<p>ইরাকি ভূখণ্ডে যেকোনো ‘আক্রমণের’ বিরুদ্ধে শনিবার ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী। তার কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ফোন করেছিলেন। সে সময় তিনি এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। </p> <p>মার্কিন ও ইরাকি সূত্র জানিয়েছে, ২২ নভেম্বর মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরাকে দুটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে, মার্কিন সেনাদের ওপর বারবার হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানপন্থী ৯ যোদ্ধাকে হত্যা করে। </p> <p>পেন্টাগন জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা আগে একটি যুদ্ধবিমান ইরান সমর্থিত যোদ্ধাদের গাড়িতে আঘাত করেছে। এর আগে তারা মার্কিন ও মিত্র বাহিনীর ওপর একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।</p> <p>পেন্টাগন কর্মকর্তাদের মতে, ইরাক ও সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনী অন্তত ৭৪ বার হামলার পর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।</p> <p>ব্লিনকেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় সুদানি ‘ইরাকি ভূখণ্ডে যেকোনো হামলা’ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে তার কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ইরাকি সরকার ‘ইরাকে উপস্থিত আন্তর্জাতিক জোট উপদেষ্টাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।</p> <p>২৫ নভেম্বর হিজবুল্লাহ ব্রিগেডের প্রধান একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, গোষ্ঠীটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ‘যুদ্ধবিরতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত’ মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে ‘অভিযানের তীব্রতা হ্রাস করবে’। পেন্টাগনও মঙ্গলবার বলেছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর কোনো হামলা হয়নি।</p> <p>শুক্রবার বিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সিরিয়ায় তার বাহিনীর ওপর হামলার পর ওয়াশিংটনও ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।</p> <p>ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর পুনরুত্থান রোধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা এবং সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা রয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>