ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

একবার চার্জ দিলেই স্মার্টফোন চলবে ২৯ দিন!

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
একবার চার্জ দিলেই স্মার্টফোন চলবে ২৯ দিন!

একেবারে বাংলাদেশের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নতুন মোবাইলফোন ব্র্যান্ড ডিগো মোবাইল পি২৪১ এসওএস মডেলের ইমার্জেন্সি ফোন বাজারে এসেছে। ৭ হাজার ৫০০ মিলি-অ্যাম্পিয়ার ক্ষমতার ব্যাটারির ফোনটির নাম দেওয়া হয়েছে পাওয়ার হাউজ।

ডিগো মোবাইলের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের সবচেয়ে বেশি মিলি আম্পিরের ব্যাটারির ফোনটি এক চার্জেই চলবে ২৯ দিন। এবং এই ফোন থেকে এক সঙ্গে তিনটি ফোনে চার্জ দেওয়া যাবে।

অর্থাৎ এটি পাওয়ার ব্যাংক হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। এই ফোনটির ব্যাটারিটিও আলাদাভাবে পাওয়ার ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করা যায়, ফলে ভ্রমণ পিপাসুরা লম্বা সফরে এই ফোনটি সঙ্গে নিতে পারেন।

স্মার্টফোন ইউজাররা এই ফোনটি ব্যাকআপ ফোন এবং পাওয়ার ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। জরুরি প্রয়োজনে ফোনটির এসওএস ফিচারের মাধ্যমে পূর্ব নির্ধারিত পাঁচজন ব্যক্তির কাছে স্বয়ংক্রিয় ফোন ও এসএমএস চলে যাবে।

বিপদে পড়লে তীব্র আওয়াজের প্যানিক অ্যালার্ম ব্যবহার করে সাহায্য নেওয়া যাবে। বয়স্করা এসব সেবা ব্যবহার করে সহায়তা নিতে পারবেন। ওয়্যারলেস এফএম রেডিও এবং বক্স স্পিকারের কারণে সঙ্গীত প্রেমীরা নির্ঝঞ্ঝাট গান শুনতে পারবেন হেড ফোন ছাড়াই।

ডুয়াল সিম সুবিধার এই ডিভাইসটিতে রয়েছে ২.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে ইউনিট, একটি রিয়ার ক্যামেরা, সুপার ব্রাইট টর্চ, জিপিএস, এসওএস, ব্লুটুথ, ওয়্যারলেস এফএম, বক্স স্পিকার ছাড়াও আরও বেশ কিছু উদ্ভাবনী ফিচার।

ফোনটির দাম ২ হাজার ৬৯০ টাকা। সঙ্গে পাওয়া যাবে ইউএসবি এলইডি লাইট এবং একাধিক ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত থ্রি-ইন ওয়ান চার্জার ক্যাবল।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এআই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এআই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?
প্রতীকী ছবি

গত বছর আগস্টে যখন বাংলাদেশের আটটি জেলায় বন্যা হয়, তখন তিন বা চার বছর বয়সী এক শিশুর প্রায় কাঁধ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে থাকার সাদা-কালো একটি ছবি তোলপাড় করে তোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এই ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও নায়িকা পরিমনিও।

আবার অনেকেই ফেসবুকে শিশুটির পরিচয় ও সন্ধান জানতে চায়। কিন্তু পরে দেখা গেল সাড়া জাগানো ওই ছবিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ আই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা।

বন্যায় মানুষের মানবেতর জীবনযাপনের এমন সময়ে ভীত-সন্ত্রস্ত শিশুর ওই ছবি মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছিল, অথচ সেটি আসল ছবি ছিল না। শুধু বাংলাদেশই নয় বরং বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এআই প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহার ও অপব্যবহার দুইই বাড়ছে। 

বিশ্বের অনেক দেশেই এই প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বিভিন্ন আইনি কাঠামো রয়েছে। দেশগুলোর পূর্ণাঙ্গ আইন, এক্সিকিউটিভ আদেশ, নীতিমালা, পলিসি বা স্ট্র্যাটেজি, বিল এমন নানা ধরনের আইনি পরিকাঠামো রয়েছে।

