<p>চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে চীনের অনুসন্ধানী যান চ্যাংই-৬। গতকাল শুক্রবার চন্দ্রযান চ্যাংই-৬ বহনকারী চীনের সবচেয়ে বড় রকেটটির সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। চাঁদের দূরবর্তী অংশের মাটি ও পাথরের নমুনা সংগ্রহ করবে চীনের এই চন্দ্রযান। চাঁদের ওই অংশে প্রথমবারের মতো কোনো চন্দ্রযান পাঠানো হলো। চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন সিএনএসএ জানায়, চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশের ওয়েনচাং মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে লং মার্চ-৫ ওয়াই-৮ ক্যারিয়ার রকেটে করে চাঁদের উদ্দেশে ছুটে যায় চ্যাংই-৬। চীনের পৌরাণিক চন্দ্রদেবীর নাম অনুসারে এই চন্দ্রযানের নামকরণ করা হয়েছে। সিএনএসএ আরো জানায়, চাঁদের রহস্যময় দূরবর্তী অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনাই এ অভিযানের উদ্দেশ্য। এর আগে আর কোনো চন্দ্রযান চাঁদের ওই অংশ  থেকে নমুনা নিয়ে আসতে পারেনি।</p> <p>দেশটির চন্দ্র অনুসন্ধান কর্মসূচির প্রধান নকশাকারী উ ওয়েরেন রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, ‘চাঁদের দূরবর্তী অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা এবং পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা একটি অভূতপূর্ব কীর্তি। আমরা চাঁদের দূরের ওই অংশ সম্পর্কে খুব কমই জানি। যদি চ্যাংই-৬ মিশন তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, তবে এটি বিজ্ঞানীদের চাঁদের দূরবর্তী অংশের পরিবেশ এবং বস্তুগত গঠন বোঝার ক্ষেত্রে প্রথম   প্রত্যক্ষ সরবরাহ করবে। বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’</p> <p>চীনের আগে পাঠানো চন্দ্রযান চ্যাংই-৫-এর মতোই চ্যাংই-৬-এ রয়েছে অরবিটার, ল্যান্ডার ও আরোহী। এই চন্দ্রযানটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও যুক্ত করা হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু-আইটকেন অববাহিকা, যেখানে চ্যাংই-৬-এর অবতরণ করার কথা রয়েছে, সেটি চাঁদের অন্ধকার অংশ। সব সময় পৃথিবী থেকে দূরে অবস্থান করায় চাঁদের এই অংশকে ঘিরে রহস্য রয়েই গেছে। সূত্র : আলজাজিরা</p>