ক্যাডেট কলেজে ভর্তি প্রস্তুতি ২০২৪

  • সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি প্রস্তুতি ২০২৪

সিলেবাস ও মানবণ্টন

২০২৪ সালে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। ক্যাডেট কলেজগুলোতে ভর্তি নেওয়া হয় মূলত সপ্তম শ্রেণিতে। ফলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ষষ্ঠ শ্রেণির বই থেকেই আসে। অক্টোবরের শেষ দিকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে।

অতঃপর নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার বিষয় : ক্যাডেট কলেজের ভর্তিতে গণিতে ১০০, ইংরেজিতে ১০০, বাংলায় ৬০ ও সাধারণ জ্ঞানে ৪০ নম্বরের প্রশ্ন হয়ে থাকে। সুতরাং ভর্তি পরীক্ষা হবে মোট ৩০০ নম্বরের। সময় থাকবে তিন ঘণ্টা।

তিন ঘণ্টার মধ্যে চারটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।

বিষয়ভিত্তিক মানবণ্টন :

https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2023/10.October/17-10-2023/2/kalerkantho-ed-5a.jpg

পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস ও মানবণ্টন :

English: Marks-100

Grammar:

1. Parts of Speech. 2. Synonyms & Antonyms. 3. Formation of Words. 4. Articles. 5. Number.  6. Gender. 7. Sentences. 8. Tense. 9. Right forms of Verbs. 10. Spellings. 11. Change of Sentences (Assertive, Interrogative, Imperative, Exclamatory, Affirmative & Negative). 12. Matching (Words with their Meaning). 13. Rearrangement of Jumbled Words to make Sentences. 14. Punctuation Marks & Capital Letters. 15. Verbs (Finite, Non-finite and Modal). 16. Formal  and Informal Expressions.

Guided Writing:

1. Paragraph Writing. 2. Dialogue Writing. 3. Picture Description. 4. Letter/Application. 5. Comprehension of Seen/Unseen Text. 6. Story Writing from given Outline. 7. Argumentative Writing.

 

গণিত : পূর্ণমান-১০০

১. সংখ্যাতত্ত্ব। ২. দ্বিমাত্রিক বস্তু। ৩. তথ্য অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ।

৪. মৌলিক উৎপাদক। ৫. দৈর্ঘ্য নির্ণয়। ৬. পূর্ণ সংখ্যার জগৎ। ৭. ভগ্নাংশের ব্যবহার। ৮. অজানা রাশির জগৎ।
৯. সরল সমীকরণ। ১০. ত্রিমাত্রিক বস্তু। ১১. ঐকিক নিয়ম, শতকরা এবং অনুপাত। ১২. সূত্র খুঁজি সূত্র বুঝি। ১৩. বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক অঙ্ক।

বাংলা : পূর্ণমান-৬০

ক. সাহিত্য অংশ :

১. কবিতা, গান, গল্প, প্রবন্ধ, নাটক ও সাহিত্যের নানা রূপ-বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য নিরূপণ।

খ. ব্যাকরণ অংশ :

১. ভাষা ও বাংলা ভাষা, প্রমিত ভাষা, স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি, উচ্চারণ, বানান।

২. ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি/শব্দের শ্রেণি।

৩. বচন।

৪. লিঙ্গ।

৫. যতিচিহ্ন।

৬. প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ।

৭. বাক্য প্রকরণ।

গ. নির্মিতি অংশ :

১. অনুচ্ছেদ/প্রবন্ধ/গল্প/সংলাপ/রোজনামচা (দিনলিপি) লিখন : প্রায়োগিক লেখা, বিবরণমূলক লেখা, তথ্যমূলক লেখা, বিশ্লেষণমূলক লেখা, কল্পনানির্ভর লেখা।

২. ভাব-সম্প্রসারণ। ৩. সারাংশ/সারমর্ম। ৪. পত্রলিখন/দরখাস্ত লিখন।

বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা : পূর্ণমান-৪০

১. বিজ্ঞান। ২. ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান। ৩. ডিজিটাল প্রযুক্তি। ৪. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস। ৫. বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও ক্যাডেট কলেজ। ৬. বাংলাদেশ ও বিশ্বের ভৌগোলিক বিষয়াবলি। ৭. বাংলাদেশ ও বিশ্বের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি। ৮. খেলাধুলা। ৯. বুদ্ধিমত্তা (আইকিউ)।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

    সৈয়দা জুয়েলী আকতার, সহকারী শিক্ষক, বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বেতাগী, বরগুনা
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

দ্বাদশ অধ্যায়

মহাকাশ ও উপগ্রহ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। মহাবিশ্ব বলতে কী বোঝায়?

