হতে চাইলে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক

  • দেশে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা ও পণ্যের ভালো চাহিদা আছে। এ বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে চেম্বার দেওয়ারও সুযোগ আছে। হতে পারেন সরকারি মেডিক্যাল অফিসার ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পেও চাকরির সুযোগ আছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ফরহাদ হোসেন
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার

হতে চাইলে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক

মানুষের সুস্থ জীবন নিশ্চিতের পাশাপাশি বহু লোকের আয়-রোজগারের পথও করেছে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা। হামদর্দ ল্যাবরেটরি ওয়াকফ বাংলাদেশ, ইবনে সিনাসহ অনেক প্রতিষ্ঠান চিকিত্সার সঙ্গে সঙ্গে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক পণ্য উত্পাদন ও বিপণন করে আসছে। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা, পণ্য উত্পাদন, বিপণনের সঙ্গে জড়িত দেশের অনেক মানুষ।

 

পড়ার সুযোগ আছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধিভুক্ত সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিইউএমএস) এবং ব্যাচেলর অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএএমএস) কোর্স করা যায়।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি মিলে আট পয়েন্ট হলেই ভর্তির আবেদন করা যাবে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজে। কোর্সটির পাঁচ বছর প্রাতিষ্ঠানিক ও এক বছর ইন্টার্নশিপ শেষে পাওয়া যাবে ডিগ্রি। প্রতিবছর এইচএসসির ফল প্রকাশের পর ব্যাচেলর কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ইউনানি বিষয়ে ২৫ জন ও আয়ুর্বেদিক বিষয়ে ২৫ জন ভর্তির সুযোগ পান।
এ ছাড়া সরকার স্বীকৃত বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক, সিস্টেমস অব মেডিসিন বিভাগ থেকে চার বছরমেয়াদি ডিপ্লোমা অব ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (ডিইউএমএস) এবং ডিপ্লোমা অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (ডিএএমএস) ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে। এসএসসি পাস হলেই আবেদন করা যাবে। ডিপ্লোমা কোর্সে ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ করতে হবে।
কোর্স শেষে ব্যাচেলর ডিগ্রিপ্রাপ্তরা স্বাস্থ্য অধিপ্তর এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক থেকে নিবন্ধিত হয়ে কাজের সুযোগ পাবেন।

কাজের সুযোগ

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনানি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. আনোয়ারুল আলম ভূইয়া জানান, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিকে ব্যাচেলর ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেওয়ার পর কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। সরকারি মেডিক্যাল অফিসার হওয়ার সুযোগ আছে। চাকরির সুযোগ আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্পে। সরকারের ওষুধ অধিদপ্তরেও সুযোগ আছে।

বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রকল্পে মেডিক্যাল প্রতিনিধি হিসেবেও কাজের সুযোগ রয়েছে। দেশের নামকরা ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানিগুলোও ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করে। সেখানেও কাজের সুযোগ রয়েছে। হামদর্দ, ইবনে সিনাসহ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানে বিপণন থেকে শুরু করে নানা বিভাগে কাজের সুযোগ রয়েছে। দেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ইউনানি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে ১৬টি এবং আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে ৯টি। এসব কলেজে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে চেম্বার দিয়ে প্র্যাকটিস এবং ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকান দিয়ে বসতে পারেন।

 

হতে পারেন রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ব্যাচেলর ডিগ্রিপ্রাপ্ত মোট ৭২৩ জন রেজিস্টার্ড ডাক্তার রয়েছেন। এর মধ্যে ইউনানি বিষয়ে ৩৭৬ জন ও আয়ুর্বেদিক বিষয়ে ৩৪৭ জন, যাঁরা দেশের বিভাগীয় শহর, জেলা বা উপজেলায় সরকারের নিবন্ধিত হেকিম হিসেবে কর্মরত। বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক জানায়, সারা দেশে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী রেজিস্টার্ড হেকিম রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে চেম্বার দিতে চাইলে প্রথমেই ভালো লোকেশন নির্বাচন করতে হবে। ভালো মানের এবং নামকরা কম্পানির ওষুধ রাখতে পারলে সেবাগ্রহিতার সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি আয়ও বাড়বে।

