একবার পাতা উল্টেই কি বই মুখস্থ করে ফেলতেন বিদ্যাসাগর?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
একবার পাতা উল্টেই কি বই মুখস্থ করে ফেলতেন বিদ্যাসাগর?

বিদ্যাসাগরের কাজ তাঁকে মহামানবে পরিণত করেছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ছেলেবেলা নিয়ে নানা কাহিনি চালু হয়। তিনি নাকি খুব দরিদ্র ঘরের সন্তান ছিলেন, খুব দুঃখ-কষ্টে কেটেছে তাঁর ছেলেবেলা—এ কথাটা কিন্তু সত্যি নয়। অত ধনী ঘরে তাঁর জন্ম নয় ঠিকই, তাই বলে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটেনি।

বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতার সাধারণ একজন চাকুরে। তাই গ্রামের স্কুলেই সাদামাটাভাবে শুরু হয় বিদ্যাসাগরের শিক্ষাজীবন। তাঁর সম্পর্কে আরেকটা গল্প চালু আছে। তিনি নাকি এতই মেধাবী ছিলেন, যেকোনো বইয়ের পাতা একবার ওল্টালেই সব নাকি মুখস্থ হয়ে যেত।

তাই এক বই একবার নেড়েচেড়ে ছিঁড়ে ফেলে দিতেন। এ জন্য তাঁকে বকাঝকা করতেন শিক্ষক কিংবা অভিভাবকেরা।

তিনি তখন নাকি গড়গড় করে বলে দিতেন সেই বইয়ের কোন পাতায় কী আছে! বুঝতেই পারছেন, এটা গালগপ্পো-মুখস্থবিদ্যার সঙ্গে মেধার কোনো সম্পর্ক নেই, সে কথা নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়। বিদ্যাসাগর কিন্তু মেধাবীই ছিলেন, মুখস্থবিদ নন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ডিম ফুল না হাফ বয়েল খাবেন? কোনটা স্বাস্থ্যকর?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ডিম ফুল না হাফ বয়েল খাবেন? কোনটা স্বাস্থ্যকর?
অলংকরণ : চ্যাটজিপিটি

ডিম হলো পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাবার। শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু ডিম কিভাবে খাওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়—ফুল বয়েল না হাফ বয়েল? 

কেউ কেউ হাফ বয়েল খেতে খেতে পছন্দ করেন। কেউ কেউ আবার ফুল বয়েল না হলে খান না।

কেউ কেউ মনে করেন হাফ বয়েল ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি। 

আসলেই কি তাই?

ডিমকে প্রকৃতির পুষ্টির প্যাকেজ বলা হয়। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১২, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিংক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

ডিম রান্না করার পদ্ধতির ওপর পুষ্টিগুণ নির্ভর করে।

রান্নার ধরনের নির্ভর করে এটা স্বাস্থ্যকর হবে না, শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

ডিম কারি, ভুনা, ভাজা ও সিদ্ধ করে খাওয়া হয়। ভুনা ও কারিতে ডিম সাধারণত ফুল সিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্ত গোল বাঁধে সিদ্ধ ও ভাজিতে।

অথচ সিদ্ধ ও ভাজি ডিমই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। 

ভাজি কিংবা সিদ্ধ যেভাবেই খাই না কেন, কোনটা পুষ্টিকর তা আমরা দেখে নেব।

ফুল বয়েল ডিম হলো সম্পূর্ণ সিদ্ধ করা ডিম। এতে ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম পুরোপুরি শক্ত হয়ে যায়। ফুল বয়েল ডিম খেলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে।

এটা গর্ভবতী নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ। 

পুরোপুরি সিদ্ধ হয় বলে, এটা সহজে হজম হয়। পেটের সমস্যার ঝুঁকি কম থাকে। অন্যদিকে এতে প্রোটিন সম্পূর্ণ পরিমাণে পাওয়া যায়।

তবে অতিরিক্ত সিদ্ধ করা হয় বলে কিছু ভিটামিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড উচ্চ তাপে নষ্ট হতে পারে। বেশি সিদ্ধ করলে স্বাদ কমে যেতে পারে।

ডিমের রান্না পদ্ধতি এবং পুষ্টিগুণ নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফ্রাঙ্ক বি. হু। তিনি বলেন, ‘ডিমের পুষ্টিগুণ রান্নার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, ডিম সঠিকভাবে রান্না না করলে সালমোনেলা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।’

হালকা সিদ্ধ করা ডিমকে হাফ বয়েল বলে । এতে ডিমের সাদা অংশ কিছুটা শক্ত হয়, কিন্তু কুসুম নরম ও আধা তরল অবস্থায় থাকে।

