ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

মহাকাশে তৈরি হবে হৃদয়!

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
মহাকাশে তৈরি হবে হৃদয়!

অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞানীরা কৃত্রিমভাবে মানুষের হৃিপণ্ড তৈরি করার চেষ্টা করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় মহাশূন্যের ভরশূন্য পরিবেশে হৃৎপিণ্ড তৈরির এক প্রক্রিয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। নাসার সঙ্গে একটি সংস্থা যৌথভাবে করছে এই কাজ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মিজানুর রহমান

যদি মানুষের হৃৎপিণ্ড ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়—কেমন হবে? আর সেই ল্যাবরেটরি যদি হয় মহাশূন্যে? শুনতে উদ্ভট হলেও এই বিষয়টি নিয়েই কাজ করছে মহাশূন্য-প্রযুক্তি কম্পানি ‘টেকশট’।

তাদের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘নাসা’। তাদের দাবি অনুযায়ী আগামী ১০ বছরের মধ্যে মহাশূন্যে মানুষের হৃৎপিণ্ডকে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে।

কেন মহাশূন্যেই করতে হবে?
পৃথিবীতে অবস্থিত ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড তৈরি করায় একটি বড় বাধা হচ্ছে মহাকর্ষ বল। যেটি থেকে মুক্ত রেখে সঠিক কাঠামোতে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড তৈরি করার জন্য একটি ছাঁচ ব্যবহার করতে হয়।

সমস্যাটি ঘটে এই ছাঁচটি বের করে আনার সময়। হৃৎপিণ্ডটি পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে এটি বের করে আনা অনেক দুঃসাধ্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়ায় হৃৎপিণ্ডটিই নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে পুরো পরিশ্রমটি ভেস্তে যায়।
তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মহাকর্ষ বল না থাকলে পুরো প্রক্রিয়াটি একেবারেই সহজ হয়ে যাবে। কারণ মহাকর্ষ বল না থাকলে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড তৈরিতে ওই ছাঁচ বা কাঠামোর কোনো দরকারই হবে না। আর কাঠামোর দরকার না হলে নির্মাণ-পরবর্তী ক্ষতিরও সম্ভাবনা নেই। যার ফলে সফলতার হার বাড়বে।

চাহিদাই বা কেমন?
২০১৭ সালের এক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর সারা বিশ্বে সাত হাজার ৬০০টি হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।

প্রতিবছর হাজার হাজার রোগী এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন হৃৎপিণ্ডের অভাবে ২০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। ফলে টেকশট মনে করে, এই জায়গায় কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বড় পরিসরে কাজটি করতে পারলে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে এটি কাজে আসবে।

বাধা আছে অনেক
প্রকল্পটির পেছনে আছে অনেক বাধা। প্রথমত, এই ধরনের কাজ কেউ কখনো চেষ্টা তো দূরের কথা, চিন্তাও করেনি। যার কারণে টেকশটকে পুরো বিষয়টি মূল থেকে শুরু করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মহাশূন্যে কারখানা তৈরি করার জন্য যে ধরনের স্থাপনা দরকার তা নেই। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের আকার খুব একটা বড় নয় যে সেখানে এমন একটি কারখানা নির্মাণ করে ফেলা যাবে। তৃতীয়ত, মহাশূন্যে তৈরি করা হৃৎপিণ্ডগুলো দামের দিক থেকে মানুষের নাগালে থাকবে কি না—তা নিয়েও আছে প্রশ্ন। কারণ সবচেয়ে সস্তা মহাকাশ ভ্রমণ রকেট কম্পানি ‘স্পেস এক্স’ও প্রতিটি মিশনের জন্য ছয় কোটি ডলার নিয়ে থাকে। চতুর্থত, এই ধরনের হৃৎপিণ্ডের নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করার পর যদি খারাপ ফল আসে তাহলে পুরো বিনিয়োগটিই হয়তো ভেস্তে যেতে পারে।

