<p>বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ৩৩ শতাংশ তাদের প্রিয়জন ও পরিবারের চেয়ে স্মার্টফোনকেই বেশি ভালোবাসে। এই মানুষগুলোর সঙ্গে যতটা সময় তারা কাটান তার চেয়ে বেশি সময় দেন স্মার্টফোনে। ভারতের এক পরিসংখ্যানে এসব হিসেব তুলে ধরে বলা হয়েছে, এমন ঘটনা ভারতীয়দের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যাচ্ছে। </p> <p>টেলিকমিউনিকেশন্স কম্পানি মটোরলা এ গবেষণা চালায়। গবেষণায় পার্টনার হিসেবে ছিলেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির মন-মস্তিষ্কের আচরণ এবং সুখের বিজ্ঞান বিষয়ক এক্সপার্ট ন্যান্সি এটকফ। তিনি বলেন, একটা প্রজন্ম তাদের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে চলেছে। </p> <p>এদিকে জরিপে অংশ নেওয়াদের অর্ধেকেরও বেশি (৫৩ শতাংশ) স্মার্টফোনকে তাদের জীবনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ও সহযোগী। স্বাধীনভাবে পরিচালিত এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসোস। তারা জানায়, ভারত সম্ভবত এ তালিকার শীর্ষে যে এর ৬৪ শতাংশ মানুষ ফোনের সঙ্গে জীবনের ভারসাম্য আনার চেষ্টা করে। </p> <p>অন্যদিকে, এক গ্লোবাল জরিপে বলা হয়, বিশ্বের ৬১ শতাংশ মানুষ তাদের জীবনের বেশিরভাগ সময়টা স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে চান। মটোরলা জানিয়েছে, ফোন আর জীবনের ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হয় জীবনে প্রযুক্তির সুবিধা নিতে। কিন্তু সেখানে জীবনকেন্দ্রিক কোনো আয়োজন থাকে না। এতে করে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক এবং আচরণ বদলে যাচ্ছে। </p> <p>গবেষণায় বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশ মানুষ একটু পর পর তাদের স্মার্টফোনে চোখ বুলিয়ে নেন। আর ৪৪ শতাংশ জানিয়েছেন, একান্ত বাধ্যবাধকতা নিয়ে তারা নিজে অজান্তেই মোবাইলে চলে যান। প্রায় ৩৫ শতাংশের মতে, তারা সত্যিকার অর্থেই প্রয়োজনের চেয়েও অনেক বেশি সময় স্মার্টফোনে ব্যয় করেন। </p> <p>এমনকি যখন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না, তখনও ৪৬ চিন্তা করেন একটু পর সুযোগ পেলেই ফোনটা দেখে নিতে হবে। <br /> সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস </p>