  উত্তর : নক্ষত্র, গ্রহ, গ্যালাক্সি, ধূলিকণা ও গ্যাস দিয়ে গঠিত অসীম বিস্তৃত স্থানকে মহাবিশ্ব বলে।

  মহাবিশ্ব হলো সময়, স্থান, শক্তি ও পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশাল বিস্তৃতি। মহাবিশ্বের কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই এবং এটি ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।

২। মহাবিশ্বে নক্ষত্র, ধূলিকণা ও গ্যাস কিভাবে ছড়িয়ে আছে?

  উত্তর : মহাবিশ্বে নক্ষত্র, ধূলিকণা ও গ্যাস গুচ্ছ বা দল আকারে ছড়িয়ে আছে, যাকে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা বলে। একটি গ্যালাক্সিতে প্রায় শতকোটি বা তারও বেশি নক্ষত্র, ধূলিকণা ও গ্যাস থাকে। আমাদের সৌরজগৎ একটি গ্যালাক্সির অংশ, যার নাম মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি।

এসব উপাদান গ্যালাক্সির কেন্দ্রে ঘূর্ণায়মান থাকে।

৩। আলোর গতি সম্পর্কে লেখো।

  উত্তর : প্রতি সেকেন্ডে আলো যে পরিমাণ পথ অতিক্রম করে, সেটিই আলোর গতি।

শূন্য মাধ্যমে আলোর গতি প্রায় তিন লাখ কিলোমিটার/সেকেন্ড। এটি প্রকৃতির সর্বোচ্চ গতি হিসেবে ধরা হয়। আলোর এই গতি ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দূরবর্তী নক্ষত্র বা গ্যালাক্সির দূরত্ব মাপেন, যাকে আলোক বর্ষ (Light Year) বলা হয়।

৪। গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ কী? উদাহরণসহ লেখো।

  উত্তর : গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ হলো অগণিত নক্ষত্র, ধূলিকণা, গ্যাস ও মহাজাগতিক বস্তুগুলোর একটি বিশাল গুচ্ছ যা মহাকর্ষ বলের কারণে একত্রে থাকে। ছায়াপথ ও গ্যালাক্সি মূলত একই জিনিস; বাংলায় একে ছায়াপথ এবং ইংরেজিতে Galaxy বলা হয়।

  উদাহরণ : আমাদের সৌরজগৎ যে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত, তার নাম মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি (Milky Way)

  আরেকটি পরিচিত গ্যালাক্সির নাম অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি।

৫। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

    উত্তর : মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি হলো একটি সর্পিল (Spiral) আকৃতির গ্যালাক্সি, যেখানে আমাদের সৌরজগৎ অবস্থিত। এই গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রয়েছে একটি ঘন নক্ষত্র গুচ্ছ এবং কেন্দ্র থেকে নক্ষত্রগুলো বাইরের দিকে সর্পিল রূপে ছড়িয়ে আছে। আকাশে এটি একফালি দুধের রেখার মতো দেখায় বলে একে মিল্কিওয়ে (Milky Way) বা আকাশগঙ্গা বলা হয়।

 

 

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন সাভার জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে তিনটি ডিপ্লোমা কোর্স প্রশিক্ষণে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোর্স তিনটি হলো ডিপ্লোমা ইন আইসিটি, ডিপ্লোমা ইন ওয়েব অ্যাপলিকেশন অ্যান্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিপ্লোমা ইন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট। কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস।

 