এই পুষ্টি অটুট থাকে, কম তাপের কারণে ভিটামিন ও ওমেগা-৩ অক্ষত থাকে।  হালকা কুসুম অনেকের কাছে স্বাদে বেশি আকর্ষণীয়। হাফ বয়েল ডিম কম ক্যালোরি বেশি থাকে।

তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। কাঁচা বা আধা কাঁচা ডিমে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া বাস করে। তাই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে উচ্চমাত্রায়। গর্ভবতী নারী ও শিশুদের হাফ বয়েল খাওয়া উচিৎ নয়।

আধা সিদ্ধ ডিম সহজপাচ্য নয়। তাই অনেকে আধা সিদ্ধ ডিম হজম করতে পারে না। তাদের ক্ষেত্রে হাফবয়েল পেটের পীড়ার কারণ হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. ব্রুস গ্রিফিন উল্লেখ করেন, ‘ডিমের কুসুমে থাকা কোলেস্টেরল নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও, গবেষণায় দেখা গেছে যে পরিমিত ডিম গ্রহণ বেশিরভাগ মানুষের রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। তবে, ডিমের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সঠিকভাবে রান্না করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

কোনটা খাবেন?

আপনার শারীরিক অবস্থা, পছন্দ এবং নিরাপত্তার ওপর নির্ভর করে ফুল বা হাফ বয়েল ডিম বেছে নেওয়া উচিত। গর্ভবতী নারী, শিশু, এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষদের জন্য ফুল বয়েল নিরাপদ। যারা সালমোনেলা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে চান, তাঁদেরও ফুল বয়েল ডিম খাওয়া উচিত।

অন্যদিকে যারা পুষ্টিগুণের ক্ষতি কমাতে চান এবং ভালো স্বাদ চান, তারা হাফ বয়ের ডিম খেতে পারেন। তবে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত অর্গানিক বা পাস্তুরাইজড ডিম হাফ বয়েলও নিরাপদ।

সূত্র : ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ, যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

দিগন্তে আকাশ ও মাটি মিশে যায় কেন?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দিগন্তে আকাশ ও মাটি মিশে যায় কেন?

খোলা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে ডানে-বামে তাঁকান, দেখবেন ওই দূরে আকিশ আর মাটি মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। 
আসলেই কি আকাশ ও মাটি মিশে যায়?

না, মেশার কোনো কারণ নেই। এটা সম্পূর্ণ একটা দৃষ্টিভ্রম। বিশ্বাস, না হলে ছুটে যান দিগন্তের পানে, দেখবেন আপনি যত এগুচ্ছেন দিগন্তও ততো দূরে সরে যাচ্ছে।

 

তারপর এক সময় আপনি যখনে সেই জায়গাটতে পৌঁছুবেন, যেখানে আকাশ ও মাটি একসঙ্গে মিশে ছিল বলে মনে হয়েছিল, দেখবেন সেই জায়গাটা একদম স্বাভাবিক। বরং এবার আপনি প্রথম যে জায়গা থেকে পরীক্ষা করে দেখেছিলেন, মনে হবে সেই জায়গাটাতেই আকাশ আর মাটি মিশে গেছে। 

এখন আশপাশের যেদিকেই তাকান, দূরে-বহুদূরেই কেবল আকাশ আর মাটিকে মিশে থাকতে দেখবেন। কাছাকাছি কোথাও এমনটা পাবে না।

কেন এমন হয়?

আমাদের চোখ যে পর্যন্ত দেখতে পারে, তাকে বলে দৃষ্টিসীমা। অবশ্য মানুষের দৃষ্টিসীমা অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত। তা না হলে আমরা বহুদূরের নক্ষত্র আকাশে দেখতে পেতাম না। আসলে ভূপৃষ্ঠে দৃষ্টিসীমা অসীম নয়, তার করণ পৃথিবী সমতল নয়, গোলকের মতো।

আর গোলকের বক্রতার কারণে একটা নির্দিষ্ট দূরত্বের বাইরের কিছু আমরা দেখতে পাই না। সেই নির্দষ্ট দূরত্বকে বলে হরাইজন বা দিগন্ত। 

দিগন্তে আকাশ এবং মাটির সংযোগস্থল একটি সরল রেখার মতো দেখায়। আসলে আকাশ এবং মাটি বা পানির মাঝখানে কোনো স্পষ্ট সীমারেখা নেই, তাই আমাদের মনে হয় তারা দিগন্তে একসঙ্গে মিশে গিয়েছে। 

আকাশের রং এবং মাটির রং প্রায় একই রকম মনে হয় অনেক সময়।

বিশেষ করে যখন সূর্য অস্ত যায় বা উদয় হয়, তখন। এই সময় সূর্যের আলো আমাদের দৃষ্টিভ্রম তৈরি করে। আলো ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। তাই এ সময় জলাশয় যেমন বড় নদী, চওড়া লেক কিংবা সমুদ্রের পানির ওপর আকাশের প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। তখন মনে হয় আকাশ আর পানি এক হয়ে গেছে।

