<p>দারুণ শুরু পেয়েও শেষটা রাঙাতে পারেননি বোলাররা। ৭৮ রানে ৫ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর মনে হচ্ছিল দেড় শ রানের আগে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামাতে পারবে বাংলাদেশ। তবে একাধিক ক্যাচ মিস, হতশ্রী ফিল্ডিং আর শেষ দিকের বাজে বোলিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে স্বাগতিকদের। ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২১৩ রান তুলেছে সফরকারীরা। </p> <p>এই রান টপকাতে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। ওয়ানডেতে এর আগে কখনো ২১০ রানে বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি নিগার সুলতানা, ফারজানা হকরা।</p> <p>টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান স্বাগতিক অধিনায়ক। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সুলতানা খাতুন ফেরান অজি ওপেনার ফিবি লিচফিল্ডকে। খানিক পর তিনে নামা এলিসি পেরিকেও আউট করেন এই স্পিনার। ২ উইকেট হারিয়ে বসা অস্ট্রেলিয়া আরও বিপদে পড়ে অধিনায়ক অ্যালিসা হিলির বিদায়ে। দলীয় ২৭ রানে হিলি ফেরেন ২৪ রানে, তাকে বিদায় করেন মারুফা আক্তার। যদিও এর আগে ২ বার জীবন পান তিনি। </p> <p>অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের পরের আঘাতটি করেন নাহিদা আক্তার। তাহিলা ব্যাকগ্রাকে দলীয় রান ৫০ হওয়ার আগে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়েন অ্যাশলে গার্নার ও বেথ মুনি। তবে ফাহিমা খাতুনের ঘূর্ণিতে মুনি ফেরেন ২৫ রানে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অজিদের হাল ধরে এগিয়ে নিতে থাকেন গার্ডনার ও অ্যানাবেল স্যাদারল্যান্ড। এই জুটি ভাঙেন নাহিদা।</p> <p>সঙ্গীদের আসা যাওয়ার মিছিলে জর্জিয়া ওয়েরেহামের সাথে জুটি গড়ে এগিয়ে নিতে থাকেন সাদারল্যান্ড। ৬৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন অজি ব্যাটার। ওয়ারেহাম ১২ রানে আউট হলে স্কোর বোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন সাদারল্যান্ড ও আলানা কিং। শেষ ওভারে ফাহিমার এক ওভারে ২৯ রান তোলে সফরকারীরা। এতে ২১৩ রানের পুঁজি পায় তারা। ৩১ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন আলানা, সালারল্যান্ড করেন ৫৮ রান। </p> <p>বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাহিদা ও সুলতানা।</p>