<p>অনেকেই শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর দিতে গিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের কথা একেবারেই ভুলে যায়। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলা করার বিষয় নয়।</p> <p>মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক না হলে নানা মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে কার্যকরী কিছু বিষয়ের কথা তুলে ধরা হলো এ লেখায়</p> <p><strong>ইয়োগা</strong></p> <p>মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ইয়োগা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। নির্জন একটি স্থানে নিজেকে একাগ্র চিত্তে ইয়োগা করতে হবে। এতে মানসিক দৃঢ়তা ও মনোযোগ বাড়বে। দূর হবে মানসিক চাপ।</p> <p><strong>হাঁটা বা দৌড়ানো</strong></p> <p>নিয়মিত হাঁটা বা দৌড়ানোর মতো ব্যায়াম করলে সব ধরনের রোগ-বালাই থেকেই মুক্ত থাকা সহজ হয়। সপ্তাহের প্রতিদিন সম্ভব না হলেও অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়াম করুন। শারীরিকভাবে সক্রিয়তা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার চাবিকাঠি। কারণ যেকোনো ধরনের শারীরিক ব্যায়ামে মানবদেহে সুখের অনুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোনের নিঃসরণ ঘটে।  এছাড়া কার্ডিও ব্যায়াম, হাইকিং ও সাইকেল চালানো খুবই কার্যকর।</p> <p><strong>ধাঁধা সমাধান</strong></p> <p>ধাঁধা বা এ ধরনের সমাধান করার খেলায় মস্তিষ্কের ভালো ব্যায়াম হয়। মস্তিষ্কের এই ধরনের ব্যায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্কে নতুন নিউরন অর্থাৎ নতুন কোষের জন্ম হয় যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। এসব খেলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বাড়ে।</p> <p><strong>পরিকল্পনার খেলা</strong></p> <p>অনেক ধৈর্য নিয়ে এবং পরিকল্পনা করে যেসব খেলা হয় যেমন দাবা, কম্পিউটারের নানা গেম ইত্যাদি, সেসকল খেলার মাধ্যমে অনেক ভালো ব্যায়াম হয় মস্তিস্কের। এতে করে ধৈর্য ধারণ ক্ষমতা, পরিকল্পনা করে আগানোর বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়।</p> <p><strong>সুস্থ খাদ্যাভ্যাস</strong></p> <p>প্রতিদিন সঠিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার গ্রহণ করুন। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ ধরনের ফল এবং প্রচুর শাকসবজি খাবেন। নারকেলের পানি এবং কলাও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ যা মেজাজ-মর্জি ভালো রাখতে সহায়ক। এছাড়া কোনোভাবেই সকালের নাশতা বাদ দেওয়া যাবে না।</p> <p>--ওয়েবসাইট অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব</p>