বতাসের ধূলিময় পরিবেশে বা কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ এবং মাটির রং প্রায় একই দেখায়। এটাও আকাশ ও মাটি একসঙ্গে মিশে যাওয়ার অন্যতম কারণ মনে হয়।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সূর্যের আলো প্রতিফলিত এবং প্রতিসরিত হয়। আলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় এমনভাবে প্রতিফলিত ও প্রতিসরিত হয় মনে হয়, দিগন্তের কাছে আকাশ আর মাটির মাঝে কোনো স্পষ্ট পার্থক্য থাকে না।

আগেই বলেছি, এটা একধরনের দৃষ্টিভ্রম। আমরা আমাদের চোখ দিয়ে যা দেখি, তা সবসময় বাস্তব নয়। দিগন্তে আকাশ এবং মাটি মিশে যাওয়ার বিষয়টি একটা সাধারণ দৃষ্টিভ্রম। এটা মানুষের চোখের সীমাবদ্ধতার কারণেও ঘটে।

সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস

মন্তব্য

কিছু মানুষ বামহাতি কেন হয়?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কিছু মানুষ বামহাতি কেন হয়?
অলংকরণ: চ্যাটজিপিটি

সংখ্যায় যা বেশি তা আমাদের কিছু খুব স্বাভাবিক। অন্যদিকে সংখ্যায় যা কম, সেগুলো দেখলেই আমাদের কেমন আজব লাগে, ব্যতিক্রমি মনে হয়। সঙ্গেে একরাশ প্রশ্নও ভিড় করে মনে—এই ব্যতিক্রমটা কেন হলো, কীভাবে হলো?

মানুষের শরীরের দুটো হাত। এই হাত দুটোর মধ্যে একটার কার্যকারতিা কিছুটা বেশি থাকে।

কারও ডানহাত বেশি কার্যকর কারও আবার বাম হাত। আমাদের সমাজে, পৃথিবীতে ডানহাতিদের সংখ্যা বেশি। তুলনায় বামহাতীদের সংখ্যা একেবারে নগণ্য। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ ভাগ মানুষ বামহাতি।
অর্থাৎ তারা অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম। এজনই তাঁদের নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগে—বামহাতি কেন বামহতি? 

বামহাতি হওয়ার একটি বড় কারণ হলো জিন বা বংশগতির প্রভাব। বাবা-মা বা পূর্বপুরুষদের মধ্যে কেউ বামহাতি হলে, পরবর্তী প্রজন্মের মধেথ্য বামহাতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে এটা সরাসরি উত্তরাধিকার সূত্রে আসে না।

আসলে অনেক জটিল জিন এবং পরিবেশগত প্রভাবের কারণে এটা হয়।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. সিলভিয়া পার্লির মতে, ‘বামহাতি হওয়ার পেছনে জিনগত প্রভাব রয়েছে। TUBB4B নামের একটি জিনের ভিন্নতা বামহাতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। এটা মস্তিষ্কের গঠন ও কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে।

এছড়া মস্তিষ্কের গঠনও ডানহাতি ও বামহাতি হওয়ার জন্য দায়ী।

মানব মস্তিষ্কের বাম এবং ডান অংশ (হেমিস্ফিয়ার) শরীরের বিপরীত দিক নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত, ডানহাতি মানুষের ক্ষেত্রে বাম মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় থাকে। বামহাতি মানুষের ক্ষেত্রে ডান মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় হয়। এই পার্থক্যের কারণে বামহাতিদের কিছু ক্ষেত্রে আলাদা ক্ষমতা বা প্রতিভা দেখা যায়, যেমন সৃজনশীলতা এবং কল্পনাশক্তি। বামহাতিদের মস্তিষ্কের ডানতিকটা বেশি সক্রিয়।

বামহাতিদের নিয়ে গবেষণা করেছেন নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সাইকোলিঙ্গুইস্টিক্সের গবেষক ড. ক্লাইড ফ্রাঙ্কস। তিনি বলেন, ‘সাধারণত মানুষের মস্তিষ্কের অংশগুলো বিভিন্ন কাজ নির্ধারণ করে, যেমন অঙ্গের নড়াচড়া। মস্তিষ্কের বাম অংশ ভাষা নিয়ন্ত্রণ করে। এগুলো ডানহাতি হওয়ার প্রবণতা তৈরি করে।’

গর্ভাবস্থায় হরমোনের প্রভাব শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার সময় টেসটোসটেরন নামের হরমোনের উচ্চ মাত্রা শিশুর বামহাতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