যোগ্যতা

ন্যূনতম এইচএসসি পাস।

প্রশিক্ষণার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। বয়স ৬-৮-২০২৫ তারিখে থেকে নির্ধারণ করা হবে। প্রথম দুটি কোর্সে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার অফিস অ্যাপলিকেশন (৩৬০ ঘণ্টা) থাকতে হবে। সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত তিন মাসমেয়াদি বেসিক কম্পিউটারবিষয়ক কোর্স সম্পন্নকারীরাও আবেদন করতে পারবেন।

 

সুবিধা

কোর্সগুলো আবাসিক। প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ, আবাসন ও খাবারের খরচ সরকার বহন করবে।

 

আবেদন

আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। আবেদনের সময় পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এনআইডির কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বেসিক কম্পিউটার কোর্সের সনদের স্ক্যান কপি যুক্ত করতে হবে।

৬ আগস্ট বিকেল ৪টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ১২ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ১৮ আগস্ট। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ হবে ২১ আগস্ট। ভর্তি শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ২৬ আগস্ট।

 

যোগাযোগ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রশিক্ষণ শাখা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সাভার, ঢাকা।

ওয়েবসাইট : www.niyd.gov.bd

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
রাস্তা পারাপারের সময় সবার জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করা উচিত। ছবি : সংগৃহীত

নবম অধ্যায়

আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        তুমি দেশসেবার জন্য তোমাকে প্রস্তুত করতে চাও। সে ক্ষেত্রে তুমি নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবে?

  ক. অর্থ উপার্জন করে

  খ. অন্যকে সাহায্য করে

  গ. পিতা-মাতাকে কাজে সাহায্য করে

  ঘ. বিদ্যালয়ে ভালোভাবে লেখাপড়া করে

  উত্তর : ঘ. বিদ্যালয়ে ভালোভাবে লেখাপড়া করে।

২।

প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স কেন বাড়িতে রাখা উচিত?

  ক. বাড়িতে সাময়িক চিকিৎসা পেতে

  খ. বাড়িতে পরিপূর্ণ চিকিৎসা পেতে

  গ. অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করতে

  ঘ. হাসপাতালে নেওয়ার উপযোগী করতে

  উত্তর : ক. বাড়িতে সাময়িক চিকিৎসা পেতে।

৩। দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি আহত হয়ে প্রচুর রক্তপাত হলে করণীয় কী?

  ক. প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া
খ. হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া

  গ. মাথায় পানি দেওয়া   
ঘ. আহত ব্যক্তির ঠিকানা জানা

  উত্তর : ক. প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া।

৪।

সমাজের প্রতি দায়িত্বে অবহেলা নিচের কোনটি থেকে বোঝা যায়?

  ক. নিয়ম অমান্য করা
খ. সম্পদ নষ্ট করা

  গ. অসহযোগিতা করা
ঘ. অন্যের ক্ষতি করা

  উত্তর : ক. নিয়ম অমান্য করা।

৫। কোনটি সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্বে অবহেলা?

  ক. নিয়ম মানা    
খ. সম্পদ সংরক্ষণ

  গ. সহযোগিতা করা
ঘ. অন্যের ক্ষতি করা

  উত্তর : ঘ. অন্যের ক্ষতি করা।

৬।

রাস্তায় চলার সময় আমাদের কী করা উচিত নয়?

  ক. জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার

  খ. ওভারব্রিজ ব্যবহার

  গ. ফুটপাত ব্যবহার
ঘ. রাস্তার মাঝ দিয়ে হাঁটা

  উত্তর : ঘ. রাস্তার মাঝ দিয়ে হাঁটা।

৭। নিচের কোন কাজটি করা তোমার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?

  ক. আচার খাওয়া

  খ. অপরিচিত লোকের কাছ থেকে কিছু খাওয়া

  গ. শ্রেণিকক্ষে বসে টিফিন খাওয়া

  ঘ. খাবারের দোকানে বসে কিছু খাওয়া

  উত্তর : খ. অপরিচিত লোকের কাছ থেকে কিছু খাওয়া।

৮। আমাদের দেশে সর্বনিম্ন কত বছর বয়সের নাগরিক ভোট দিতে পারে?

  ক. ১৮      খ. ২০      গ. ২২      ঘ. ২৪

  উত্তর : ক. ১৮।

৯। রাজনৈতিক অধিকার কোনটি?

