<p><span style="color:#B22222"><strong>প্রথম অধ্যায়</strong></span></p> <p><span style="color:#008080"><span style="font-size:18px"><strong>বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও পরিমাপ</strong></span></span></p> <p><strong>[পূর্ব প্রকাশের পর]</strong></p> <p>৬।        পরিমাপের একক ব্যাখ্যা করো।</p> <p>            উত্তর : কোনো কিছু পরিমাপ করার জন্য একটি সুবিধাজনক পরিমাণকে আদর্শ হিসেবে ধরে নিতে হয়। কোনো একটি ন্যূনতম ক্ষুদ্র অংশকে এই আদর্শ হিসাবে ধরা হয়। এই জানা আদর্শ অংশের পরিমাণই পরিমাপের একক। দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে একটি সুবিধাজনক দৈর্ঘ্য, ভর পরিমাপের ক্ষেত্রে একটি সুবিধাজনক ভর এবং সময় পরিমাপের জন্য একটি সুবিধাজনক নির্দিষ্ট সময়কে আদর্শ হিসাবে ধরা হয়। সুতরাং যে নির্দিষ্ট পরিমাণের সাথে তুলনা করে কোনো ভৌত রাশির পরিমাপ করা হয় তাই পরিমাপের একক।</p> <p> </p> <p>৭।        দৈর্ঘ্যের একক কিভাবে নির্ধারিত হয়েছে?</p> <p>            উত্তর : দৈর্ঘ্যের এসআই একক মিটার। দৈর্ঘ্যের একক মিটার নির্ধারণে প্লাটিনাম-ইরিডিয়াম নামের মিশ্রিত ধাতুর তৈরি একটি দণ্ডের দুই প্রান্তে দুটি দাগ নির্দিষ্ট করা হয়। শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ দুটি দাগের মধ্যকার দূরত্বকে এক মিটার হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।</p> <p> </p> <p>৮।       একই রাশি পরিমাপে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন একক ব্যবহারের অসুবিধা সৃষ্টি হয় কেন?</p> <p>            উত্তর : দৈনন্দিন কাজকর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে পরিমাপ প্রয়োজন। এ জন্য বিভিন্ন রাশির নানা রকম একক প্রচলিত আছে। যেমন—দৈর্ঘ্যের জন্য গজ, ফুট, ইঞ্চি, মিটার ইত্যাদি এবং ভর পরিমাপের জন্য মণ, সের, কেজি, কুইন্টাল প্রভৃতি একক ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন দেশে এসব রাশির পৃথক একক চালু থাকলে বৈজ্ঞানিক তথ্যের আদান-প্রদান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সমস্যা হয়। আমদানি ও রপ্তানির মালামালের মূল্য নির্ধারণে সমস্যায় পড়তে হয়। এ জন্য বিভিন্ন দেশে ভিন্ন একক ব্যবহারে অসুবিধা সৃষ্টি হয়।</p> <p> </p> <p>৯।        বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।</p> <p>            উত্তর : কোনো সমস্যা বৈজ্ঞানিক উপায়ে সমাধানের জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করে কাজ করাকে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া বলে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে প্রশ্ন বা সমস্যা নির্বাচন করে সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা, পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ করে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। সব শেষে প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ফল প্রকাশ করা হয়।</p> <p> </p> <p>১০।      এককের গুণিতক বা ভগ্নাংশের প্রয়োজন হয় কেন?</p> <p>            উত্তর : বৃহত্তর কোনো কিছু পরিমাপ করার জন্য এককের গুণিতক প্রয়োজন হয়। যেমন—ঢাকা থেকে সিলেটের দূরত্ব মাপার ক্ষেত্রে আমরা কিলোমিটার একক ব্যবহার করি। এ ক্ষেত্রে ভগ্নাংশ একক ব্যবহার করলে হিসাব বড় মনে হয়। কিন্তু ক্ষুদ্রতর কোনো কিছু পরিমাপ করার জন্য এককের ভগ্নাংশ ব্যবহার করা হয়। যেমন—পেনসিলের দৈর্ঘ্য বা পয়সার পুরুত্ব মাপতে এককের গুণিতক সেন্টিমিটার বা মিলিমিটার ব্যবহার করা হয়।</p>