<p>নতুন করে আরো তিনটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) পাচ্ছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বেপজা। এরই মধ্যে রংপুর, যশোর ও পটুয়াখালীতেও ইপিজেড স্থাপনের জন্য সরকারি অনুমোদন পেয়েছে। মূলত আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোকেই ইপিজেড স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলে বেপজা সূত্র জানায়। সীমান্ত জেলা নীলফামারীতে স্থাপিত উত্তরা ইপিজেড সে অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ করে নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যে পরিবর্তন এনেছে সেই সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই এসব এলাকাকে ইপিজেড স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।</p> <p>দেশে বর্তমানে বেপজা নিয়ন্ত্রিত আটটি ইপিজেড চালু আছে। এগুলো হলো চট্টগ্রামের সিইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, ঢাকা ইপিজেড, আদমজী ইপিজেড, কুমিল্লা ইপিজেড, ঈশ্বরদী ইপিজেড, মোংলা ইপিজেড ও উত্তরা ইপিজেড। এ ছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ বাস্তবায়নাধীন। চালু থাকা আটটি ইপিজেড থেকেই দেশের মোট জাতীয় রপ্তানির প্রায় ১৯ শতাংশ আসে। এই ইপিজেডগুলোতে এরই মধ্যে কর্মসংস্থান হয়েছে চার লাখ ৬৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশির।</p> <p>নতুন তিনটি ইপিজেড স্থাপনের অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বেপজার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে রংপুরে সরকারি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যশোর ও পটুয়াখালীতে বিনিয়োগ উপযোগী জমি খোঁজা হচ্ছে।’</p> <p>এর আগে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘নারী প্রজেক্ট’-এর আওতায় মঙ্গাপীড়িত এলাকার নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ঈশ্বরদী ইপিজেডে প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করা হয়েছিল। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আপাতত বন্ধ থাকলেও এই প্রকল্পে মূলত উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুর ও লালমনিরহাট এলাকার নারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে বেপজা আওতাধীন ইপিজেডগুলোতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।</p>