  ক. শিক্ষার অধিকার খ. সম্পদের অধিকার

  গ. ভোটের অধিকার  ঘ. উপরের সবগুলো

  উত্তর : গ. ভোটের অধিকার।

১০।       নাগরিকদের ওপর কী আরোপ করে রাষ্ট্র অর্থ সংগ্রহ করে?

  ক. শক্তি খ. আইন
গ. শান্তি ঘ. কর

  উত্তর : ঘ. কর।

১১।       সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস কী?

  ক. বৈদেশিক ঋণ    খ. কর

  গ. ব্যাংক লোন     ঘ. জনগণের চাঁদা

  উত্তর : খ. কর।

১২।       দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কী আছে?

  ক. পুলিশ বাহিনী    খ. সেনাবাহিনী

  গ. নিয়ম-কানুন     ঘ. আইন-কানুন

  উত্তর : ঘ. আইন-কানুন।

১৩।       কোনটি সমাজের সম্পদ?

  ক. পাহাড়    খ. সমুদ্র
গ. বায়ু   ঘ. পার্ক

  উত্তর : ঘ. পার্ক।

১৪।       কোনটি সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্বে অবহেলা?

  ক. নিয়ম মানা     খ. সম্পদ সংরক্ষণ
গ. নিয়ম ভাঙা     ঘ. সম্পদ সংগ্রহ

  উত্তর : গ. নিয়ম ভাঙা।

১৫।       নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য নয় কোনটি?

  ক. ভোট দান 
খ. নিয়মিত কর প্রদান

  গ. রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা

  ঘ. গোপনে অন্য রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা

  উত্তর : ঘ. গোপনে অন্য রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা।

১৬।       কোনটিকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব?

  ক. পরিবারকে খ. সমাজকে
গ. রাষ্ট্রকে    ঘ. সরকারকে

  উত্তর : খ. সমাজকে।

১৭।       রাস্তায় কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে?

  ক. ট্রাফিক আইন মেনে চললে

  খ. রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌড় দিলে

  গ. জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করলে

  ঘ. ওভারব্রিজ ব্যবহার করলে

    উত্তর : খ. রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌড় দিলে।

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা প্রথম পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা প্রথম পত্র
অঙ্কন : শেখ মানিক

গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

 

১। অর্থায়ন কী?  

  উত্তর : ‘Finance’ শব্দটি দ্বারা আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহ করার বিষয়টিকে বুঝিয়ে থাকি। অর্থাৎ ব্যবসায়ের অপরিহার্য উপাদান মূলধন সংগ্রহের ব্যাপারটিকেই অর্থায়ন বলা হয়ে থাকে। অর্থায়ন = অর্থ + আনয়ন।

অর্থাৎ অর্থ সংগ্রহ করার কাজই অর্থায়ন। অর্থায়নের ক্রমবিকাশের সূচনা স্তরে বিষয়টি অনেকটা এমনই ছিল, কিন্তু ব্যবসায়ের প্রকৃতি ও পরিধি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থায়নের ব্যাপকতাও বহুগুণে বেড়ে গেছে। বর্তমানে অর্থায়ন বলতে শুধু অর্থ সংগ্রহ করার কাজকেই বোঝায় না। ব্যবসায় ক্ষেত্রে বিনিয়োগ পরিকল্পনা গ্রহণ, মূলধন সংগ্রহ, বিনিয়োগ, মুনাফা সংরক্ষণ ও বিতরণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজই অর্থায়নের অন্তর্ভুক্ত।

২। অর্থায়ন ও ব্যবসায়ের মধ্যে সম্পর্ক কী?

  উত্তর : মুনাফাভোগী ও অমুনাফাভোগী সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্যই অর্থের প্রয়োজন। মুনাফাভোগী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে যেমন প্রারম্ভিক মূলধন (Initial Capital) এর প্রয়োজন হয়, তেমনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সম্প্রসারণের জন্যও অর্থের প্রয়োজন হয়। আর এই অর্থের নিয়মিতযথার্থ প্রবাহ নিশ্চিত করাই ফিন্যান্সের অন্যতম কাজ।

তাই অর্থায়ন ও ব্যবসায় একে অন্যের পরিপূরক। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটির কথা চিন্তা করা যায় না।

৩। ব্যবসায় অর্থায়ন বলতে কী বোঝ?

