ইনফ্লুয়েঞ্জার এই মৌসুমে করোনাও ছড়াতে পারে

শিমুল মাহমুদ
শিমুল মাহমুদ
শেয়ার
ইনফ্লুয়েঞ্জার এই মৌসুমে করোনাও ছড়াতে পারে

দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জার এই মৌসুমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার দেখা দিতে পারে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে এই সংক্রমণ আমাদের দেশেও ছড়াতে পারে।

এখন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ভাইরাস জ্বরের মৌসুম।

গত দুই বছর এই সময় দেশে কভিড-১৯ রোগের প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। এ বছরও এর তেমন ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল শুক্রবার ভারতের এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৪  ঘণ্টায় দেশটিতে তিন হাজার ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে দুজন।

আগের দিন গত বৃহস্পতিবার তিন হাজার ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়, যা প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাকেন্দ্রের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশেও বিস্তার ঘটার আশঙ্কা থাকে। আমরা দেখেছি, ইনফ্লুয়েঞ্জার মৌসুমে কভিড বাড়ে। সেই হিসেবে মৌসুম শুরু হয়ে গেছে।

গত ২০২০ ও ২০২১ সালে সর্বোচ্চ কভিড রোগী শনাক্ত হয় জুন-জুলাইয়ে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে গত এক দিনে ৭২০টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আরো পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শনাক্ত রোগীদের সবাই ঢাকার বাসিন্দা। দেশের বাকি ৬৩ জেলায় এক দিনে কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ২৮ হয়েছে।

মারা গেছে ২৯ হাজার ৪৪৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ছয় হাজার ৮৮৮ জন।

মুশতাক হোসেন বলেন, এখন করোনার ধরন ওমিক্রনের নতুন উপধরন দ্বারা সংক্রমণ ঘটছে। তবে গুরুতর রোগীর সংখ্যা খুব কম। তবে যাঁরা কভিড-১৯-এর কোনো টিকা নেননি, বয়স্ক, ফুসফুসের কার্যকারিতা কম, বিভিন্ন রোগে ভুগছেন, নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের জন্য কভিড-১৯ এখনো বিপজ্জনক। তাঁরা সংক্রমিত হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৫১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শনাক্ত হয় তিন লাখ ১২ হাজার ৯৪৫ জন, যা মোট শনাক্তের ৬০ শতাংশ। পরের বছর ২০২১ সালে করোনা শনাক্ত হয় ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৯ জনের। উল্লিখিত পাঁচ মাসে শনাক্ত হয় আট লাখ ৮৯ হাজার ৩২৩ জনের, যা মোট শনাক্তের ৮৩ শতাংশ।

পরের বছর ২০২২ সালে করোনা শনাক্ত হয় চার লাখ ৫১ হাজার ৫৮৬ জনের। এর মধ্যে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে শনাক্ত হয় ৭৯ শতাংশ। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শনাক্ত হয় ১৩ শতাংশ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ডা. লিয়াকত আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, করোনাভাইরাস এখন কমন কোল্ডের (সর্দি-জ্বর) চারটা ভেরিয়েন্টের মতো একটা। বর্তমানে যে ভেরিয়েন্ট ছড়াচ্ছে, সেটি মাঝে-মধ্যে সংক্রামক হতে পারে। এটি কোনো অঞ্চলে বা কোনো জনগোষ্ঠীতে হঠাৎ বাড়তে পারে, সেটা আবার সাধারণ সর্দি-কাশির মতো। তবে সেটা প্রাণঘাতী হবে না।

তিনি বলেন, এখন আমাদের করণীয় হলো নজরদারি করা। কোনো একটা অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীতে যখন সংক্রমণ বাড়বে, তখন  সমীক্ষা করে জানতে হবে ভাইরাসের ধরনের সঙ্গে তীব্রতার সম্পর্ক রয়েছে কি না। একই সঙ্গে সংক্রমণের হার ও তীব্রতা দুটির দিকে নজর রাখতে হবে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে ৬৮ কোটি ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯১ জনের দেহে। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৭২৮ জন। সুস্থ হয়েছে ৬৫ কোটি ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৪৪ জন।

যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট খোন্দকার মেহেদী আকরাম কালের কণ্ঠকে বলেন, বৈশ্বিক কভিড পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বছরের শুরুতে চীনে ওমিক্রনের অনিয়ন্ত্রিত আউটব্রেক দেখা দিলেও বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে। প্রাকৃতিক নিয়মে এখনো করোনাভাইরাসের নতুন নতুন মিউটেশন হচ্ছে, তবে কোনো মিউটেশনই এখনো কভিডের নতুন ঢেউ তৈরিতে হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়নি।

খোন্দকার মেহেদী আকরাম বলেন, যুক্তরাজ্যে এখনো প্রতিদিন কভিডে লোক মারা যাচ্ছে, তবে সংখ্যায় তা খুব কম। যারা মারা যাচ্ছে, তারা হয় অন্য রোগে আক্রান্ত, না হয় বয়োবৃদ্ধ। হাসপাতালগুলো ছাড়া পাবলিক প্লেস বা কর্মক্ষেত্রে কভিড রুলগুলো সব উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। তবে কেউ কভিডে আক্রান্ত হলে তাকে পাঁচ দিন অন্যদের থেকে আইসোলেটেড থাকতে বলা হচ্ছে এবং ১০ দিন ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের সংস্পর্শে না যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত গ্রেপ্তার
আবুল বারকাত

অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা থাকায় ধানমণ্ডির ৩ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে দুদকে সোপর্দ করা হবে।

আবুল বারকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি  বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবৈতনিক প্রধান উপদেষ্টা।

