<p>জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের মোরারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মঙ্গাল মিয়া নামে এক কিশোর দুই বছর সাত মাস পর ভারতের কারাগার থেকে পুলিশের সহায়তায় মুক্তি পেয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ মঙ্গাল মিয়াকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। </p> <p>জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের মোরারপাড়া গ্রামের আল ফারুকের ছেলে মোহাম্মদ আলী মঙ্গাল মিয়াকে (১৭) বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি না জানায় তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। দুই মাস আগে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পায় নিখোঁজ মঙ্গাল মিয়া ভারতের কারাগারে বন্দি। পুলিশ ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে দুই দেশের পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে চিঠি চালাচালি শুরু করে। দুই মাস পর ২৬ এপ্রিল নাকুগাঁও চেকপোস্টের ১১১৬ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের পুলিশ ও বিএসএফের সদস্যরা মঙ্গাল মিয়াকে বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এ সময় বিজিবির কম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওবায়দুল ইসলাম, বকশীগঞ্জ থানার এসআই লাবলু আহমেদ, বিএসএফের ইন্সপেক্টর নিম সিম তনংচিন, ভারতীয় পুলিশের ইন্সপেক্টর ওমর ফারুকসহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল আহাদ খান জানান, এসআই লাবলু আহমেদের নেতৃত্বে মোহাম্মদ আলী মঙ্গাল মিয়াকে উদ্ধার করা হয়। পরে তার মা নেছিফুল বেগম, বড় ভাই রিয়াজুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।</p>