<p>উপজেলা নির্বাচনে একটা জাল ভোট পড়লে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের কেন্দ্র ছেড়ে চলে আসার জন্য বলেছেন। </p> <p>বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে শনিবার (২৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সভায় এসব নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান।</p> <p>নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যদি ভোটকেন্দ্রে কেউ পরিবেশের বিঘ্ন ঘটায় তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ভোট কার্যক্রম শুরু করা হবে। আর যদি এর থেকেও শক্তিশালী ঘটনা ঘটে- যেমন ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। তাহলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে চলে যান, ভেগে যান কিন্তু কোনো প্রকার সহিংসতাকে গ্রহণ করা হবে না।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু,অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, এটা আপনারা ইতোপূর্বেও দেখে এসেছেন। যা সকলের সহযোগিতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করেছি। প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিবেক এবং ইমানের ওপর নির্ভর করে সঠিকভাবে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বলা হয়েছে। তাদের সাংবাদিকদের বিষয়ে বলা হয়েছে। সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের থার্ড আই এবং ইয়ার হিসেবে কাজ করছে। তারা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও সংবাদ প্রকাশ করে, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় তারাই পাবে যারা দুই নম্বর, ধোঁকাবাজ এবং অন্যায়ের সাপোর্টকারী।’</p> <p>আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা যখন ঢুকবে, তখন অনুমতির দরকার নেই। কেন্দ্রে ঢুকে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করবে। তারপর তিনি নিয়মানুযায়ী যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবেন এবং ছবি ও ভিডিও নিতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও ক্যামেরা ধরে রাখা যাবে, শুধু লাইভটা ভোট কক্ষের বাইরে দেবে।’</p> <p>বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী, রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামসহ স্থানীয়  প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।</p>