 

সরকারি প্রকল্পে কাজের সুযোগ

ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ডিগ্রি নেওয়ার পর সরকারের অলটারনেটিভ মেডিক্যাল কেয়ার (এএমসি) প্রকল্পে মেডিক্যাল অফিসার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হোমিও ও ট্রেডিশনাল মেডিসিন বিভাগের পরিচালক ডা. মনোয়ারা সুলতানা জানান, অলটারনেটিভ মেডিক্যাল কেয়ার প্রকল্পে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে ৪৫ জনকে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষকসহ বেশ কিছু পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ইউনানি বিভাগে ৭০ জন এবং আয়ুর্বেদিক বিভাগে ৫৭ জনকে মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসারদের কাজে সহায়তার জন্য সরকার এখন পর্যন্ত ৬৩ জন কম্পাউন্ডার ও হারবাল অ্যাসিস্ট্যান্ট গার্ডেনার পদে ৪৩০ জন নিয়োগ পেয়েছে। ২০২২ পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ রয়েছে। বাড়তে পারে এ মেয়াদ। একজন ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার সর্বসাকল্যে ২২০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া অনেককেই ধাপে ধাপে রাজস্ব খাতে স্থায়ীকরণ করেছে সরকার।

 

আয়-রোজগার

ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক পেশায় কর্মরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধ্যয়ন শেষে রেজিস্টার্ড হয়ে নিজেই প্র্যাকটিস করলে প্রথমে আয়টা একটু কম হলেও সেবা ও সুনাম বাড়তে থাকলে বাড়বে আয়ের পরিমাণও। শুরুর দিকে একজন মাসে স্থানভেদে ২০ হাজারের অধিক আয় করতে পারবে। সরকারি চাকরিতেও ভালো বেতন-ভাতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানিতেও শুরুর দিকে ২০-২৫ হাজার টাকা পাওয়া যেতে পারে। অভিজ্ঞতার সঙ্গে বাড়বে বেতন ও অন্যান্য সুবিধাও।

মন্তব্য

বিমানবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট হওয়ার সুযোগ

    ‘ডিই-২০২৬এ’ ও ‘এপিএসএসসি-২০২৬এ’ কোর্সে অফিসার ক্যাডেট নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। আবেদন করতে হবে অনলাইনে ২৭ আগস্ট ২০২৫ এর মধ্যে। নির্বাচনী পরীক্ষার ধাপ, পরীক্ষা পদ্ধতিসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
বিমানবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট হওয়ার সুযোগ
ছবি : বাংলাদেশ বিমানবাহিনী

নির্বাচন পদ্ধতি ও পরীক্ষার ধরন

প্রথমে নেওয়া হবে প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা। উত্তীর্ণদের দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হবে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা। এরপর ধাপে ধাপে প্রাথমিক মৌখিক, আন্তঃবাহিনী নির্বাচন পর্ষদ (আইএসএসবি বা এসএসবি), কেন্দ্রীয় চিকিৎসা পর্ষদ (সিএমবি) কর্তৃক চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ক্যাডেট চূড়ান্ত নির্বাচন পর্ষদ (সিএসএসবি) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখায় স্বল্পমেয়াদি কমিশন (ডিই-২০২৬এ) এবং শিক্ষা (পদার্থ ও গণিত) শাখায় বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন (এপিএসএসসি-২০২৬এ) কোর্সে জনবল নেওয়া হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি ও মিটিওরলজি শাখার প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি, গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষা শাখার (পদার্থ ও গণিত) প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে এবং ফিন্যান্স শাখার প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি ও বিজনেস স্টাডিজ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 

নির্বাচনী পরীক্ষার স্থান ও সূচি

সব জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে এই ঠিকানায়—বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্র, পুরাতন বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা। প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৭ ও ৩০ জুলাই ২০২৫ এবং ৩, ৬, ১০, ১৩, ১৭, ২৪, ২৭ ও ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।