  উত্তর : সাধারণভাবে ব্যবসায় অর্থায়ন দ্বারা ব্যবসায়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করাকে বোঝায়। কিন্তু বিস্তৃত অর্থে ব্যবসায় সৃষ্টি, পরিচালন এবং অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা এবং সৃষ্টি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে সংগৃহীত অর্থের প্রয়োগকে ব্যবসায় অর্থায়ন বলে।

৪। করপারেট অর্থায়ন কী?

  উত্তর : করপোরেশন বা আইনসৃষ্ট প্রতিষ্ঠানে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম শুরু, তা চলমান রাখা এবং সম্প্রসারণের জন্য পেশাদার ব্যবস্থাপকদের কর্তৃক গৃহীত আর্থিক পরিকল্পনা, বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত, অর্থ সংগ্রহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, চলতি মূলধনের কাম্য স্তর বজায় রাখা, মুনাফা সংরক্ষণ ও বণ্টন সিদ্ধান্ত এবং এসবের মধ্যে সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত কার্যক্রমকেই করপোরেট অর্থায়ন বা ব্যবস্থাপকীয় অর্থায়ন বলা হয়।

৫। মৌলিক ব্যবসায় অর্থায়ন সিদ্ধান্তগুলো কী কী?

  উত্তর : কিছু সার্বিক লক্ষ্যকে মাথায় রেখে আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পদ সংগ্রহ, সম্পদের জন্য অর্থায়ন এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত। তাই আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে মোটা দাগে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায় বিনিয়োগ, অর্থসংস্থান এবং লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত।

৬। সরকারি অর্থায়ন কী?

  উত্তর : সরকার নিয়ন্ত্রিত কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যে অর্থায়ন করা হয়, তাকেই সরকারি অর্থায়ন বলা হয়। সরকারি অর্থায়নের উৎস এবং প্রকৃতি অন্যান্য অর্থসংস্থানের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

৭। বেসরকারি অর্থায়ন কী?

  উত্তর : বেসরকারি পর্যায়ে যে অর্থায়ন করা হয়, তাকেই বেসরকারি অর্থায়ন বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ সংগ্রহের কাজকেই বেসরকারি অর্থায়ন বলা হয়।

৮। ব্যক্তিগত অর্থায়ন কী?

  উত্তর : ব্যক্তি তার তহবিলের অভাব পূরণের জন্য যে অর্থায়ন করে থাকে, তাকে ব্যক্তিগত অর্থায়ন বলা হয়। দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো এবং বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য পূরণের জন্য অর্থায়নের প্রয়োজন হতে পারে।

৯। অমুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন বলতে কী বোঝ?

  উত্তর : সেবামূলক বা দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং সমাজ সংস্কারে নিয়োজিত অমুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠানেরও অর্থায়নের প্রয়োজন হয়। সদস্যদের স্বেচ্ছামূলক দান, বিত্তবানদের এককালীন অনুদান এবং ক্ষেত্রবিশেষে সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে অর্থের সংস্থান করা হয়ে থাকে।

১০।       অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন কী?

  উত্তর : প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃক অথবা মুনাফার অবণ্টিত (সংরক্ষিত) অংশ থেকে যে অর্থায়ন করা হয়, সেটাই অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন হিসেবে পরিচিত। সাধারণত ব্যবসায় স্থাপনের সময় এই উেসর ব্যবহার হয়ে থাকে।

১১।       বাহ্যিক অর্থায়ন কী?

  উত্তর : প্রতিষ্ঠানের বাইরের কোনো ব্যক্তি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হলে তাকে বাহ্যিক অর্থায়ন বলা হয়।

১২।       তহবিল বণ্টন বা লভ্যাংশ সিদ্ধান্ত কী?

    উত্তর : অর্জিত মুনাফার কত অংশ বা কী পরিমাণ শেয়ার মালিকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে এবং কত অংশ বা কী পরিমাণ ভবিষ্যতে পুনরায় বিনিয়োগের জন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করা হবে, সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকেই তহবিল বণ্টন বা লভ্যাংশ সিদ্ধান্ত বলা হয়।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