আছে সম্ভাবনাও
রোগীর কার্ডিয়াক টিস্যুর নমুনা থেকে এ ধরনের হৃৎপিণ্ড তৈরি করা হবে। তাই বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, এ ধরনের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হলে রিজেকশনের মতো ঘটনা ঘটবে না। লাগবে না কোনো অ্যান্টি-রিজেকশন ওষুধও। আর পুরো প্রকল্পে টেকশটের সঙ্গে কাজ করছে নাসা। তাই আশা করা হচ্ছে, ভালো কিছুই হতে পারে। এদিকে এ ধরনের কারখানার স্থাপনার সমস্যা সমাধান করতে এগিয়ে আসছে ‘ট্যাঙ্গো’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। যারা কয়েক মিটার আয়তনের কিছু মহাকাশ কারখানা নির্মাণ করবে, যেগুলো মহাশূন্যে ১০-৩০ দিন থেকে পণ্য উৎপাদন করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে নতুন হৃৎপিণ্ডগুলো ডেলিভারি দেওয়ার জন্য। ‘এসটি-৪২’ নামের এসব মহাকাশযান ২০২০ সাল নাগাদ চালু হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে এ বছরই
চলতি বছরের মে মাসেই স্পেস এক্সের একটি রকেটে টেকশটের ল্যাবরেটরিটি আইএসএসে পাঠানো হবে। এই ল্যাবরেটরির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বায়ো ফ্যাব্রিকেশন ফ্যাসিলিটি’। থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে ল্যাবরেটরিটিকে। পরে সব পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হলে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে কম্পানিটি। পথটি অনেক লম্বা, তবে প্রাথমিকভাবে আগামী দশকের মধ্যে প্রথম কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ক্রোমের জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিতে পারে ওপেনএআইয়ের যে ব্রাউজার, কবে আসছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ক্রোমের জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিতে পারে ওপেনএআইয়ের যে ব্রাউজার, কবে আসছে
সংগৃহীত ছবি

চ্যাটজিপিটির তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই নিয়ে আসছে নতুন ব্রাউজার। এআই চালিত এই ওয়েব ব্রাউজার লঞ্চ হওয়ার পূর্বেই গুগলের অন্যতম দাপুটে ব্রাউজার ক্রোমের বিরুদ্ধে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চলেছে। ব্রাউজারটি শুধু সার্ফিংয়ের অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে না, বরং ব্যবহারকারীর পক্ষ থেকে নানা কাজ নিজে থেকেই করতে পারবে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ব্রাউজার বাজারে আসতে চলেছে বলে জানিয়েছে তিন ঘনিষ্ঠ সূত্র।

এটি চ্যাটজিপিটির মতো একটি ইন্টিগ্রেটেড চ্যাট ইন্টারফেসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইটে না গিয়ে সরাসরি তথ্য প্রদান করতে পারবে।

বিশ্বজুড়ে ৩ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ বর্তমানে গুগল ক্রোম ব্যবহার করেন। ব্রাউজারটি গুগল প্যারেন্ট কম্পানি অ্যালফাবেট-এর বিজ্ঞাপন ব্যবসার একটি বড় অংশ। কারণ, ক্রোম ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন দেখাতে সাহায্য করে, যা কম্পানির রাজস্বের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ।

আরো পড়ুন
ভিডিও আপলোডে যে নিয়ম মানতে হবে ইউটিউবারদের, নয়তো বন্ধ হবে উপার্জন

ভিডিও আপলোডে যে নিয়ম মানতে হবে ইউটিউবারদের, নয়তো বন্ধ হবে উপার্জন

 

কেমন হবে এই ব্রাউজার

সূত্র জানিয়েছে, ওপেনএআই-এর এই ব্রাউজার তৈরি হচ্ছে গুগলেরই ওপেন সোর্স প্ল্যাটফরম ক্রোমিয়ামের ওপর ভিত্তি করে। একই প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে তৈরি হয় মাইক্রোসফট এজ এবং অপেরা মতো অন্যান্য ব্রাউজারও। নতুন ব্রাউজারে কম্পানিটির এআই এজেন্ট যেমন ওপারেটরকে সরাসরি কাজে লাগাতে পারবে। যা ব্যবহারকারীর হয়ে ফর্ম পূরণ করা, রিজারভেশন বুক করা কিংবা ই-মেইল লেখা—এই ধরনের কাজ করে দিতে পারবে।

গত বছর মার্কিন আদালত গুগলের বিরুদ্ধে অনলাইন সার্চে অবৈধ একচেটিয়া দখলের অভিযোগে রায় দিয়েছিলেন। মার্কিন বিচার বিভাগ ক্রোম বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানায়। যদিও গুগল সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চায়। এমন সময়ে ওপেনএআই-এর নিজস্ব ব্রাউজার আনার পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের ‘বিভ্রান্তিকর’ উত্তর দিচ্ছে এআই

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের ‘বিভ্রান্তিকর’ উত্তর দিচ্ছে এআই

