দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘হিসাবরক্ষক’ পদ সৃষ্টি করা হবে। সারা দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব স্কুলে একজন করে হিসাবরক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ হিসাবে সারা দেশে নিয়োগ পাবেন ৬৫ হাজার ৯৯ জন হিসাবরক্ষক।
দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘হিসাবরক্ষক’ পদ সৃষ্টি করা হবে। সারা দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব স্কুলে একজন করে হিসাবরক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ হিসাবে সারা দেশে নিয়োগ পাবেন ৬৫ হাজার ৯৯ জন হিসাবরক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ধরনের হিসাব সংরক্ষণ, পরিচালনাসহ বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক সব কাজ প্রধান শিক্ষককে দেখতে হয়। এ ছাড়া সরকারের নানা ধরনের নির্দেশনামূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় সঠিকভাবে করতে পারছেন না প্রধান শিক্ষকরা। শুধু প্রধান শিক্ষক নন, সিনিয়র শিক্ষকদেরও এসব কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। শিক্ষকদের পাঠদানে আরো মনোনিবেশ করাতেই এ পদক্ষেপ।
নিয়োগ প্রক্রিয়া
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান, হিসাবরক্ষকের পদ সৃষ্টির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ
বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতির জন্য প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ, আধুনিক যুগের বিকাশ, সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, উপজীব্য ও চরিত্র, পঙক্তি ও উদ্ধৃতি, ছদ্মনাম, উপাধি, পত্রিকা ও সাময়িকী প্রভৃতি বিষয়ে ভালো করে জানতে হবে। আর ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ ও ধ্বনি, শব্দ, সন্ধি, লিঙ্গ ও বচন, পদ প্রকরণ, কারক ও বিভক্তি, সমাস, প্রত্যয়, শুদ্ধ বানান, সমার্থক বা প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, উপসর্গ, দ্বিরুক্ত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন প্রভৃতি বিষয় থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
ইংরেজি
Parts of Speech, Number, Article, Degree, Tense, Sentence, Voice, Narration, Appropriate Preposition, Fill in the Blanks, Correct Spelling, Correction, Synonyms and Antonyms, Phrases & Idioms and Word meaning, Translation প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। এ বিষয়গুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসতে পারে। বাজারে প্রচলিত ভালো মানের একাধিক গ্রামার বই থেকে প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে।
গণিত
গণিতে ৩টি অংশ : পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি। পাটিগণিতে সংখ্যার ধারণা, ল.সা.গু ও গ.সা.গু, ভগ্নাংশ, সরলীকরণ, অনুপাত-সমানুপাত, গড়, ঐকিক নিয়ম, সময়, দূরত্ব ও গতিবেগ, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, সুদকষা, ক্ষেত্রফল ও পরিমাপ প্রভৃতি আয়ত্তে আনতে হবে। বীজগণিতে বীজগণিতীয় সূত্রাবলি ও প্রয়োগ, উত্পাদকে বিশ্লেষণ, সূচক ও লগারিদম, সরল সমীকরণ ও প্রয়োগ, সেট বেশি বেশি চর্চা করা যেতে পারে। জ্যামিতির ক্ষেত্রে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত ভালো করে জানতে হবে। গণিতে ভালো করতে হলে নিয়মিত চর্চার বিকল্প নেই। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির গণিত বই থেকে প্রস্তুতি নিলে ভালো করা যাবে। হিসাববিজ্ঞান থেকেও কিছু প্রশ্ন আসতে পারে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
পদার্থবিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, মানবদেহ, রোগ ও চিকিত্সা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, আবিষ্কার-আবিষ্কারক ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের ব্যবহার ভালোভাবে জানতে হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে প্রস্তুতির জন্য সহায়ক বই হিসেবে অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত ভালো মানের একটি সহায়ক বই পড়তে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূ-প্রকৃতি, জনসংখ্যা, বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা, সংবিধান ও প্রশাসনিক কাঠামো, কৃষিজ, খনিজ ও বনজ সম্পদ, শিল্প-বাণিজ্য-অর্থনীতি, সংস্কৃতি-ঐতিহ্য, সংস্থা-সংগঠন-একাডেমি, স্থাপত্য ও পুরাকীর্তি, পুরস্কার-সম্মাননা, খেলাধুলা প্রভৃতি বিষয়ে জানতে হবে।
