সম্রাট অশোক

  • ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে সম্রাট অশোকের উল্লেখ আছে]
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
সম্রাট অশোক

অশোক ছিলেন (শাসনামল ২৬৯-২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে) প্রথম কোনো পূর্বভারতীয় শাসক, যিনি উপমহাদেশের অনেকখানি জুড়ে তাঁর রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর সময়ে পুণ্ড্রবর্ধন (এখনকার বাংলাদেশের বগুড়া) মৌর্য সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ বা প্রশাসনিক বিভাগ ছিল। সম্ভবত বিন্দুসার অথবা তাঁর পুত্র ও উত্তরাধিকারী অশোক এ অঞ্চলকে মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। ২৭৩-২৭২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিন্দুসারের মৃত্যুর পর রাজ্যের উত্তরাধিকার নিয়ে তাঁর পুত্রদের মধ্যে চার বছর যুদ্ধের পর ২৬৯-৬৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন অশোক এবং ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেন।

পাটলীপুত্র (বর্তমান পাটনা বা এর কাছাকাছি কোনো স্থান) থেকে নিজের বিশাল সাম্রাজ্য শাসন করতেন সম্রাট অশোক।

নিজের শাসনের প্রথম পর্বে অশোক উপমহাদেশের প্রায় বেশির ভাগ অংশে তাঁর রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটান; কিন্তু রক্তক্ষয়ী কলিঙ্গ যুদ্ধের পর অশোকের রাজনৈতিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন আসে। অশোকের প্রস্তর ও স্তম্ভলিপির মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে—কী করে কলিঙ্গ যুদ্ধের রক্তবন্যা তাঁকে একজন নীতিবান ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। ওই সময় থেকেই তিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে বিশ্বশান্তি ও ন্যায়নিষ্ঠ শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।

প্রাচীন সাহিত্যে অশোককে মৌর্য রাজবংশের একজন নগণ্য শাসক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ১৮৩৭ সালে অশোকের বেশ কয়েকটি প্রস্তরলিপির পাঠোদ্ধার করে ইংরেজ পণ্ডিত, প্রাচ্যবিদ, পুরাতাত্ত্বিক ও বিশিষ্ট ভারতত্ত্ববিদ জেমস প্রিন্সেপ এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে পুরাণ সাহিত্যে বর্ণিত সম্রাট অশোককে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বড় মাপের সম্রাট ছিলেন তিনি। প্রিন্সেপই প্রথম প্রকাশ করেন, অশোক নিজে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং বৌদ্ধধর্ম প্রচারও করতেন। তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করার পর দেবনামপিয় পিয়দসি (পিয়দসি অর্থাৎ দেবতাদের প্রিয়জন) শীর্ষক ধর্ম-রাজকীয় উপাধি গ্রহণ করেন এবং জীবনের বাকি সময় নিজেকে শান্তি ও মানবজাতির কল্যাণের কাজে নিবেদিত করেন।

রিদওয়ান আক্রাম

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ষষ্ঠ শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    শিকদার মো. শহিদুল ইসলাম, প্রভাষক, ফজিলা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজ, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি), পিরোজপুর
শেয়ার
ষষ্ঠ শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

ষষ্ঠ অধ্যায় : বাংলাদেশের পরিবেশ

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

১৪।       আদিমকালে মানুষ হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে কী করত?

  ক. দলবদ্ধভাবে বসবাস করত

  খ. গুহায় আশ্রয় নিত

  গ. আগুন ব্যবহার করত

  ঘ. বন্য পশুকে হত্যা করত

১৫।       মানুষ প্রকৃতিকে জয় করার চেষ্টা করার ফলে কী কী সৃষ্টি হয়েছে?

  i. বড় বড় কলকারখানা

  ii. শহর ও যানবাহন

  iii. শব্দদূষণ

  ক. iii খ. iiii

  গ. iiiii   ঘ. i, iiiii

১৬।       আদিম মানুষ চাষবাসের জন্য প্রাথমিকভাবে কী তৈরি করত?

