<p>চার দিন আগে এক ভিডিও বার্তায় স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। আট মিনিটের বেশি সময়ের সেই ভিডিওতে তিনি জানান, কিছুদিন হলো তাঁরা আলাদা আছেন। খুব দ্রুত ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। সম্পর্কের এমন টানাপড়েনে কঠিন সময় পার করছেন মাহি। তবে এত কিছুর পরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চোখ রাখলেই দেখা যায়, বেশ খোশমেজাজেই আছেন এই অভিনেত্রী।</p> <p>ছেলে ফারিশ সরকারকে ঘিরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন মাহি। ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর ছবি পোস্ট করছেন। তা ছাড়া ফেসবুক রিলে সাজগোজের ভিডিও, অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে মাহিকে। এমনকি অন্য অনেকের ভিডিও ছবিতে খোশমেজাজেই দেখা গেছে তাঁকে। বিচ্ছেদ নিয়ে বিস্তারিত জানতে তাঁকে অনেকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। </p> <p>এদিকে রাকিবের সঙ্গে মাহিয়া মাহি দুই বছর আগে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ান। দুজনেরই প্রথম বিয়ের বিচ্ছেদের পর একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তিন বছরের মাথায় তাঁদের সংসারে ভাঙনের সুর শোনা গেল। যদিও বিচ্ছেদের কারণ খোলাসা করেননি অভিনেত্রী। শুধু ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের দুজনের মধ্যে একটু সমস্যা আছে, তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।’</p> <p>এদিকে বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার পর কথা হয় মাহির স্বামী রাকিবের সঙ্গে। তিনি জানান, তিনি সব কিছু অবজার্ভ (পর্যবেক্ষণ) করছেন। ভিডিও বার্তা প্রকাশের মাধ্যমে সময় নিয়ে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করবেন।</p> <p>তবে গুঞ্জন উঠেছে, রাজনীতির মাঠে বারবার পরাজয়ের কারণেই বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে মাহির। রাজনীতিবিদ রাকিবকে বিয়ের পর থেকেই সিনেমার মাঠ ছেড়ে রাজনীতির মাঠে সরব হয়ে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সে সময় অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন রাকিবের উৎসাহে রাজনীতির মাঠে সরব তিনি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদও পেয়েছিলেন মাহি।</p> <p>এরপর গত বছরের শুরুর দিকে নিজ এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন তোলেন এই নায়িকা; কিন্তু মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন না পেলেও এলাকায় নানা সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত হতে দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গে সব সময়ই দেখা যেত স্বামী রাকিব সরকারকেও। এরপর গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ফরম তুলেছিলেন তিনি। মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু  ওই আসনে ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে ৯৪ হাজার ৫৮৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন মাহি। বিপুল ভোটে পরাজয়ের পরও রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মাহি।</p> <p>কিছুদিন আগেই খবর ছিল সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন মাহি। তিনি রাজশাহী বিভাগের বুথ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গিয়েছিল। তবে মনোনয়ন পাননি। শোনা যাচ্ছে, মাহি রাজনৈতিকভাবে সাফল্য না পাওয়ায় দূরত্ব বাড়ছে। স্বামী রাকিব নাকি চাইতেন মাহি রাজনীতিতে সরব থাকুন; কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়া এবং ভোটের মাঠে পরাজয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে একটু সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।</p>