আন্তর্জাতিক অংশে দেশ-মহাদেশ, রাজধানী, মুদ্রা ও পার্লামেন্ট, প্রণালী, দ্বীপ ও মহাসাগর, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, স্থাপত্য ও স্থাপনা, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও প্রতিরক্ষা, চুক্তি-সনদ-সম্মেলন, সংস্থা ও সংগঠন, পুরস্কার ও সম্মাননা, খেলাধুলা, ইতিহাস ও সভ্যতা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। বাজারে প্রচলিত ভালো মানের একটি সাধারণ জ্ঞানের বই থেকে প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। ভালো করতে চাইলে নিয়মিত পত্রিকা পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
সম্পর্কিত খবর
নির্বাচন পদ্ধতি ও পরীক্ষার ধরন
প্রথমে নেওয়া হবে প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা। উত্তীর্ণদের দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হবে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা। এরপর ধাপে ধাপে প্রাথমিক মৌখিক, আন্তঃবাহিনী নির্বাচন পর্ষদ (আইএসএসবি বা এসএসবি), কেন্দ্রীয় চিকিৎসা পর্ষদ (সিএমবি) কর্তৃক চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ক্যাডেট চূড়ান্ত নির্বাচন পর্ষদ (সিএসএসবি) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখায় স্বল্পমেয়াদি কমিশন (ডিই-২০২৬এ) এবং শিক্ষা (পদার্থ ও গণিত) শাখায় বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন (এপিএসএসসি-২০২৬এ) কোর্সে জনবল নেওয়া হবে।
নির্বাচনী পরীক্ষার স্থান ও সূচি
সব জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে এই ঠিকানায়—বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্র, পুরাতন বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা। প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৭ ও ৩০ জুলাই ২০২৫ এবং ৩, ৬, ১০, ১৩, ১৭, ২৪, ২৭ ও ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।
প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা
নির্বাচিতদের বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে ছয় মাস প্রশিক্ষণ নিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইং অফিসার এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণকালীন অফিসার ক্যাডেটরা পাবেন ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা।
শারীরিক যোগ্যতা
‘ডিই-২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২০ থেকে ৩০ বছর এবং ‘এপিএসএসসি ২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২১ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে। বয়সের হিসাব হবে ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত ও দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে (joinairforce.baf.mil.bd)|
আবেদনের অযোগ্য যাঁরা
সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী বা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত, বরখাস্ত বা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন এমন প্রার্থীরা আবেদনের অযোগ্য। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে আইএসএসবি পরীক্ষায় দুবার প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত, সিএমবি আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য, দ্বৈত নাগরিক অথবা অন্য কোনো দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি আছে—এমন প্রার্থীরাও আবেদনের অযোগ্য।
আসসালামু আলাইকুম, স্যার।
চেয়ারম্যান : ওয়া আলাইকুমুস সালাম। বসুন। আপনি এখন কী করছেন?
—ধন্যবাদ স্যার।
আপনি কী কী দায়িত্ব পালন করেন?
—শীতলীকরণ কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ আমার তত্ত্বাবধানেই হয়। যেমন—প্রাণিচিকিৎসা, দুধের মান নিয়ন্ত্রণ, সব হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সম্প্রসারণ কাজ পরিচালনা ইত্যাদি।
মিল্ক ভিটায় পদক্রম কী?
—সহকারী ব্যবস্থাপক>উপব্যবস্থাপক> ব্যবস্থাপক>উপমহাব্যবস্থাপক>অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক>মহাব্যবস্থাপক।
বাহ! আমার প্রগ্রামে দুধ লাগবে। আপনি ৩০-৪০ লিটার দুধ দিতে পারবেন?