  ক. লোহার লাঙল

  খ. পাথর ও হাড়ের যন্ত্রপাতি

  গ. যন্ত্রচালিত ট্রাক্টর

  ঘ. সার ও কীটনাশক

১৭।

      পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ায় বাতাসে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে?

  ক. অক্সিজেন 
খ. নাইট্রোজেন

  গ. হাইড্রোজেন ঘ. মিথেন

১৮।       পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যক্তিগত করণীয় কী?

  ক. কলকারখানা স্থাপন

  খ. অযথা গাছ না কাটা

  গ. কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ব্যবহার

  ঘ. নদী ভরাট করা

১৯।       পরিবেশদূষণ প্রতিরোধের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?

  i. যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলা

  ii. পুরাতন গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ

  iii. লোকালয়ের কাছাকাছি শিল্প-কারখানা না গড়া

  ক. iii খ. iiii

  গ. iiiii   ঘ. i, iiiii

২০।       সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবী কিসের মাধ্যমে রক্ষা পায়?

  ক. ওজোন স্তর খ. চৌম্বক ক্ষেত্র

  গ. বায়ুমণ্ডল   ঘ. জলের স্তর

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২১ ও ২২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  সাকিব তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় প্লাস্টিকের বোতল যেখানে সেখানে ফেলে দেয়।

তার বাবা তাকে প্লাস্টিকের সঠিক ব্যবহার এবং পরিবেশদূষণ সম্পর্কে সচেতন করেন। বাবা তাকে বোঝান যে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব।

২১।       উদ্দীপকে সাকিবের প্রথম কাজটি পরিবেশের কোন ধরনের সমস্যাকে নির্দেশ করে?

  ক. মাটিদূষণ  খ. বায়ুদূষণ

  গ. পানিদূষণ  ঘ. শব্দদূষণ

২২।

      সাকিবের বাবার দেওয়া উপদেশ থেকে সাকিব কী কী বিষয় সম্পর্কে জানতে পারল?

  i. প্লাস্টিক ব্যবহারের সঠিকতা

  ii. পরিবেশদূষণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত দায়িত্ব

  iii. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব

  ক. iii খ. iiii

  গ. iiiii   ঘ. i, iiiii

 

    উত্তর : ১৪. ঘ ১৫. ঘ ১৬. খ ১৭. খ
১৮. খ ১৯. ঘ  ২০. ক ২১. ক ২২. ঘ।

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীন প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামের চারটি বিষয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এগুলো হলো মাস্টার্স ইন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার উইথ স্পেশালাইজেশন ইন ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্ক (সিএসডাব্লিউ), ভিকটিমোলজি অ্যান্ড রিস্টোরেটিভ জাস্টিস (ভিআরজে),   জেরোন্টোলজি অ্যান্ড জেরিয়াট্রিক ওয়েলফেয়ার (জিজিডব্লিউ) এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস অ্যান্ড লেবার স্টাডিজ (আইআরএলএস)।

 

যোগ্যতা

কলা, সামাজিক বিজ্ঞান বা বিজনেস স্টাডিজের যেকোনো বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) থাকতে হবে। আইন, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, কম্পিউটারবিজ্ঞান, লেদার টেকনোলজি, পুলিশ সায়েন্স, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মেডিসিন, নার্সিং, ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল/ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বা ভূগোল বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারীরাও এসব প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন।

এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের সরকারি, আধাসরকারি বা উন্নয়ন সংস্থায় কমপক্ষে দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ন্যূনতম ২.৫ থাকতে হবে।
কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের সিজিপিএ প্রাপ্তিরা আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

 

মেয়াদ

এক বছর ছয় মাস। কোর্সগুলো তিন সেমিস্টারে ভাগ করা হয়েছে।

আবেদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট কার্যালয় থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে নির্ধারিত আবেদন ফরম।

 

আবেদন ফি

এক হাজার ৫০০ টাকা

আবেদনের শেষ তারিখ ২৮ আগস্ট। লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ৩০ আগস্ট, বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 

যোগাযোগ

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

ঢাকা-১০০০।

 

ওয়েবসাইট
www.du.ac.bd/body/ISW

 