প্রয়োজনীয় সব সনদ ও কাগজপত্রসহ নির্ধারিত তারিখে সকাল ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।

 

প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা

নির্বাচিতদের বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে ছয় মাস প্রশিক্ষণ নিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইং অফিসার এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণকালীন অফিসার ক্যাডেটরা পাবেন ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা।

এর পর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ক্ষেত্রে এককালীন ৫৯,১৫০ টাকা এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন কোর্সের ক্ষেত্রে এককালীন ৪২,২৫০ টাকা বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে। অফিসার ক্যাডেটরা সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী মাসিক বেতন-ভাতা পাবেন। এ ছাড়া রয়েছে বিদেশে প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা, জাতিসংঘ মিশন ও বাংলাদেশ দূতাবাসে কাজের সুযোগ, বাসস্থান ও রেশন, সন্তানদের অধ্যয়ন, চিকিৎসা, গাড়িঋণ ও ডিওএইচএসে প্লটসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা।

 

শারীরিক যোগ্যতা

‘ডিই-২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২০ থেকে ৩০ বছর এবং ‘এপিএসএসসি ২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২১ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে। বয়সের হিসাব হবে ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী।

পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় উচ্চতা ৬৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩৪ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩০ ইঞ্চি। বয়স ও উচ্চতা অনুসারে ওজন। দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি এটিসি/এডিডব্লিউসি শাখার জন্য ৬/১২ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখার জন্য ৬/৩৬ পর্যন্ত। অবিবাহিত বা বিবাহিত বাংলাদেশি পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন।

 

শিক্ষাগত যোগ্যতা

শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত ও দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে (joinairforce.baf.mil.bd)|

 

আবেদনের অযোগ্য যাঁরা

সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী বা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত, বরখাস্ত বা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন এমন প্রার্থীরা আবেদনের অযোগ্য। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে আইএসএসবি পরীক্ষায় দুবার প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত, সিএমবি আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য, দ্বৈত নাগরিক অথবা অন্য কোনো দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি আছে—এমন প্রার্থীরাও আবেদনের অযোগ্য।

মন্তব্য
ভাইভা অভিজ্ঞতা

প্রভাবশালীরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?

শেয়ার
প্রভাবশালীরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?
মো. মেহেদী হাসান

আসসালামু আলাইকুম, স্যার।

চেয়ারম্যান : ওয়া আলাইকুমুস সালাম। বসুন। আপনি এখন কী করছেন?

—ধন্যবাদ স্যার।

আমি বর্তমানে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডে (মিল্ক ভিটা) সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।

আপনি কী কী দায়িত্ব পালন করেন?

—শীতলীকরণ কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ আমার তত্ত্বাবধানেই হয়। যেমন—প্রাণিচিকিৎসা, দুধের মান নিয়ন্ত্রণ, সব হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সম্প্রসারণ কাজ পরিচালনা ইত্যাদি।

মিল্ক ভিটায় পদক্রম কী?

—সহকারী ব্যবস্থাপক>উপব্যবস্থাপক> ব্যবস্থাপক>উপমহাব্যবস্থাপক>অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক>মহাব্যবস্থাপক।

বাহ! আমার প্রগ্রামে দুধ লাগবে। আপনি ৩০-৪০ লিটার দুধ দিতে পারবেন?

—দুঃখিত স্যার, পারব না!

কেন পারবেন না?

—শীতলীকরণ কেন্দ্র থেকে দুধ বিক্রি বা সাপ্লাইয়ের সুযোগ নেই। তবে সেলস সেন্টার থেকে দেওয়া সম্ভব।

—প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভালোই মেনে চলেন তাহলে! গুড।

আচ্ছা, আপনি তো ভেটেরিনারি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন; প্রাণিসম্পদের ক্ষতিকর প্রভাব কী?

—গরু-ছাগলের মতো প্রাণীগুলো উদগিরণের মাধ্যমে প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা জলবায়ুতে বিরূপ ভূমিকা রাখে। একটি গরু দিনে প্রায় ৪০০-৫০০ লিটার মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে।

পরিবেশদূষণ বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার কী করছে?

—জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন ইত্যাদি।

এসডিজি কী? কয়টি গোলস (লক্ষ্য)?

—স্যার, এসডিজির পূর্ণরূপ হলো—সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য)।

এতে ১৭টি গোলস রয়েছে।

এসডিজির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রদত্ত একটি তত্ত্বের মিল আছে। সেটি কী?

—থ্রি-জিরো তত্ত্ব।

থ্রি-জিরোর সঙ্গে এসডিজির সম্পর্ক কী?

—নোবেল বিজয়ী বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের থ্রি-জিরো তত্ত্ব অনুযায়ী তিনটি বিষয়কে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—শূন্য দারিদ্র‍্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এই তিনটি শূন্য বাস্তবায়ন হলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি গোল পূরণ হবে।

স্থানীয় সরকারের স্তরগুলো বলুন?

—স্যার, শহরে—পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এবং গ্রামে—জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ।

কিছুদিন আগে পেপারে দেখলাম কেউ কেউ ব্যয় কমাতে সরকারের আকার ছোট করতে পরামর্শ দিচ্ছে। আপনার মত কী? 

—জি স্যার। আমার মতে, সরকারের আকার ছোট করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাহায্যে শাসনকার্য চালানো যেতে পারে।

প্রাণিসম্পদে বর্তমান সরকারের চলমান কিছু প্রকল্প সম্পর্কে বলুন?

—লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, পিপিআর রোগ নির্মূলকরণ প্রকল্প, প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি।

 

এক্সটারনাল-১ : আপনি ইউএনও হলে জনগণকে সরাসরি কী কী সেবা দেবেন?

—আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি, নির্বাচন পরিচালনা, বিভিন্ন ভাতা প্রদান, ত্রাণ বিতরণ, অনুদান প্রদান ইত্যাদি।

অনুদান প্রদানের সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রভাবিত করলে বা দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?

—আমি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুদান প্রদান করতে থাকব। যদি কেউ প্রভাবিত করে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেব। পুনরায় এমন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

ধরুন, আপনি উপসচিব হওয়ার পর আর প্রমোশন পাননি। এ অবস্থায় আপনার সেবা দেওয়ার গতি কি কমে যাবে?

—না স্যার। বিধি অনুযায়ী আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করব।

মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদক্রম বলুন।

—সহকারী সচিব>সিনিয়র সহকারী সচিব>উপসচিব>যুগ্ম সচিব>অতিরিক্ত সচিব>সচিব।

 

এক্সটারনাল-২ : আপনার বাড়ি আবু সাঈদের এলাকায়, আপনি গর্বিত?

—অবশ্যই স্যার।

 ঠিক আছে, কাগজপত্র নিয়ে যান।

 

 

 

মন্তব্য

দেড়শ সিনিয়র অফিসার নেবে পূবালী ব্যাংক

    সিনিয়র অফিসার পদে ১৫০ জন নিয়োগ দেবে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক পূবালী ব্যাংক। বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স-সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য এসব কর্মকর্তা নেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২০ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে। আবেদন প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
দেড়শ সিনিয়র অফিসার নেবে পূবালী ব্যাংক
ছবি : এআই দিয়ে তৈরি

পরীক্ষা পদ্ধতি

প্রার্থী বাছাই করা হবে তিন ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে—এমসিকিউ (প্রিলিমিনারি), লিখিত ও ভাইভা। প্রথমেই এমসিকিউ পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে প্রার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার কেন্দ্র, তারিখ ও সময় জানানো হবে। অনেক সময় একই দিনে এমসিকিউ ও লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষা নেওয়া হয়।

দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সব শেষে ভাইভা (মৌখিক) পরীক্ষায় ডাকা হবে। প্যানেল তৈরির মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ দেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

 

বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ

২০২৩ সালের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়েছে এক ঘণ্টায়। এখানে বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্যে ২৫টি প্রশ্ন, ইংরেজি সাহিত্য ও ব্যাকরণে ২৫টি প্রশ্ন, গণিতে ২৫টি প্রশ্ন এবং সাধারণ জ্ঞান, ব্যাংকিং ও আইসিটি মিলে ২৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১০০ নম্বরের লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। বিগত প্রশ্নপত্র অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারেন। তবে এবারের পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন ভিন্নও হতে পারে।

