<p>এমন একটা দিনের অপেক্ষাতেই যেন ছিলেন আন্দ্রি লুনিন। বড় মঞ্চে মাঠে নামবেন, নৈপুণ্য দেখাবেন এবং নিজেকে চেনাবেন। গতরাতে সেটাই করে দেখালেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ২৫ বছর বয়সী গোলরক্ষক। একসময়ের বেঞ্চ মাতানো লুনিন এখন রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের নায়ক।</p> <p>রিয়াল মাদ্রিদে কখনো প্রথম পছন্দের ছিলেন না তিনি। কখনো রিজার্ভ দলে আবার কখনো বা দ্বিতীয়, তৃতীয় পছন্দ হিসেবে দলের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু সেই লুনিনই এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। গতরাতে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে অসাধারণ, দুর্দান্ত ম্যাচ খেলে দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে নিয়ে যেতে রেখেছেন অনবদ্য অবদান। সিটির বিধ্বংসী আক্রমণভাগের একের পর এক আক্রমণ বিশ্বস্তের হাত হয়ে ফিরিয়ে দেন লুনিন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ১২০ মিনিট দাতে দাত চেপে লড়াইয়ের পর টাইব্রেকারে দুটি শট আটকে লুনিন ভাসছেন প্রশংসার জোয়ারে। এমন অভিজ্ঞতা এর আগে কখনোই হয়নি এই গোলরক্ষকের।</p> <p>মৌসুমের শুরুতেই লুনিন ছিলেন দ্বিতীয় পছন্দের। কিন্তু থিবো কোর্তুয়া চোটে পড়ে ছিটকে গেলে স্বাভাবিকভাবেই তার খেলার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ তড়িঘড়ি করে উড়িয়ে আনে কেপা আরিসাবালাগাকে। নিশ্চিতভাবেই লুনিন তখন ভেবেই নিয়েছিলেন, চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গেল তার। কার্লো আনচেলোত্তি দুজনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে থাকলেন। সেখানে কেপার চেয়ে উজ্জীবিত নৈপুণ্য দেখিয়ে লুনিন হয়ে উঠলেন প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক। </p> <p>সিটির বিপক্ষে সেই লুনিন মনে রাখার মত একটি ম্যাচ খেলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেন,'আমার জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ক্লান্তি চেপে ধরেছে আমাকে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার এ ধরণের ম্যাচ খেললামা, ১২০ মিনিট, পেনাল্টি, চাপ এবং দায়িত্ব। এটা ভাষায় প্রকাশ করা খুব কঠিন।'</p> <p>টাইব্রেকারে বের্নারদো সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট আটকে দেন লুনিন। সিলভার শট তো ছিল বিস্ময়কর। এমনই এক শট নিয়েছেন যা জায়গা করে নিয়েছে দাঁড়িয়ে থাকা লুনিনের গ্লাভসে। এ ব্যাপারে লুনিন বলেছেন,'কোনো একটি শটের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকিটা আমাকে নিতেই হতো (মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা)। আমরা এটিকেই বেছে নেই (সিলভার শট) এবং স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা, এটি আমাদের পক্ষে চলে আসে।' রিয়াল মাদ্রিদকে সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে লুলিন দেখালেন কীভাবে দিনের পর দিন ধৈর্য্য ধরে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে হয়।</p>