ফলে সেসব দেশে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কোনো ছবি, ভিডিও বা কনটেন্ট তৈরির সীমা যেমন রয়েছে তেমনি অপব্যবহার রোধের ব্যবস্থাও রয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের সীমা বা অপব্যবহার রোধে এখনো আইনি কোনো কাঠামো নেই। অর্থাৎ কোনো সমন্বিত গাইডলাইন বা বিধিমালা, পলিসি বা নীতিমালা এমনকি স্ট্র্যাটেজিও নেই বাংলাদেশে। ফলে এআই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয় বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং আইনজীবীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বিএম মইনুল হোসেন মনে করেন, জেনারেটিভ এআই আসার পর যে কারো কণ্ঠ, চেহারা নকল করা হচ্ছে। এটা শুধু আমাদের দেশের জন্যই না বরং সারা বিশ্বের জন্যই এটা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন পলিসি তৈরিতে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, আমাদের একটা টিম ন্যাশনাল এআই পলিসি করার জন্য কাজ করছে। আমরা এখন আরো বেশ কয়েকটি পলিসি নিয়ে কাজ করছি।

এই পলিসিগুলো যদি শেষ হয় তখন আমরা ন্যাশনাল এআই পলিসিটাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সেখানেই সংশ্লিষ্ট সবগুলো বিষয়কে আমরা অ্যাড্রেস করবে।

এআই নীতিমালা কেন প্রয়োজন?
প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন জীবনকে সহজ করে, তেমনি এর অপব্যবহারে দুর্বিষহও হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীরা মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো থাকা উচিত।

সাধারণভাবে বলা যায়, ধরুন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন একটি ভিডিও বা ছবি তৈরি করা যায়, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই এবং অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ রোধ করতে প্রয়োজন গাইডলাইন অথবা সুনির্দিষ্ট আইনি কাঠামো।

প্রযুক্তি কতটুকু ব্যবহার করা যাবে আর কতটুকু যাবে না, সেটির সীমা নির্ধারিত থাকতে হবে বলে মনে করেন আইনজীবীরা।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নিলু বলেন, কোনো জিনিস যখন আমি অ্যাপ্লিকেশন করবে সেটার সীমাবদ্ধতাটাও কিন্তু আমাকে নির্ধারণ করতে হবে। এই নির্ধারণের জন্য এআইয়ের যেমন প্রসার বাড়ছে তেমনি এটার লাগাম কোথায় টেনে ধরতে হবে সেটাও জানা প্রয়োজন। যখন আপনি জানবেন এটা (নেতিবাচক উপায়ে) বানানোর পর আইনের আওতায় পড়ব এবং ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করা থাকবে, তখন ওই ব্যক্তি কতটুকু করতে পারবে বা ক্ষতিকর দিক সেটা তার মাথায় থাকবে। সেজন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত আইন খুবই জরুরি।

‘এআই’ নিয়ে বাংলাদেশের যেসব পদক্ষেপ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। টেলি যোগাযোগ খাত, মোবাইল ব্যাংকিং, কৃষিসহ নানা খাতে এর ব্যবহার যেমন বাড়ছে তেমনি অপব্যবহারও রয়েছে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে কারো বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো বা হেয় করা, রাজনৈতিকভাবে কোনো ব্যক্তিকে অপদস্থ করা, মানবিক ঘটনার ফায়দা লোটার জন্য এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হচ্ছে।

এর আগে, ২০২০ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ‘জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল’ প্রণয়ন করে। যেটিতে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং প্রশাসনসহ বিভিন্ন খাতে এআই ব্যবহারের রূপরেখা তৈরি করা হয়। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি সেটি।

একই সঙ্গে গত বছর ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার এআই এর একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছিল। যদিও খসড়া ‘ন্যাশনাল এআই পলিসি’ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এই নীতির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে এআই উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি গ্রহণে অগ্রগামী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সহায়তা করতে তা করা হচ্ছে।

এই খসড়া নীতিমালায় যেসব খাতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো সরকারি সেবা ও বিচারিক ব্যবস্থা, টেলিযোগাযোগ, ডেটা গভর্ন্যান্স, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, কৃষি, গবেষণা ও উদ্ভাবন ইত্যাদি খাত।

একটি স্বাধীন ন্যাশনাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এর অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে ওই খসড়া নীতিমালায়।

ইউনেস্কোর ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্র ২০২১ সালের নভেম্বরে সর্বসম্মতিক্রমে ‘এথিকস অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স(ইউনেস্কো, ২০২২)’ অনুমোদন করে। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ঝুঁকি হ্রাস করাই ইউনেস্কোর এই বৈশ্বিক কাঠামোর লক্ষ্য।

