<p style="text-align: justify;">ভোলা-লক্ষ্মীপুর (ইলিশা-মজুচৌধুরীহাট) নৌ রুটের বিপজ্জনক এলাকা (ডেঞ্জার জোন) দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দ্বিগুণেরও বেশি যাত্রীসহ উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে বড় নৌযানগুলো। একই সঙ্গে ছোট ছোট নৌযান ও স্পিডবোট দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে মেঘনায়। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।</p> <article> <p style="text-align: justify;">বিআইডাব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, সাগর ও মেঘনা নদীর মোহনার উপকূলীয় তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথে প্রতিবছর ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিপজ্জনক মৌসুম ঘোষণা করা হয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এ রুটগুলোতে বে-ক্রসিং সনদ ছাড়া নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ। সে হিসেবে ভোলার ইলিশা থেকে মেঘনা নদীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত এলাকাকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত করে ‘সি সার্ভে’ ছাড়া সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। ডেঞ্জার জোনের মধ্যে বৃহত্তর বরিশালের চারটি উপকূলীয় নৌ রুট রয়েছে। এর মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দ্বীপজেলা ভোলার মধ্যে রয়েছে ইলিশা-বরিশাল-ঢাকা, মীর্জাকালু হাকিমুদ্দিন-নোয়াখালীর চর, দৌলতখান-আলেকজান্ডার ও ভোলার মনপুরা-শশীগঞ্জ নৌ রুট।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">স্থানীয় সূত্র জানায়, বর্ষা মৌসুমে ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর নৌ রুটে চারটি সি-ট্রাক ও দুটি লঞ্চ চলাচল করে। সি-ট্রাকগুলো হলো- এসটি খিজির-৫, এসটি খিজির-৮, এসটি শহীদ শেখ কামাল, এস টি সুকান্ত বাবু এবং লঞ্চ দুটি হলো এমভি পারিজাত ও এমভি অপরাজিতা। সি-ট্রাকগুলো দৈনিক দুইবার ও লঞ্চগুলো দৈনিক একবার আসা-যাওয়া করে।</p> <p style="text-align: justify;">সি-ট্রাকগুলোর মধ্যে এসটি খিজির-৫ পরিচালনা করেন মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। আর এসটি খিজির-৮ ও শহীদ শেখ কামাল পরিচালনা করেন মো. বশিরুল ইসলাম এবং এসটি সুকান্ত বাবু পরিচালনা করেন মো. বাহাদুর।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সম্প্রতি সরেজমিনে ইলিশা ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই লক্ষ্মীপুর থেকে এসটি খিজির-৫ নামের একটি সি-ট্রাক প্রায় সাড়ে চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ইলিশা ঘাটে পৌঁছেছে। নৌযানটিতে পা ফেলারও জায়গা নেই। এ সময় ঘাটে থাকা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনই এসটি খিজির রাতের অন্ধকারে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ঘাটে পৌঁছে। আবার ইলিশা থেকেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ঘাটে আরো তিনটি সি-ট্রাক থাকা সত্ত্বেও যাত্রীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে থাকে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">এ ব্যাপারে এসটি খিজির-৮ ও শহীদ শেখ কামাল সি-ট্রাক পরিচালনাকারী তামিমুল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. বশিরুল ইসলাম বলেন, এসটি খিজির-৫-এর মালিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিদিন ভোরে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দেন। অন্য কোনো সি-ট্রাক বা লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে না।</p> <p style="text-align: justify;">তবে এসটি খিজির-৫ পরিচালনাকারী মো. লিটনের দাবি, তাঁরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছেন না। তাঁর জাহাজের ধারণক্ষমতা ৪২৫ জন। বর্তমানে ২৫০ থেকে ৩০০ জন যাত্রী হয়।</p> <p style="text-align: justify;">বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে থাকেন। এর পরও অবৈধ নৌযান বন্ধে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ তাদের বলা আছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p style="text-align: justify;"> </p> </article>