 

প্রসঙ্গত, ওপেনএআই ইতোমধ্যেই অ্যাপলের প্রাক্তন ডিজাইন প্রধান জনি ইভ-এর এআই ডিভাইস স্টার্ট-আপ ‘আইও’ কিনে নিয়েছে।

এর আগেই দুই প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়োগ করেছে তারা, যারা গুগল ক্রোম নির্মাণে যুক্ত ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রাউজারটির আসল শক্তি হবে এর মধ্যে থাকা এআই চালিত এজেন্টরা। যারা ব্যবহারকারীর ওয়েব ব্যবহার বিশ্লেষণ করে নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এর ফলে শুধু সার্চ নয়, ব্রাউজিংয়ের অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তিগত কাজ করার পদ্ধতিই আমূল বদলে যেতে পারে।

সূত্র : দ্য ওয়াল

মন্তব্য

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে মেসেজ আদান-প্রদান, আসছে ভিন্ন এক প্ল্যাটফরম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে মেসেজ আদান-প্রদান, আসছে ভিন্ন এক প্ল্যাটফরম
সংগৃহীত ছবি

বর্তমানে আমরা মেসেজ আদান-প্রদানের জন্য ইন্টারনেটের ওপরই ভরসা করে থাকি। মোবাইল নেটওয়ার্ক-নির্ভর সাধারণ মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা এখন অতীত। কারণ মেসেজ এখন আর শুধুই শব্দনির্ভর নয়। এতে থাকে বহু ছবি, ভিডিও কিংবা লিংক বা অন্যান্য অ্যাটাচমেন্ট।

তাই একাধিক ধরনের চ্যাট প্ল্যাটফরমের ওপরেই ভরসা করতে হয় আমাদের। যার জন্য প্রয়োজন পড়ে ইন্টারনেটের।

তবে এবার আসছে ভিন্নতর প্ল্যাটফরম। মেসেজ পাঠাতে মোটেই লাগবে না ইন্টারনেট! সামাজিক মাধ্যম টুইটার (বর্তমান এক্স)-এর উদ্ভাবক জ্যাক ডরসির হাত ধরেই বাজারে আসছে অ্যাপটি।

যার নাম হবে বিটচ্যাট।

ইন্টারনেট নয়, ব্লুটুথ ব্যবহার করেই এখানে পাঠানো যাবে মেসেজ। তবে মেসেজ প্রাপককে থাকতে হবে প্রেরকের ৩০০ মিটারের মধ্যে। টরেন্ট যেভাবে দুই প্রান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ‌্য আদান-প্রদান করে সেভাবেই বিটচ্যাট ডেটা লেনদেন করবে।

আরো পড়ুন
বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

 

কিভাবে কাজ করবে এই বিটচ্যাট

জানা যাচ্ছে স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড মডেল হিসেবে কাজ করবে এই প্ল্যাটফর্ম। যতক্ষণ সেই ইউজার ‘অ্যাভলেবল’ থাকবেন ততক্ষণ মেসেজটি সেখানে স্টোর থাকবে। আর এ ক্ষেত্রে মেসেজ চালাচালি করতে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ থাকার প্রয়োজন পড়বে না।

পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে মেসেজ থাকবে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড’। আর মেসেজ পাঠাতে কোনো ফোন নম্বর কিংবা ই-মেইল অ্যাড্রেস, কিছুই লাগবে না।

কেন বিটচ্যাটের আগমনকে এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে

মূলত এই মুহূর্তে পৃথিবীতে ডিজিটাল প্রাইভেসি নিয়ে নানা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নানা ভাবে হ্যাকারদের দাপট কিংবা আরো নানা ফ্যাক্টর রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই বার্তা বিনিময়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরো পড়ুন
কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে যেসব খাবারে

কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে যেসব খাবারে

 

কেবল তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপের দৌরাত্ম্যের মাঝে বিটচ্যাট চেষ্টা করছে মেসেজিংয়ের এক নতুন দিগন্ত খোঁজার। যেখানে স্থানীয়, অজ্ঞাত ও ইন্টারনেটবিহীন বার্তা বিনিময় করা যাবে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

১৮ জুলাই বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১৮ জুলাই বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা
সংগৃহীত ছবি

জুলাই আন্দোলন স্মরণে সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুলাই গ্রাহকদের বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আজ বুধবার অপারেটরদের এই নির্দেশনা দিয়েছে।