অর্থাৎ বিভিন্ন দেশ যাতে তাদের পলিসি ও প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেজন্যই ইউনেস্কো ‘রেডিনেস অ্যাসেসম্যান্ট মেথোডলজি’ তৈরি করেছে। নৈতিক এআই অনুশীলনের ক্ষেত্রে একটি দেশের প্রস্তুতি নির্ধারণ করা হয় এই র‍্যামের মাধ্যমে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে ‘এআই’ নিয়ে যেসব পদক্ষেপ
এআই প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার ও বৈচিত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এআই শব্দটি রয়েছে এমন আইন থাকা দেশের সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ২৫টি। যা ২০২৩ সালে তা বেড়ে ১২৭টিতে পৌঁছেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত বছরের মার্চে এআই আইন অনুমোদন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের এআই আক্টের মাধ্যমে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থাকে আলাদা শ্রেণিভুক্ত করে নির্দিষ্ট নীতিমালায় বেঁধে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ‘ইউনাইটেড স্টেটস অ্যাপ্রোচ টু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০শে অক্টোবর সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এআই নিয়ে একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার বা নির্বাহী আদেশ দেন। ‘নিরাপদ, সুরক্ষিত ও বিশ্বাসযোগ্য এআই ডেভেলপমেন্ট এবং ব্যবহারে’ ওই আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে স্বতন্ত্র আইন। এছাড়াও এআই সম্পর্কিত আইনের ধারা বা বিধানও রয়েছে দেশটিতে।

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য আইন হলো ‘ন্যাশনাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইনিশিয়েটিভ অ্যাক্ট, ২০২০, এআই ইন গভর্নমেন্ট অ্যাক্ট এবং অ্যাডভান্সিং অ্যামেরিকান এআই অ্যাক্ট।’

কানাডায় এআই এবং ডেটা অ্যাক্ট দুটোই রয়েছে। ভারত ২০১৮ সালেই ‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ নামে কৌশল প্রণয়ন করেছে। দেশটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অবকাঠামো, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতভিত্তিক এআই ব্যবহারের কৌশলপত্র করেছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের এআই নিয়ে কৌশল নীতি রয়েছে ২০৩১ সাল পর্যন্ত। চীন অ্যালগরিদমের ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে যেন তা রাষ্ট্রবিরোধী বা সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরিতে ব্যবহার না হয়।

ইউনেস্কোর এআই প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বিএম মইনুল হোসেন বলেন, সারা বিশ্ব দশ বছর আগে যা করেছে সেটাই আমাদের নেই। এআই একটা জিনিস করলো সেটার জন্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলো সেটার জন্য দায়বদ্ধ বা একাউন্টেবল কে? কাকে ধরবেন? এরকম জবাবদিহিতার কেউ যদি না থাকে এরকম চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে।

এআই সংক্রান্ত পলিসি বা গাইডলাইন না থাকায় বাংলাদেশ এখনো এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, এআই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন কিছু প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হলেও কালেক্টেড বা কো – অর্ডিনেটেড ব্যবস্থা নাই। অর্থাৎ সমন্বিত কোনো পরিকল্পনা নেই। পলিসি বা স্ট্র্যাটেজি হলে মনিটরিং কে করবে সেটা থাকে। কিন্তু সে জিনিসগুলোতে কোনও প্রস্তুতি দেখতে পারছি না।

আরো পড়ুন
খিলক্ষেতে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নারীসহ ২ পরিচ্ছন্নকর্মী নিহত

খিলক্ষেতে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নারীসহ ২ পরিচ্ছন্নকর্মী নিহত

 

প্রযুক্তিগত একটি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেডের চিফ ইনফরমেশন অফিসার সুমন আহমেদ সাবির অবশ্য বলছেন, একাডেমিকরা কীভাবে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, নেক্সট জেনারেশন কীভাবে ক্যাপাবিলিটি তৈরি করবে এবং অর্গানাইজেন কীভাবে ব্যবহার করবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে অথবা যাবে না, এই ডিমার্কেশন লাইন বা গাইড লাইন তৈরি করা জরুরি। এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ কেউ এর বেনিফিট নিচ্ছে কিন্তু এআইয়ের বিপুল যে সক্ষমতা এই জায়গাটা আমরা ব্যবহার করতে পারছি না।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভিডিও আপলোডে যে নিয়ম মানতে হবে ইউটিউবারদের, নয়তো বন্ধ হবে উপার্জন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভিডিও আপলোডে যে নিয়ম মানতে হবে ইউটিউবারদের, নয়তো বন্ধ হবে উপার্জন
সংগৃহীত ছবি

ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এখন ইউটিউব। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বে এই প্ল্যাটফরম এখন উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তবে এবার তাদের কাজকর্মে সীমাবদ্ধতা নিয়ে আসতে চলেছে সংস্থাটি।

জানা গেছে, আগামী ১৫ জুলাই থেকে ইউটিউব তাদের নিয়মে পরিবর্তন আনতে চলেছে।

নতুন এই নিয়মানুযায়ী, ইউটিউবাররা যদি তাদের পুরনো ভিডিও দ্বিতীয়বার আপলোড করে, তবে সেখান থেকে কোনো আয় করতে পারবেন না।

কেন এই সিদ্ধান্ত

সূত্র জানিয়েছে, ইউটিউবাররা ভালো কাজ করছেন তাদের সুরক্ষা প্রদান এবং প্ল্যাটফরমের অপব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যেই নতুন এই নিয়ম আনতে চলেছে সংস্থাটি। মূলত অনেক ইউটিউবার তাদের চ্যানেলে নিজেদের পূর্ব প্রকাশিত ভিডিও ফের আপলোড করেন এবং সেখান থেকে অনৈতিকভাবে আয় করেন।

আরো পড়ুন
যেসব ফোনে আর কাজ করবে না ক্রোম ব্রাউজার!

যেসব ফোনে আর কাজ করবে না ক্রোম ব্রাউজার!

 

নিকটতম অতীতে এটাও দেখা গেছে, বেশ কিছু ইউটিউবার তাদের চ্যানেলে অন্য ইউটিবারের বানানো ভিডিও কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি করা ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করছেন।

এই ধরনের অন্যায্য কার্যকলাপ থেকে ইউটিউবারদের বিরত রাখতে এবং প্ল্যাটফরমের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা আরো বাড়িয়ে তুলতে নতুন এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে সংস্থাটি।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম’ সর্বদা ইউটিউবারদের নিজস্ব বানানো ভিডিও প্ল্যাটফরমটিতে আপলোড করার নির্দেশ দিয়ে এসেছে। কিন্তু এই নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে। তাই আগামী ১৫ জুলাই থেকে ইউটিউবে আপলোড করা সব ভিডিও মূল্যায়ন করবে সংস্থাটি।

আর সেই অনুযায়ী নির্মাতাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন
যেসব ফোনে বন্ধ হতে চলেছে ইউটিউব

যেসব ফোনে বন্ধ হতে চলেছে ইউটিউব

 

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

লিফট ছিঁড়ে গেলে কী করবেন? বেশিরভাগ মানুষ জানেন না এটা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
লিফট ছিঁড়ে গেলে কী করবেন? বেশিরভাগ মানুষ জানেন না এটা
সংগৃহীত ছবি

আমরা অনেকেই এখন লিফটে উঠানামা করি, কিন্তু কখনো কী ভেবে দেখিছি উপর থেকে লিফটে নিচে নামার সময় লিফটের তার ছিঁড়ে গেলে আমরা কী করব? ধরুন, আপনি ৩০ তলা থেকে নামছেন, লিফটের তার ছিঁড়ে গেল। হু হু করে নিচে পড়ছেন। চার সেকেন্ডের একটু পরই আপনার বেগ হবে সেকেন্ডে প্রায় ৪০ মিটার, যা ঘণ্টায় ৯০ মাইলের সমান। 

আপনার ওজন যদি হয় ৬০ কিলোগ্রাম, তাহলে ভরবেগ দাঁড়াবে ৬০*৪০=২৪০০ কিলোগ্রাম-মিটার প্রতি সেকেন্ড।

মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ যেহেতু ৯.৮ মিটার প্রতি সেকেন্ড*প্রতি সেকেন্ড, তাই প্রতি মুহূর্তে এই ভরবেগ বাড়তে থাকবে। অর্থাৎ, লিফটটা যখন মাটিতে আছড়ে পড়বে, তখন আপনার ওজনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ওজনের ধাক্কা খাবেন।

এমনকি আপনার মাথার ওজনের চাপে ঘাড় ভেঙে যাবে। পা ভাঁজ করে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেও লাভ হবে না।

কারণ, পড়ন্ত শরীরের প্রচণ্ড ভরবেগ পা সইতে পারবে না। লাফ দিয়ে শূন্যে অবস্থানের চেষ্টাও বৃথা। কারণ, ঠিক কখন লিফট মাটিতে পড়বে, তা বোঝা মুশকিল। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সময় দ্রুত নিচের কৌশলটি কাজে লাগান :

