<article> <p style="text-align: justify;">আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে শতাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এক সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে ১০৩ জন প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১ জন ও মহিলা ভাই চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।</p> <p style="text-align: justify;">নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ধাপে ১৫৯ উপজেলার ভোটে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত রয়েছেন। তফসিল অনুযায়ী, চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এবার চার ধাপে মোট ৪৭৪ উপজেলায় ভোট হবে। এর মধ্যে আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৪৮ উপজেলায় ভোট হবে; দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলার ভোটগ্রহণ ২১ মে; তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে ৫ জুন।  প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১টি ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। বাকি সব উপজেলায় ভোট হবে ব্যালট পেপারে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">দ্বিতীয় ধাপে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ায় আগমীকাল চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। এর পরেই তাঁরা আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। এই ধাপেও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনেকেই বিনা ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন।</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে কিছু উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও অনেক উপজেলায় আত্মীয়-স্বজনরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। একইভাবে বিএনপি-জামায়াতের অনেকে নেতাই প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন; আবার অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ভোটের মাঠ ছেড়েছেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। অনেক প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নোটিশ দিয়ে দায় সারছে ইসি। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে শুধু চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির অন্তত ৪৫ নেতাকর্মী। এর ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ধাপে দলটির ৩৩ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।</p> <p style="text-align: justify;">এর পরই সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে দলীয়ভাবে তত্পরতা বাড়ায় বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহরের শেষ দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হক এবং কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আহসান উল্লাহ। এ ছাড়া নাটোরের বাগাতিপাড়াসহ কয়েকটি উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বিএনপি নেতারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।</p> <p style="text-align: justify;">আর চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের এবং সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতা ও সমর্থকরা। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একজন, রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে তিনজন, বগুড়ার তিন উপজেলায় ছয়জন, নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে চারজন, পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুজন, গাজীপুরের শ্রীপুরে একজন, নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পাঁচজন, মেহেরপুরে দুজন এবং ময়মনসিংহে একজন প্রার্থী রয়েছেন।</p> <p style="text-align: justify;">এবারের উপজেলা ভোট চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রথম দুই ধাপের ভোটে প্রার্থী কারা হবেন তা অনেকটাই নিশ্চিত। দলীয় প্রতীক নৌকা বরাদ্দ না দিলেও ভোটে অংশগ্রহণকারী বেশির ভাগ প্রার্থীই শাসকদল আওয়ামী লীগের সমর্থক। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফাঁকা মাঠে লড়াই হবে শাসকদলের প্রার্থীদের মধ্যেই। এর বাইরে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ভোটে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত চার রাজনৈতিক দলের মোট ৯ জন প্রার্থী দলীয় প্রতীকে ভোটে অংশগ্রহণ করছেন। অন্যদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা ভোটও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।</p> </article>