টানা দুইবার তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ছিলেন। তাঁর জন্ম কুষ্টিয়া শহরে। বাবা আবুল কাশেম ছিলেন স্বনামধন্য চিকিত্সক।

অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন আদালত।

দুদকের মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দিপু, আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, নিতাই চন্দ্র নাথ এবং অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনূস বাদল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিউর রহমান, আবুল বারকাত এবং তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তবে ২০২২ সালে ঋণ অনিয়ম নিয়ে দুদকের তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তখন মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয় আবুল বারকাতকে। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি পাঁচ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

 

মন্তব্য

বাঁশ শিল্পের প্রদর্শনী

শেয়ার
বাঁশ শিল্পের প্রদর্শনী
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে বাঁশ শিল্পের প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে পছন্দের জিনিস দেখছেন দর্শনার্থীরা। গতকাল তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

যানজট

শেয়ার
যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৩৪ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড হয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুর পর্যন্ত এই যানজট শুরু হয় গত বুধবার রাতে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত যানজট অব্যাহত ছিল। ছবি : ফোকাস বাংলা
মন্তব্য

চট্টগ্রামে নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা স্বামী পলাতক

    দেশজুড়ে অপঘাতে মৃত্যু ৮
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
চট্টগ্রামে নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা স্বামী পলাতক

চট্টগ্রামে এক নারীকে ১১ টুকরো করে স্বামী পালিয়ে গেছে। এছাড়া দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অপঘাতে ৮ ব্যক্তি মারা গেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন:

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এক বাসায় ফাতেমা বেগম (৩২) নামের এক নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী মো. সুমনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

পুলিশ ধারণা করছে, স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেছেন স্বামী। বুধবার রাত ১টার দিকে আর কে টাওয়ার নামের একটি ভবনের দশম তলায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমার স্বামী মো. সুমন পেশায় গাড়িচালক।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মোহাম্মদ মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ১০ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়েছিল।

তাঁদের আট বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। ঘটনার সময়ে শিশুটি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার রাতে তাঁকে খুন করা হয়েছে।
তাঁর পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত করার পর কেটে ১১ টুকরা করা হয়। তিনি আরো বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারের পর হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফাতেমাকে খুনে ছুরি ও চাপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছে। হাড় থেকে মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। ১১টি টুকরা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে খুনি।

রাউজান : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় এবার তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবদলকর্মী দিদারুল আলম নুংকুর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার পশ্চিম বেতবুনিয়ার লুঙ্গিপাড়া এলাকার পাহাড়ি চরা থেকে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টার পর তার এ মরদেহ উদ্ধার হয়। নুংকুর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সমশের পাড়ায়। তিনি মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

যশোর : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ঘোষনগর গ্রামে স্টিলের বাক্সের ভেতর থেকে সুচিত্রা দেবনাথ (৫৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে নিজ ঘরের কাপড়ের বাক্সে লুকিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তপন দেবনাথকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ৯ জুলাই রাত ১১টার দিকে। নিহত সুচিত্রা দেবনাথ বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তপন দেবনাথকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা থেকে ঢেনা মুর্মু (৫৫) নামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির পানিতে ভাসমান প্রায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নাচোল সদর ইউনিয়নের পীরপুর সাহানাপাড়া গ্রামের বুদ্ধাই মুর্মুর ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ঢেনা মুর্মু গত সোমবার (৭ জুলাই)   সকাল ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের  ঝিকরা গ্রামে তাঁর নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে বুধবার (৯জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিকড়া গ্রামসংলগ্ন একটি বিলের কচুরিপানার মধ্যে ঢেনার ভাসমান মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় মাদকাসক্ত  ছেলে  মাহাবুর ইসলাম বাবু (২৮) মারধর ও ইট দিয়ে আঘাত করে মা হেনা বেগমকে আহত করে। স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে বাবা শিশ মোহাম্মদকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার পর স্বজন ও প্রতিবেশীদের প্রহারে বাবু নিহত হন। নিহত বাবুর বাড়ি রানীহাটী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরহাট বগিপাড়া গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে, বাবু মাদক সেবনের টাকার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল।

পীরগঞ্জ : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আখিরা নদী থেকে আক্তার প্রধান সুজন (৩৬) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আখিরা নদীতে ভাসমান অবস্থায় কাপড়বিহীন লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত আক্তার প্রধান সুজন উপজেলার থানাপাড়া  গ্রামের বাসিন্দা।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামের বসতঘর থেকে এক তরুণের গলা কাটা ও ক্ষতক্ষিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় লাশটি ছিল খাটের ওপর মশারির নিচে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে রাতে বন্ধুদের নিয়ে ওই তরুণ মা-বাবাহীন ঘরে আড্ডায় মত্ত ছিল।  নিহত মো. রাকিবুল ইসলাম (১৯) ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাটুলিয়া গ্রাম থেকে জুবায়ের (১৯, রাকিব মিয়া (২১) ও কাউসার (১৮) নামে তিন তরম্নণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।

কালিয়াকৈর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শালবনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বড় গোবিন্দপুর বিন্নার চালা ফুটবল খেলার মাঠের পাশে শাল বনের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক (৪০)। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও খয়েরি রঙের টি শার্ট ছিল।

টঙ্গী : ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীতে নামার সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত মাহফুজুর রহমান (২১) বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। বুধবার (৯ জুলাই)  রাত ১২ টার পর  ঢাকা-ময়মনসিংহগামী মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীর সেনা কল্যাণ ভবনগামী সংযোগ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহফুজুর রহমান বরিশাল সদর উপজেলার হায়াতসার গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ব্লু ফ্যাশনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