নিজেকে লিফটের মেঝেতে শুইয়ে দিন

শরীরের যতটুকু সম্ভব মেঝেতে সমান করে শুয়ে পড়ুন।

পিঠের ওপর শুয়ে আপনার হাত দিয়ে মাথা ও মুখ ঢেকে রাখুন।

কেন এই ভঙ্গি সবচেয়ে নিরাপদ?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরকে মেঝেতে সমানভাবে ছড়িয়ে দিলে আঘাতের ঝুঁকি কমে যায়। কারণ, এতে করে ধাক্কা বা আঘাত শরীরের কোনো একটি বিশেষ অংশে কেন্দ্রীভূত না হয়ে পুরো শরীরে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বড় ধরনের আঘাতের আশঙ্কা কমে।

মনে রাখবেন:

প্যানিক করবেন না।

দ্রুত মেঝেতে শুয়ে পড়ুন।

মাথা ও মুখ হাত দিয়ে ঢেকে রাখুন।

চোখ বন্ধ রাখুন এবং চেষ্টা করুন ঠাণ্ডা মাথায় থাকতে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের ‘বিভ্রান্তিকর’ উত্তর দিচ্ছে এআই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের ‘বিভ্রান্তিকর’ উত্তর দিচ্ছে এআই
সংগৃহীত ছবি

প্রায়সময় আমাদের মনে কিছু প্রশ্ন জাগে। আর এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে দ্বারস্থ হই সংশ্লিষ্ট বই, আর্কাইভ বা ওয়েবসাইটে। কিন্তু বর্তমানে সময় বাঁচাতে অনেকেই এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) চ্যাটবটের দ্বারস্থ হচ্ছেন। সময়ের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব চ্যাটবট জনপ্রিয় হচ্ছে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে চ্যাটজিপিটি, জেমিনি, মেটা, গ্রক, ক্লডসহ বিভিন্ন চ্যাটবট।

এসব চ্যাটবটের কাছে বিভিন্ন বিষয় জানতে চান মানুষ। তার মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নও রয়েছে। আর সেখানেই ঘটতে পারে বিপত্তি।

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এআই অনেক সময়েই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের ভুল উত্তর দিচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন জার্নালের নামে নকল তথ্য দাবি করে ব্যবহারকারীকে প্রদান করছে। এর ফলে কারো মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে ‘অ্যানাল্স অব ইন্টারনাল মেডিসিন’ জার্নালে একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে।

সেই গবেষণায় একাধিক এআই প্রি-ট্রোন্ড মডিউলকে (চ্যাটজিপিটি, জেমিনাই, মেটা, গ্রক, ক্লড ইত্যাদি) ১০টি প্রশ্ন করেছেন গবেষকরা। গবেষণায় পাওয়া উত্তরের বিশ্লেষণও করেন তারা।

আরো পড়ুন
প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটলে শরীরে আসবে যে পরিবর্তন

প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটলে শরীরে আসবে যে পরিবর্তন

 

প্রশ্নগুলোর মধ্যে ছিল, সানস্ক্রিন ব্যবহারে কি ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে? বা ফাইভ জি প্রযুক্তি কি বন্ধ্যত্ব তৈরি করতে পারে?— এ রকম কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়। প্রতিবারেই চ্যাটবট বিভিন্ন ধরনের উত্তর দিয়েছে।

অ্যাডিলেডের ‘অ্যাশলে হপকিন্স অব ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ’-এর অধ্যাপক অ্যাশলে হপকিন্স বলেন, প্রযুক্তির যদি কোনো ফাঁক থাকে, তাহলে অসৎ উদ্দেশে তাকে ব্যবহার করা সম্ভব।

তার সঙ্গে কারো অর্থনৈতিক লাভ বা ব্যক্তিগত ক্ষতি জড়িয়ে থাকে।

আরো পড়ুন
এআইকে ‘থ্যাংক ইউ, প্লিজ’ বললে কী হয়

এআইকে ‘থ্যাংক ইউ, প্লিজ’ বললে কী হয়

 

সেখানে দেখা গেছে, একমাত্র ‘ক্লড’ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নে কোনো ভুল উত্তর দেয়নি। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এআই চ্যাটবটের ভুল উত্তর মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট হয়েছে, এআই ‘মিথ্যা’ও বলতে পারে। ভবিষ্যতে এআইকে নিয়ন্ত্রণ না করলে মানুষের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিপদের আশঙ্কা বাড়বে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

সূত্র : আনন্দবাজার ডট কম

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