমস্যা নয়। এটা মুখের সামনে থেকে খাবার কেড়ে নিতে পারে, শিক্ষার অধিকার নষ্ট করতে পারে, যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং শেষমেশ এটা মৃত্যু ঘটাতে পারে।’</p> <p>টিআইয়ের জরিপকালে মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের লোকজন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছে, তাদের দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে এবং দুর্নীতি রোধে সরকারের তেমন কোনো ভূমিকাই নেই। সূত্র : এএফপি।</p>