মন্তব্য

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

    বিশ্বজিৎ দাস, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
শেয়ার
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

পঞ্চম অধ্যায় : কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

১৫।        যান্ত্রিক শক্তির নিত্যতার বা সংরক্ষণশীলতার নীতি বিবৃত করো।  

  উত্তর : কোনো ব্যবস্থায় শুধু সংরক্ষণশীল বল ক্রিয়া করলে ব্যবস্থার গতিশক্তি ও বিভব শক্তির সমষ্টি ধ্রুবক থাকে। অর্থাৎ গতিশক্তি + বিভব শক্তি = ধ্রুবক।

১৬।        ক্ষমতা কাকে বলে?

  উত্তর : কোনো ব্যবস্থা বা উৎসর কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে।

১৭।        সংরক্ষণশীল বল কাকে বলে?

  উত্তর : কোনো বলের দ্বারা একটি বস্তুকে পূর্ণ চক্রে পরিভ্রমণ করাতে কৃতকাজের পরিমাণ শূন্য হলে ওই বলকে সংরক্ষণশীল বল বলে।

যেমনঅভিকর্ষ বল।

১৮।        নিচের কোনটি সংরক্ষণশীল আর অসংরক্ষণশীল বল?
তড়িৎ বল, চৌম্বক বল, ঘর্ষণ বল, আদর্শ স্প্রিং বল, সান্দ্র বল, মহাকর্ষ বল।

  উত্তর :

  রাশি                             বল

     তড়িৎ বল                সংরক্ষণশীল বল
চৌম্বক বল              সংরক্ষণশীল বল

     ঘর্ষণ বল                অসংরক্ষণশীল বল
আদর্শ স্প্রিং বল     সংরক্ষণশীল বল
সান্দ্র বল              অসংরক্ষণশীল বল

    মহাকর্ষ বল             সংরক্ষণশীল বল

 

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র
অঙ্কন : মাসুম

গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        বাজার কী?

  উত্তর : কোনো পণ্য বা সেবার বর্তমান ও সম্ভাব্য ক্রেতার সেটকে বাজার বলে।

২।        বাজারজাতকরণ কী?

  উত্তর : প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ ভ্যালু সৃষ্টি ও প্রদানের মাধ্যমে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি বিধান, শক্তিশালী ক্রেতা সম্পর্ক সৃষ্টি ও বজায় রাখার প্রক্রিয়াকে বাজারজাতকরণ বলে।

৩।        প্রয়োজন কী?

  উত্তর : উপযোগ রয়েছে এমন কোনো কিছু থেকে মানুষ নিজেকে বঞ্চিত মনে করলে তাকে প্রয়োজন বলে।

৪।        চাহিদা কী?

  উত্তর : অভাব বা আকাঙ্ক্ষা যখন ক্রয় ক্ষমতার শর্ত পূরণ করে তখন তাকে চাহিদা বলে।

৫।        বাজার অফার কী?

  উত্তর : প্রয়োজন বা অভাবের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য পণ্য, সেবা, তথ্য বা অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে যা বাজারে উপস্থাপন করা হয় তাকে বাজার অফার বলে।

৬।        ক্রেতা ভ্যালু কী?

  উত্তর : পণ্য অর্জন ও ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রেতার অর্জিত ভ্যালু এবং পণ্য অর্জনের খরচের পার্থক্যকে ক্রেতা ভ্যালু বলে।

৭।        ভ্যালুর সূত্রটি কী?

  উত্তর : ভ্যালু = সুবিধা/ব্যয়

৮।        শপিং কী?

  উত্তর : ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা অন্য কোনো ভোগের উদ্দেশ্যে পণ্য, সেবা বা ধারণার ক্রয়কে শপিং বলে।

৯।        মার্কেটিংয়ের দ্বিতীয় উদ্দেশ্য কী?

  উত্তর : মার্কেটিংয়ের দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান ক্রেতাদের সন্তুষ্টি করার মাধ্যমে ধরে রাখা ও তাদের সংখ্যা বাড়ানো।

১০।       ভোক্তা কী?