গর্ভাবস্থায় সময় শিশুর অবস্থান, প্রসবের জটিলতা বা অন্যান্য শারীরিক প্রভাবও শিশুর বামহাতি হওয়ার কারণ হতে পারে। এছাড়া, কিছু গবেষণায় বলা হয়, শিশুর আশপাশের পরিবেশ ও শেখার ধরণও ভূমিকা রাখে।

বামহাতিদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন, বামহাতি মানুষেরা সাধারণত শিল্প, সংগীত, এবং লেখালেখির ক্ষেত্রে বেশি প্রতিভাবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ তাদের মস্তিষ্ক সৃজনশীলতা এবং কল্পনাশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের মস্তিষ্কের ডানদিকটা বেশি সক্রিয়।

অনেক বামহাতি মানুষ ক্রিকেট, টেনিস, বা বক্সিং-এর মতো খেলায় অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন। কারণ তাঁরা প্রতিপক্ষের থেকে ভিন্ন স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করতে পারেন।

বামহাতি মানুষদের জন্য কিছু কাজ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বেশিরভাগ সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি ডানহাতিদের জন্য তৈরি হয়, এগুলো বামহাতিদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।

আগে বামহাতিদের নিয়ে অনেক কুসংস্কার ছিল। অনেকেই ভাবত, বামহাতি হওয়া অস্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে এটি একটি স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। এখন সমাজে বামহাতিদের জন্য অনেক সমর্থন এবং সুবিধা তৈরি হয়েছে।

মন্তব্য

হাঁসের মাংস ও ডিমে কি বাতব্যথা বাড়ে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাঁসের মাংস ও ডিমে কি বাতব্যথা বাড়ে?
অলংকরণ: চ্যাটজিপিটি

বাতব্যথা বা আর্থ্রাইটিস অর্থপেডিক ও নিউরোলজিক্যাল স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগ শরীরের হাড়ের জোড়ায় ব্যথা এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে হাঁসের মাংস ও ডিম খেলে বাতব্যথা বাড়ে। তবে এই ধারণার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং বাস্তব সত্য কতটা? 

হাঁসের মাংস এবং ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর।

এতে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিন, যা পেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড—এটা প্রদাহ কমাতে কার্যকর। আরও আছে ভিটামিন এবং খনিজ, বিশেষ করে আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি-১২।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীদের যেসব ফল এড়িয়ে চলা উচিত

ডায়াবেটিক রোগীদের যেসব ফল এড়িয়ে চলা উচিত

 

হাঁসের মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুটা বেশি।

তাই অতিরিক্ত খেলে শরীরে প্রদাহ বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রদাহ বৃদ্ধি পেলে বাতব্যথা বা আর্থ্রাইটিসের উপসর্গগুলো প্রকট হতে পারে। তবে এটা নির্ভর করে ব্যক্তির শরীরের প্রতি এগুলোর সংবেদনশীলতার উপর।

হাঁসের মাংসে পিউরিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে।

এটা ভেঙে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। বেশি ইউরিক অ্যাসিড গাউট (গেঁটেবাত) রোগীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে হাঁসের মাংস ও ডিম গাউটের রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

আরো পড়ুন
হার্টের সুরক্ষা দেয় যে ১০ খাবার

হার্টের সুরক্ষা দেয় যে ১০ খাবার

 

অন্যদিকে, হাঁসের ডিমে এবং মাংসে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই এটি কিছু মানুষের জন্য উপকারীও হতে পারে।

সব মানুষের শরীর একরকম নয়। হাঁসের মাংস ও ডিম কারো জন্য বাতব্যথার উপসর্গ বাড়াতে পারে, আবার কারো জন্য কোনো সমস্যা উপকারী। এটা নির্ভর করে শরীরের মেটাবলিজম, খাদ্যাভ্যাস এবং জিনগত প্রভাবের উপর।

আরো পড়ুন
কিডনি রোগীদের যে ১০ খাবার নিষেধ

কিডনি রোগীদের যে ১০ খাবার নিষেধ

 

হাঁসের মাংস ও ডিম মাঝে মাঝে এবং পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো। রান্নার সময় মাংসের অতিরিক্ত চর্বি ফেলে দিন। যদি বাতব্যথা বা গাউটের সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করুন। সমস্যা হলে হাঁসের মাংস বা ডিমের পরিবর্তে মুরগি, মাছ বা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেছে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন
প্যারাসিটামল কী দিয়ে তৈরি? এর কাঁচামাল কোথা থেকে আসে?

প্যারাসিটামল কী দিয়ে তৈরি? এর কাঁচামাল কোথা থেকে আসে?

 

হাঁসের মাংস ও ডিম খেলে বাতব্যথা বাড়া কিনা—এ প্রশ্নের কোনো সরল উত্তর নেই। এটি নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষে। পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত খাওয়া বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বাতব্যথার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই পরিমিত ও সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা সবচেয়ে ভালো পন্থা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