—দুঃখিত স্যার, পারব না!
কেন পারবেন না?
—শীতলীকরণ কেন্দ্র থেকে দুধ বিক্রি বা সাপ্লাইয়ের সুযোগ নেই। তবে সেলস সেন্টার থেকে দেওয়া সম্ভব।
—প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভালোই মেনে চলেন তাহলে! গুড।
—গরু-ছাগলের মতো প্রাণীগুলো উদগিরণের মাধ্যমে প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা জলবায়ুতে বিরূপ ভূমিকা রাখে। একটি গরু দিনে প্রায় ৪০০-৫০০ লিটার মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে।
পরিবেশদূষণ বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার কী করছে?
—জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন ইত্যাদি।
এসডিজি কী? কয়টি গোলস (লক্ষ্য)?
—স্যার, এসডিজির পূর্ণরূপ হলো—সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য)।
এসডিজির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রদত্ত একটি তত্ত্বের মিল আছে। সেটি কী?
—থ্রি-জিরো তত্ত্ব।
থ্রি-জিরোর সঙ্গে এসডিজির সম্পর্ক কী?
—নোবেল বিজয়ী বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের থ্রি-জিরো তত্ত্ব অনুযায়ী তিনটি বিষয়কে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এই তিনটি শূন্য বাস্তবায়ন হলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি গোল পূরণ হবে।
স্থানীয় সরকারের স্তরগুলো বলুন?
—স্যার, শহরে—পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এবং গ্রামে—জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ।
কিছুদিন আগে পেপারে দেখলাম কেউ কেউ ব্যয় কমাতে সরকারের আকার ছোট করতে পরামর্শ দিচ্ছে। আপনার মত কী?
—জি স্যার। আমার মতে, সরকারের আকার ছোট করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাহায্যে শাসনকার্য চালানো যেতে পারে।
প্রাণিসম্পদে বর্তমান সরকারের চলমান কিছু প্রকল্প সম্পর্কে বলুন?
—লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, পিপিআর রোগ নির্মূলকরণ প্রকল্প, প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি।
এক্সটারনাল-১ : আপনি ইউএনও হলে জনগণকে সরাসরি কী কী সেবা দেবেন?
—আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি, নির্বাচন পরিচালনা, বিভিন্ন ভাতা প্রদান, ত্রাণ বিতরণ, অনুদান প্রদান ইত্যাদি।
অনুদান প্রদানের সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রভাবিত করলে বা দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?
—আমি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুদান প্রদান করতে থাকব। যদি কেউ প্রভাবিত করে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেব। পুনরায় এমন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
ধরুন, আপনি উপসচিব হওয়ার পর আর প্রমোশন পাননি। এ অবস্থায় আপনার সেবা দেওয়ার গতি কি কমে যাবে?
—না স্যার। বিধি অনুযায়ী আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করব।
মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদক্রম বলুন।
—সহকারী সচিব>সিনিয়র সহকারী সচিব>উপসচিব>যুগ্ম সচিব>অতিরিক্ত সচিব>সচিব।
এক্সটারনাল-২ : আপনার বাড়ি আবু সাঈদের এলাকায়, আপনি গর্বিত?