 

প্রস্তুতির জন্য করণীয়

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরীক্ষা পদ্ধতি ও ধরন প্রায় একই রকম।

তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিগত প্রশ্নপত্র বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। এর ফলে বিষয়বস্তুর ওপর ভালো প্রস্তুতির পাশাপাশি নিজের দুর্বলতাগুলোও শনাক্ত করা যাবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, গদ্য ও সাহিত্য, ইংরেজি গ্রামার, বীজগণিত, পাটিগণিত, জ্যামিতি, পরিমিতির অংশগুলো আয়ত্তে রাখতে হবে। জেনারেল ব্যাংকিং, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবেলিটি, বৈদেশিক বাণিজ্য (ফরেন ট্রেড) বিভাগের আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স-সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। কম্পিউটার বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণাসহ এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেলে কাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখার দক্ষতাও বাড়াতে হবে। এমসিকিউ ও রচনামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে ব্যাংকিং পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই পাওয়া যায়। বইগুলো নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বেশ কাজে দেবে।

 

আবেদনের যোগ্যতা

সরকার স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে প্রার্থীদের। বিদেশে পড়াশোনা করা প্রার্থীদের সমমানের সনদ থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের সবগুলো পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ থাকতে হবে। এ ছাড়া গার্মেন্টস এক্সপোর্ট (ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ) বিষয়ে অফিসার বা সমপদে কোনো ব্যাংক বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটারে দরকারি কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর।

শর্ত—ব্যাংকের যেকোনো শাখায় কাজের মানসিকতা থাকতে হবে। নিয়োগের পর এক বছরের প্রবেশন শেষে ব্যাংকটিতে পাঁচ বছর চাকরি করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

 

পদায়ন

যোগদানের পর প্রথম এক বছর ‘প্রবেশন সময়’ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রবেশনের সময় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। প্রবেশন সময় মূল্যায়ন করে এক বছর পর সিনিয়র অফিসার পদে পদায়ন করা হবে। এরপর ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার পদের নির্ধারিত বেতনকাঠামো অনুসারে মাসিক বেতন, উৎসব বোনাস, বৈশাখী বোনাসসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।

 

আবেদন লিংক

www.pubalibangla.com/career

 

মন্তব্য

এসএসসি পাসে কনস্টেবল নিয়োগ

    সারা দেশ থেকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ পুলিশ। জিপিএ ২.৫ পাওয়া এসএসসি বা সমমানের পুরুষ ও নারী প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২৪ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে। বাছাই প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রস্তুতিসহ বিস্তারিত জানাচ্ছেন রাকিবুল ইসলাম
শেয়ার
এসএসসি পাসে কনস্টেবল নিয়োগ
ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

খেয়াল রাখুন

প্রার্থী বাছাই হবে শারীরিক মাপ, সক্ষমতা যাচাই, লিখিত পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসহ কয়েক ধাপের পরীক্ষা ও যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অনলাইনে আবেদনের সময় ট্রেকিং নম্বর ও আবেদনের রঙিন প্রিন্ট সংরক্ষণ (প্রিন্ট) করে রাখুন। বাছাই পরীক্ষার দিন নির্ধারিত কেন্দ্রে সময়মতো উপস্থিত থাকতে হবে। দরকারি পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে।

লিখিত পরীক্ষার জন্য ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই পড়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কেও জানাশোনা থাকতে হবে। এর জন্য নিয়মিত পত্রিকার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞানের বইও পড়তে হবে।

 

বাছাই পদ্ধতি ও পরীক্ষা

প্রার্থী বাছাই হবে বেশ কয়েকটি ধাপে।

প্রথমেই নেওয়া হবে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং টেস্ট। পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এনডোরেন্স বা পিইটি পরীক্ষা। এরপর প্রার্থীদের ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১৫ নম্বরের ভাইভা ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
পরীক্ষার ফল অনুসারে মেধাক্রম ও সরকারের প্রযোজ্য নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এসব প্রার্থীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত তালিকা করা হবে। চূড়ান্তভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।