  উত্তর : যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পণ্য বা সেবা শুধু চূড়ান্ত ভোগের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে, তাকে ভোক্তা বলে।

১১।       বিক্রয় কী?

  উত্তর : বিক্রয় হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে পণ্য বা সেবার মালিকানা ক্রেতার নিকট হস্তান্তর করা।

১২।       মার্কেটিং কী?

  উত্তর : উৎপাদনকারীর কাছ থেকে পণ্যসামগ্রী ও সেবাকর্ম চূড়ান্ত ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর কার্যাবলিকে মার্কেটিং বলে।

১৩।       পর্যায়িতকরণ কী?

  উত্তর : আকার এবং গুণাগুণের দিক দিয়ে সমজাতীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পণ্যের এককগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করাই হলো পর্যায়িতকরণ।

১৪।       চাহিদা কী?

  উত্তর : কোনো কিছুর অভাব, অভাব পূরণের সামর্থ্য এবং অর্থ ব্যয়ের ইচ্ছা থাকলে তাকে চাহিদা বলে।

১৫।       প্রচার কী?

  উত্তর : উৎপাদক কর্তৃক অর্থ প্রদান ব্যতীত গণমাধ্যমগুলো পণ্য সম্পর্কে মতামত প্রকাশ দ্বারা পরোক্ষভাবে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির প্রয়াসকে প্রচার বলে।

১৬।       উপসংস্কৃতি কী?

  উত্তর : একই সংস্কৃতির মানুষকে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ভাগ করাই হচ্ছে উপসংস্কৃতি।

১৭।       ফটকা কারবার কী?

  উত্তর : ভবিষ্যতে মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধির সম্ভাবনায় অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয় হলে তাকে ফটকা কারবার বলে।

১৮।       বন্ডেড ওয়্যারহাউস কী?

  উত্তর : আমদানিকারক কর্তৃক কাস্টমস ডিউটি পরিশোধ না করা পর্যন্ত আমদানীকৃত পণ্য যে গুদামে সংরক্ষণ করা হয় তাকে বন্ডেড ওয়্যারহাউস বলে।

১৯।       কর্মী দ্বারা সৃষ্ট ঝুঁকি কী?

  উত্তর : প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীর অদক্ষতা, অসততা, অসতর্কতা যেমনঅর্থ আত্মসাৎ, চুরি, হারানো, ভেঙে ফেলা, দক্ষ কর্মীর অসুস্থতা বা অকালমৃত্যুজনিত কারণে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাকে কর্মী দ্বারা সৃষ্ট ঝুঁকি বলে।

২০।       কারিগরি ঝুঁকি কী?

  উত্তর : উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করা না গেলে কাঁঁচামালের অপচয়, অধিক উৎপাদন ব্যয়, যন্ত্রপাতির অসতর্ক ব্যবহারজনিত যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাকে কারিগরি ঝুঁকি বলে।

২১।       সরকারি বাজার কী?

  উত্তর : যে বাজারের বর্তমান এবং সম্ভাব্য ক্রেতা সরকার তাকে সরকারি বাজার বলে।

২২।       বিপণন মিশ্রণ কী?

  উত্তর : ভোক্তাদের সন্তুষ্টি বিধানের উদ্দেশ্যে পণ্য মূল্য বণ্টন ও প্রসারের কাঙ্ক্ষিত সংমিশ্রণকে বিপণন মিশ্রণ বলে।

২৩।       বাজার বিভক্তিকরণ কী?

  উত্তর : একটি সমগ্র বাজারকে সমজাতীয় বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ছোট ছোট উপবিভাগে ভাগ করার প্রক্রিয়াকে বাজার বিভক্তিকরণ বলে।

২৪।       পণ্যের তালিকা মূল্য কী?

  উত্তর : বিক্রয়যোগ্য পণ্যের মোড়কে যে মূল্য লেখা থাকে তাকে পণ্যের তালিকা মূল্য বলে।

২৫।       ছাড় কী?

  উত্তর : বাট্টা প্রদানের পরও মূল্য সংক্রান্ত বাড়তি সুবিধা প্রদান করা হলে তাকে ছাড় বলে।

২৬।       পরিবহন কী?