—অবশ্যই স্যার।
ঠিক আছে, কাগজপত্র নিয়ে যান।
পরীক্ষা পদ্ধতি
প্রার্থী বাছাই করা হবে তিন ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে—এমসিকিউ (প্রিলিমিনারি), লিখিত ও ভাইভা। প্রথমেই এমসিকিউ পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে প্রার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার কেন্দ্র, তারিখ ও সময় জানানো হবে। অনেক সময় একই দিনে এমসিকিউ ও লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ
২০২৩ সালের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়েছে এক ঘণ্টায়। এখানে বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্যে ২৫টি প্রশ্ন, ইংরেজি সাহিত্য ও ব্যাকরণে ২৫টি প্রশ্ন, গণিতে ২৫টি প্রশ্ন এবং সাধারণ জ্ঞান, ব্যাংকিং ও আইসিটি মিলে ২৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে।
প্রস্তুতির জন্য করণীয়
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরীক্ষা পদ্ধতি ও ধরন প্রায় একই রকম।
আবেদনের যোগ্যতা
সরকার স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে প্রার্থীদের। বিদেশে পড়াশোনা করা প্রার্থীদের সমমানের সনদ থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের সবগুলো পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ থাকতে হবে। এ ছাড়া গার্মেন্টস এক্সপোর্ট (ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ) বিষয়ে অফিসার বা সমপদে কোনো ব্যাংক বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটারে দরকারি কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর।
শর্ত—ব্যাংকের যেকোনো শাখায় কাজের মানসিকতা থাকতে হবে। নিয়োগের পর এক বছরের প্রবেশন শেষে ব্যাংকটিতে পাঁচ বছর চাকরি করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
পদায়ন
যোগদানের পর প্রথম এক বছর ‘প্রবেশন সময়’ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রবেশনের সময় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। প্রবেশন সময় মূল্যায়ন করে এক বছর পর সিনিয়র অফিসার পদে পদায়ন করা হবে। এরপর ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার পদের নির্ধারিত বেতনকাঠামো অনুসারে মাসিক বেতন, উৎসব বোনাস, বৈশাখী বোনাসসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদন লিংক
www.pubalibangla.com/career
খেয়াল রাখুন
প্রার্থী বাছাই হবে শারীরিক মাপ, সক্ষমতা যাচাই, লিখিত পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসহ কয়েক ধাপের পরীক্ষা ও যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অনলাইনে আবেদনের সময় ট্রেকিং নম্বর ও আবেদনের রঙিন প্রিন্ট সংরক্ষণ (প্রিন্ট) করে রাখুন। বাছাই পরীক্ষার দিন নির্ধারিত কেন্দ্রে সময়মতো উপস্থিত থাকতে হবে। দরকারি পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে।
বাছাই পদ্ধতি ও পরীক্ষা
প্রার্থী বাছাই হবে বেশ কয়েকটি ধাপে।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, লিখিত পরীক্ষা হয়েছে রচনামূলক পদ্ধতিতে ৪৫ নম্বরে।
বাছাই পরীক্ষায় সঙ্গে রাখবেন
বাছাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। শারীরিক পরীক্ষার (ফিজিক্যাল টেস্ট) সময় প্রবেশপত্রের ডাউনলোডকৃত দুই কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতা পরীক্ষার মূল বা সাময়িক সনদ, সর্ব শেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক চারিত্রিক সনদের মূল কপি, স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, অভিভাবকের সম্মতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তার সত্যায়িত তিন কপি পাসেপোর্ট আকারের ছবি, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সনদ, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের মূল কপি, তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন কর্তৃক সনদ এবং চাকরিজীবী প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় সনদ দেখাতে হবে।
প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা
নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালে বিনামূল্যে পোশাক, থাকা-খাওয়াসহ মাসিক প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষানবিশ কনস্টেবল পদধারীদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডে ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা। ন্যূনতম দুই বছর শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরির পর কনস্টেবল পদে চাকরি স্থায়ী করা হবে। কনস্টেবল পদের কর্মীরা বেতনের পাশাপাশি বিনামূল্যে পোশাক, ঝুঁকিভাতা, বাসস্থান, খাওয়া ও চিকিৎসা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া থাকছে স্বল্পমূল্যে পারিবারিক রেশন সুবিধা, পদোন্নতি ও জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কাজের সুযোগ। চাকরি থেকে অবসরের পর যথারীতি পেনশন সুবিধাও পাবেন।
সুযোগ যাঁদের
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ অন্তত ২.৫০ থাকলেই আবেদন করা যাবে। প্রার্থীদের জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক (পুরুষ অথবা মহিলা) এবং অবিবাহিত হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ—মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩২ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩১ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন বয়স ও উচ্চতা অনুসারে এবং চোখের দৃষ্টি ৬/৬। ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর।
আবেদন লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
http://police.teletalk.com.bd
https://www.police.gov.bd