আরো পড়ুন
কারওয়ান বাজারে চলছে জামায়াতে ইসলামীর প্রচারণা

কারওয়ান বাজারে চলছে জামায়াতে ইসলামীর প্রচারণা

 

নির্দেশনা অনুসারে, বিনা মূল্যের এই ডেটার মেয়াদ থাকবে পাঁচ দিন। ৮ জুলাই বিটিআরসি কার্যালয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।

 জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করতে এবং ডিজিটাল স্বাধীনতা প্রচারের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের এসএমএসের মাধ্যমে এ বিষয়ে গ্রাহকদের আগাম জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি অপারেটরদের এই পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এবং দিবসটি পালনে সহায়তা করতে অনুরোধ করেছে।

আরো পড়ুন
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

 

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তৈমুর রহমান বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের চেতনা, বিশেষ করে ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে, সমুন্নত রাখতে অত্যন্ত আগ্রহী।

এখন আমরা চিঠিটি পর্যালোচনা করব এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’

অন্য একটি মোবাইল অপারেটরের একজন কর্মকর্তা বলেন, টেলিকম কম্পানিগুলিকে গ্রাহকদের দেওয়া সব ডেটার ওপর ট্যাক্স দিতে হবে। সরকারের উচিত বিনা মূল্যের ডেটা করমুক্ত হবে কি না এই বিষয়টি স্পষ্ট করা।’

এ ছাড়া অপারেটরদের ট্রান্সমিশন এবং অন্যান্য ডেলিভারি খরচ বহন করতে হবে।

তাই বিটিআরসির স্পষ্ট করা উচিত যে অন্য স্টেকহোল্ডাররা এই উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য সহযোগিতা করবে কি না’, যোগ করেন তিনি।

গত বছরের ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নের সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট করে দেয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বর্ষায় এসি চালানোর আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বর্ষায় এসি চালানোর আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত
সংগৃহীত ছবি

বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। এই সময়ে ঘরে ডাম্প ও ভ‍্যাপসা গন্ধ তৈরি হয়। এ ছাড়াও বর্ষার এই সিজনের প্রভাব ইলেকট্রনিক গ্যাজেটসের ওপরও দেখা যায়। আপনি যদি বর্ষাকালে এসি ব্যবহার করেন, তাহলে কিছু বিষয় সম্পর্ক জানা জরুরি।

বর্ষার এই সময়ে এসি সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে আপনার এসি খারাপ হতে পারে। তবে কিছু জরুরি বিষয় আছে বর্ষার সিজনে এসি ব্যবহারের সময় যেগুলোর খেয়াল রাখা উচিত।

আপনার এসির আউটডোর ইউনিট ছাদ বা বারান্দায় রাখা থাকলে ঝড়-বৃষ্টির সময় সেটিকে ঢেকে রাখুন। তীব্র বৃষ্টি বা ঝড় তুফান থেকে সেটির ক্ষতি হতে পারে, যার ফলে আপনার এসি খারাপ হতে পারে।

তাই পরের বার এসি চালু করার সময় এর তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করাই ভালো। এতে বিদ্যুৎ বিলের বোঝা তো কমবেই, সেই সঙ্গে তা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হবে।

আরো পড়ুন
বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

 

বর্ষাকালে খুব লোডশেডিং হয়। এর ফলে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন হতে পারে।

এসিকে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন থেকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই স্ট্যাবিলাইজার লাগান। স্ট্যাবিলাইজার লাগানোর ফলে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনের সমস্যা হবে না।

বর্ষার সিজনে আর্দ্রতা অনেক বেড়ে যায়। এই সিজনে আপনাকে এসি ড্রাই মোডে ব্যবহার করা উচিত। ড্রাই মোডে এসি ব্যবহার করলে সে আর্দ্রতা শোষণ করে।

এর ফলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। এ ছাড়া ড্রাই মোডে বিদ্যুতেরও কম খরচ হয়।

বর্ষার সিজনে একটানা অনেক ঘণ্টা পর্যন্ত এসি চালানো উচিত নয়। এর ফলে কম্প্রেসারের ওপর বেশি লোড পড়ে, যার কারণে এসিতে সমস্যা হতে পারে। তাই কয়েক ঘণ্টা এসি ব্যবহারের পর সেটি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দিতে হবে।

আরো পড়ুন
ব্রেইন স্ট্রোকের আগে কয়েকটি সংকেত

ব্রেইন স্ট্রোকের আগে কয়েকটি সংকেত

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