 

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, লিখিত পরীক্ষা হয়েছে রচনামূলক পদ্ধতিতে ৪৫ নম্বরে।

সময় দেড় ঘণ্টা। এই পরীক্ষার প্রশ্ন হয় মাধ্যমিক পর্যায়ের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপর। সাধারণত বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। বাংলায় রিপরীত শব্দ, বাক্য রচনা ও বাগধারা, সমোচ্চারিত শব্দ, সন্ধিবিচ্ছেদ, রচনা, প্রবাদ-প্রবচনের ওপর প্রশ্ন থাকতে পারে। এর বাইরে পত্রলিখন/দরখাস্ত অথবা ভাবসম্প্রসারণও আসতে পারে। তাই গুরুত্বপূর্ণ রচনা ও ব্যাকরণের উল্লিখিত অধ্যায়গুলো খুব গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন, আর্টিকল, প্যারাগ্রাফ, ফিল ইন দ্য ব্ল্যাংকস, প্রিপজিশন অধ্যায়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া লেটার রাইটিংয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। ইংরেজির এই অংশ বা অধ্যায়গুলোতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। গণিতের পাটিগণিতের শতকরা, ঐকিক, সুদকষা এবং বীজগণিতের উৎপাদকের বিশ্লেষণ, সেট অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। তাই পাটিগণিত ও বীজগণিতের সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোতে প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নে সমসাময়িক বিষয়ের ওপর ‘এককথায়’ প্রশ্ন থাকতে পারে। এই অংশে ভালো করতে হলে সমসাময়িক সংবাদ, তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। টিআরসি পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার তুলনায় সহজ করা হয়। প্রশ্নপত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো অনলাইন থেকে দেখে নিন। তবে ভালো প্রস্তুতির জন্য প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই সংগ্রহ করতে পারেন। এসব বইয়ে বিগত প্রশ্নপত্র (উত্তরসহ), সাজেশন ও বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিকস গোছানো থাকে।

 

বাছাই পরীক্ষায় সঙ্গে রাখবেন

বাছাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। শারীরিক পরীক্ষার (ফিজিক্যাল টেস্ট) সময় প্রবেশপত্রের ডাউনলোডকৃত দুই কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতা পরীক্ষার মূল বা সাময়িক সনদ, সর্ব শেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক চারিত্রিক সনদের মূল কপি, স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, অভিভাবকের সম্মতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তার সত্যায়িত তিন কপি পাসেপোর্ট আকারের ছবি, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সনদ, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের মূল কপি, তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন কর্তৃক সনদ এবং চাকরিজীবী প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় সনদ দেখাতে হবে।

 

প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা

নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালে বিনামূল্যে পোশাক, থাকা-খাওয়াসহ মাসিক প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষানবিশ কনস্টেবল পদধারীদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডে ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা। ন্যূনতম দুই বছর শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরির পর কনস্টেবল পদে চাকরি স্থায়ী করা হবে। কনস্টেবল পদের কর্মীরা বেতনের পাশাপাশি বিনামূল্যে পোশাক, ঝুঁকিভাতা, বাসস্থান, খাওয়া ও চিকিৎসা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া থাকছে স্বল্পমূল্যে পারিবারিক রেশন সুবিধা, পদোন্নতি ও জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কাজের সুযোগ। চাকরি থেকে অবসরের পর যথারীতি পেনশন সুবিধাও পাবেন।

 

সুযোগ যাঁদের

এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ অন্তত ২.৫০ থাকলেই আবেদন করা যাবে। প্রার্থীদের জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক (পুরুষ অথবা মহিলা) এবং অবিবাহিত হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ—মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩২ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩১ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন বয়স ও উচ্চতা অনুসারে এবং চোখের দৃষ্টি ৬/৬। ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর।

    

আবেদন লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

http://police.teletalk.com.bd 

https://www.police.gov.bd

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