<p>মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর দেহরক্ষী, সাবেক শিবির ক্যাডার ও কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম ও ৩ ইউপি মেম্বারসহ ৯ আসামিকে সাবেক চেয়াম্যানের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ এবং হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় আদালত কারগারে প্রেরণ করেছেন। পেকুয়া থানায় দায়ের করা দু'টি মামলার এসব আসামীগণ গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।</p> <p>আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি প্রকাশ্য দিবালোকে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর দেহরক্ষী ও মগনামা ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৩৫/৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস চৌধুরীর উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা ইউনুস চৌধুরীকে অস্ত্রের মুখে ঘর থেকে তুলে লবণ মাঠে নিয়ে যায়। সেই লবণ মাঠে সন্ত্রাসীরা তাকে (ইউনুস) হত্যার চেষ্টা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সন্ত্রাসীরা একই দিন রাতে সাবেক চেয়ারম্যানের বসতঘরটিতেও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।</p> <p>এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনার ব্যাপারে পেকুয়া থানায় দু'টি মামলা দায়ের করা হয়। হামলার ঘটনায় ৩২ জন এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আসামি করা হয় ১৫ জনকে। সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরীর ছোট ভাই সরওয়ার কামাল চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা দু'টি দায়ের করেন।</p> <p>মামলার ১৫ জন আসামি উচ্চ আদালতে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে জামিনের অবেদন জানান আসামিরা। জামিনের আবেদন জানানোর পর আদালতের কাঠগড়া থেকে তিনজন কৌশলে পালিয়ে যান। মুখ্য জুডিসিয়াল বিচারিক আদালতের বিচারক তৌফিক আজিজ শুনানি শেষে ৯ জনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তিনজন আসামির জামিন মঞ্জুর এবং পলাতক তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।</p> <p>আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরীর উপর হামলা এবং তার বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা আসামিরা হলেন- যথাক্রমে ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম, জয়নাল, শাহাবুদ্দিন, মইন উদ্দিন, ওবায়েদ উল্লাহ, মেম্বার মাদু, মেম্বার জসিম, মেম্বার বদ ও সাকের উল্লাহ। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে লিটন, মানিক ও জিয়াবুলের বিরুদ্ধে। এদিকে যুদ্ধারপরাধী মীর কাসেম আলীর দেহরক্ষীসহ ৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানোয় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয় বলে জানা গেছে।</p>