  উত্তর : পরিবহন হলো বিপণনের অন্যতম কাজ।

২৭।       জীবন ধাঁচ কী?

  উত্তর : ব্যক্তির আগ্রহ, কার্যাবলি ও মতামতকে জীবন ধাঁচ বলে। কেননা উদ্যমী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও সংগ্রামী জীবন ধাঁচসম্পন্ন মানুষের পছন্দ, রুচি, অভ্যাসে ভিন্নতা থাকে। যেমন—Seal, Cats Eye  মানুষের জীবন ধাঁচ অনুসারে পোশাক বাজারজাত করছে।

২৮।       মূল্যবোধ কী?

  উত্তর : মানুষের আচরণ এবং মনোভাবের বহিঃপ্রকাশকে মূল্যবোধ বলা হয়। ভোক্তাদের আকাঙ্ক্ষা ও পছন্দ সৃষ্টিতে মূল্যবোধ ও বিশ্বাস দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।

২৯।       প্রবেশযোগ্যতা কী?

  উত্তর : প্রবেশযোগ্যতা কার্যকর বাজার বিভক্তিকরণের একটি শর্ত যাতে বাজারে প্রবেশের মতো শক্তি, সামর্থ্য বা যোগ্যতা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের থাকতে হয়।

৩০। 4C Kx?

  উত্তর : 4C nGjv Customer solution, Customer cost, Convenience, ommunication|

৩১।       শিল্প পণ্য কী?

  উত্তর : যেসব পণ্য উৎপাদন, পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ বা ব্যাবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হয় সেসব পণ্যকে শিল্প পণ্য বলে।

৩২।       বিপণনের দৃষ্টিতে পণ্য কী?

  উত্তর : বিপণনের দৃষ্টিতে পণ্য হলো কোনো ক্রেতার বিশেষ সমস্যার সমাধান।

৩৩।       নগদ মূল্যছাড় কী?

  উত্তর : নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য কিনলে যে পরিমাণ নগদ অর্থ কম রাখা হয় তাকে নগদ মূল্যছাড় বলে।

৩৪।       মূল্য কী?

  উত্তর : একটি পণ্য গ্রহণ, ভোগ বা ব্যবহারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় তাকে মূল্য বলে।

৩৫।       বিশিষ্ট পণ্য কী?

  উত্তর : যেসব পণ্যের পৃথক বৈশিষ্ট্য রয়েছে ও ব্র্যান্ড পরিচিতি আছে এবং যেগুলো পাওয়ার জন্য কিছু ক্রেতার বিশেষ চেষ্টা থাকে তাকে বিশিষ্ট পণ্য বলে।

৩৬।       সেবা কী?

  উত্তর : সেবা হচ্ছে কিছু কার্যাবলি, সুবিধা এবং তৃপ্তি, যা এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অর্পণ করে।

৩৭।       কাঁচামাল কী?

  উত্তর : যেসব শিল্পপণ্য চূড়ান্ত পণ্যের অংশ এবং গুদামজাতকরণ ও পরিবহনে মিতব্যয়িতা অর্জন বা নিরাপত্তার সুবিধা অর্জন ব্যতীত অন্য কোনো কারণে ব্যবহারের আগে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় না সেসব পণ্যকে কাঁচামাল বলে। যেমনতুলা, লোহা ইত্যাদি।

৩৮।       সরবরাহ কী?

  উত্তর : সরবরাহ চূড়ান্ত পণ্যের অংশ নয়, অথচ ভারী যন্ত্রপাতিকে সচল রাখতে সহায়তা করে। এগুলো হচ্ছে শিল্পক্ষেত্রে সুবিধা পণ্য। কারণ এগুলো ক্রয়ের সময় ক্রেতা সর্বনিম্ন প্রচেষ্টা ও তুলনা করে থাকে। যেমনলুব্রিকেন্টস, কাগজ।

৩৯।       প্রবৃদ্ধি স্তর কী?

  উত্তর : যে স্তরে বাজারে পণ্যের পরিচিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং অনেকেই পণ্য ক্রয় করা শুরু করে সেই স্তরকে প্রবৃদ্ধি স্তর বলে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