<p>মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুর রহমান ও বিদ্রোহী প্রার্থী মুশফিকুর রহমান খান হান্নানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ৬টি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। </p> <p>গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার বায়রা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক মনিরুজ্জামান হিরো (৬৫), ইউসুফ আলী (৫৫) ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক আলী হায়দার (৪৫)।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধায় জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য দলের ‘বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মুশফিকুর রহমান খান হান্নান তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার বায়রা বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা করছিল। তখন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা সেখানে গিয়ে হান্নানের প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি ও নৌকার লিফলেট বিতরণ করতে থাকে। </p> <p>এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক বায়রা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান হিরো (৬৫), ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউসুফ আলী (৫৫) ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক বায়রা বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার (৪৫) আহত হন। এদের মধ্যে আলী হায়দারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইউসুফ আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও মনিরুজ্জামান হিরোকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।</p> <p>জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য বিদ্রোহী প্রার্থী মুশফিকুর রহমান খান হান্নান বলেন, বিকাল ৫টার দিকে বায়রা বাজার এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলাম। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুর রহমানের সমর্থকরা সন্ধ্যার সময় কয়েকটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে করে এসে আমার প্রচারণায় বাধা দেয়। </p> <p>প্রতিবাদ করলে দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা আমার সমর্থকদের ‌ওপর হামলা করে। হামলায় আলী হায়দারসহ আমার কয়েকজন কর্মী আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া করে ওই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।</p> <p>আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুর রহমান বলেন, নৌকার প্রচারণা চালানোর সময় বিদ্রোহী প্রার্থী মুশফিকুর রহমান খান হান্নানের উপস্থিতিতে তার সমর্থকরা আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও ৪টি মাইক্রোবাস এবং একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জমান হিরো ও ইউসুফ আলীকে।</p> <p>সিঙ্গাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>